উপাধি ও পদবীর পার্থক্য
Difference between surname and title
সাথি, বুঝলাম, আপনি উপাধি ও পদবির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বোধহয় গুলিয়ে ফেলেছেন। উপাধি একটি সম্মানসূচক পদক, যা অন্যের দ্বারা, বিশেষ করে শাসকের দ্বারা শাসকের কর্মচারী বা অধস্থনরা পেয়ে থাকেন, বিশেষ কোনো কাজে কৃতিত্বের কারণে বা স্বীকৃতি হিসেবে। উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেলে, তার মৃত্যুর সাথে সাথে উপাধিটাও বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, সেটা তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতিতে দেওয়া হয়। ব্যক্তি মারা গেলে সেই উপাধি বংশপরম্পরায় পরবর্তী জেনারেশন পায় না।
কিন্তু পদবি এ ধরনের কোন পদক বা উপাধি নয়, পদবি বংশের পরিচয়বাহী একটি শব্দ যা ‘লাস্ট নেম’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ পদবি নামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা বংশপরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে। এটা কোন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সম্মান সূচক শব্দ বা শব্দবন্ধ নয়। এটা মানুষ বংশপরম্পরায় পেয়ে থাকেন।
আর মনে রাখুন, ‘শাহ’ এ ধরনের কোন উপাধি নয়। ‘শাহ’ শব্দের অর্থ রাজা বা বাদশা। এটা প্রধান শাসক (যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী) নিজের শক্তিমত্তা ও পদমর্যাদা জাহির করার উদ্দেশ্যে নিজেই গ্রহণ করেন বা করে থাকেন। এবং তা বংশ পরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, ধর্ম পাল্টালে নাম হয় তো পাল্টে যায় কিন্তু পদবি পাল্টায় না।
পদবি প্রাপ্তির সঙ্গে মানুষের পেশার সম্পর্ক আছে। তবে সব পদবি পেশার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। বিস্তারিত বলা প্রাসঙ্গিক নয় বলে সেদিকে গেলাম না।
সবশেষে বলি, ইতিহাস বলছে নাদির শাহ কোনদিনই গুজরাট আক্রমন করেননি। তাই তিনি গুজরাটের শাসক ছিলেন না। কারণ, পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ভারতে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশের দিল্লি এলাকায় ঢুকেছিলেন মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্দেশ্যে। ঘটনা পরম্পরায় তিনি সেখানে লুটপাট চালান এবং প্রচুর ধন-সম্পদ নিয়ে দিল্লি থেকেই দেশে ফিরে যান। তার বিস্তারিত ইতিহাস এখানে প্রাসঙ্গিক নয় বলে তা এড়িয়ে গেলাম।
👁️🗨️ প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন ।
ফেসবুক বন্ধু Goutam Roy এর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখাটি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন