সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রাজনীতি বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লেনিনের মূর্তি ভাঙা

লেনিনের মূর্তি ভাঙা  যারা গতকাল গড়বেতায় লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন তারা হতভাগ্য। কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে যেমন প্রত্যুষে বসে গভীর রাতের অন্ধকারের গভীরতা উপলব্ধি করা যায় না, তেমনই রুশ বিপ্লব পূর্ববর্তী পৃথিবীতে খেটে খাওয়া মানুষের যে করুন অবস্থা ছিল তাও এই সময় বসে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। যারা লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন, তারা সে কারণেই উপলব্ধি করতে পারলেন না যে, তারা কত বড় হতভাগ্য মানুষ। মানব সভ্যতার ইতিহাসের বিবর্তন যারা পড়েছেন, তারা জানেন, আজ যেটুকু অধিকার এই হতভাগ্য মানুষগুলো ভোগ করছেন তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল এই মানুষটির (লেনিন) হাত ধরেই। ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা আজ যেটুকু অধিকার মেহনতী মানুষকে দিয়েছে, তা বাধ্য হয়েই দিয়েছে। বাধ্য হওয়ার পিছনে যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি, তিনি আর কেউ নন, এই মানুষটিই। ভি আই লেনিন। এদের দুর্ভাগ্য, তারা এই ইতিহাস জানে না, যাদের নির্দেশে তারা লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন, তারা কিন্তু এই ইতিহাস জানে। জানে বলেই তারা ভয় পায়। ভয় পায় এই ব্যক্তির ভূমিকা জেনে এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি এই বঞ্চিত মানুষগুলো আবার রুখে দাঁড়ায় পুঁজিবাদের ধারক ও বাহকদে

করপোরেট মিডিয়া আসলে তোতাপাখি : ইসরাইল, ভারতের সহ গোটা পৃথিবীতেই তারা এক সুরে গান গায়

ইসরাইলের তোতা পাখি পশ্চিমী মিডিয়া আর ভারতে বিজেপির তোতাপাখি ভারতীয় করপোরেট মিডিয়া যা নিন্দুকেরা 'গোদী মিডিয়া' নামে অভিহিত করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনা সম্পর্কে ইসরাইল যা বলে ইউরোপ ও আমেরিকার মিডিয়া তোতা পাখির মতো তা-ই প্রচার করে। সাংবাদিকতার প্রধান প্রধান শর্তগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরাইলের দেওয়া তথ্যই তারা প্রচার করে অন্ধ ও নির্ল্জভাবে। ভারতের ক্ষেত্রেও করপোরেট মিডিয়া সেটাই করে। আসলে মিডিয়ার মালিক হচ্ছেন করপোরেট পুঁজির মালিক বা পুঁজিপতিরা। এরা কি কখনও নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় - এমন খবর, তথ্য বা তত্ত্ব প্রচার করবে? করবে না, করেও না। আর এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষই জানি না এই সত্য। এও জানি না যে, সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে কর্পোরেটদের স্বার্থ পরস্পর বিপরীত মেরুর। এরা একে ওপরের পরিপূরক নয়। যদিও পরিপূরক হিসেবেই ওরা দেখাতে চায়। প্রচারও সেভাবেই করে। কিন্তু সত্য হল,  কর্পোরেটরা চায় সমাজে আর্থিক বৈষম্য থাক। কারণ, বৈষম্য জন্ম দেয় অভাব। অভাব থাকলেই অভাবীকে কম মজুরিতে খাটানো যায় এবং তার ফলেই পুঁজির পাহাড় জমানো সম্ভব হয়। সুতরাং যেকোন মূল্যে বৈষম্য ট

রাজ ভিক্ষা

ভক্ত বানাও ফ্রীতে যত অন্ধত্ব তত রাজত্ব, খুশির খবর শোনো পেলে শিক্ষা রাজ ভিক্ষা, চাইবে না কেউ কোনো চাইবে যা তা দুর্মূল্য, না চাও যদি দিতে শিক্ষা দীক্ষা লাটে তুলে, ভক্ত বানাও ফ্রীতে। 24/05/2022, 11:22 AM

ইতিহাসের কাজ বীর পূজা করা নয়

ইতিহাসের কাজ বীর পূজা করা নয়, তার কাজ নির্মোহ এবং নৈর্ব্যক্তিকভাবে সত্যকে তুলে ধরা। একাজে দরকার যুক্তি, বুদ্ধি, ও তথ্যের সাহায্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্যে উপনীত হওয়ার মত মনস্তাত্ত্বিক শক্তি। এই শক্তির নাম বিজ্ঞান মানসিকতা বা বিজ্ঞানমনস্কতা। বীরপূজা রাজনীতিকের কাজ, বিশেষ করে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদরা এটাকে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বামপন্থী রাজনৈতিকরা যদি এই পথের পথিক হয়, তাহলে বুঝতে হবে এই বামপন্থা ক্রমশ দক্ষিণ পন্থার দিকে ঢলে পড়ছে। ঐতিহাসিকদের বা ইতিহাসবীদর কাজ হচ্ছে রাজনীতিকদের কবল থেকে ইতিহাসকে মুক্ত রাখা। ইতিহাসকে নৈর্ব্যক্তিক চেহারায় টিকিয়ে রাখা।

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, কারণ অসাম্যই হিংসার জন্ম দেয়।

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যায় মাত্র। মানুষের সমান অধিকার কায়েম করার মধ্য দিয়েই আসে হিংসার সমাপ্তি। কারণ, অসাম্যই জন্ম দেয় হিংসার এবং অসাম্যই হিংসার একমাত্র কারণ। গতকাল নতুন করে কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। এ দায় রাষ্ট্রশক্তিকেই (সরকারকে) নিতে হবে। কারণ, তারই একমাত্র দায় থাকে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে সমাজ থেকে অসাম্য দূর করে একটি সুস্থ্য ও শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলার। আর সেটা সেটা না করে, আলোচনা ও সমানাধিকারের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে, হিংসা দিয়ে হিংসার মোকাবেলার রাস্তায় যারা হেঁটেছেন তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। যারা বিভাজনের অস্ত্র ব্যবহার করে, অসাম্য জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়, তারাই একমাত্র দায়বদ্ধ এর জন্য। বন্ধ হোক সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে বিভাজনকারী রাজনীতিকদের রাজনৈতিক চালাকি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

সমালোচনা আর খিল্লি এক নয়

বামপন্থা খিল্লি শেখায় না, শেখায় গঠনমূলক সমালোচনা। সমালোচনা সৃষ্টিশীল আর খিল্লি ধ্বংসাত্মক বিকারগ্রস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। জন্ম দেয় অপসংস্কৃতির, যা বামপন্থার পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। যে প্রক্রিয়ায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে একাদেমির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তা হয় তো সমালোচনার উর্ধে নয়। হয় তো বলছি এই কারণে যে, তাঁর লেখা আমি পড়িনি। কারও সমালোচনা করতে হলে তাঁর সম্পর্কে গভীরভাবে জানা প্রয়োজন, তাঁর লেখার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় থাকা দরকার, যা আমার নেই। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আদর্শগত পার্থক্য আছে যাদের, তারা রাজনৈতিক ইস্যুতে সমালোচনা করবেন - সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু লেখক হিসাবে তাঁর সমালোচনা করার সময়, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় উপেক্ষণীয় না হলেও তা কখনই প্রধান বা একমাত্র বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয় না - একথা মনে রাখা প্রয়োজন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

বিজেপির দ্বিচারিতা

৩৭০ নিয়ে বিজেপি অন্দোলন করে। কিন্তু ৩৭১ নং ধারা নিয়ে চুপ কেন?

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা  গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু বন্ধ করা। মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা। সেটা যদি বারবার ফিরে আসে হয়, তবে তো মানতেই হবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অযোগ্য। আর নিজ দলের কর্মীর দ্বারা নিজ দলের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তো সেই দলের নেতৃত্বের সাংগঠনিক অযোগ্যতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সংগঠনের মধ্যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি সম্পর্কে অজ্ঞতা রয়েছে ভয়ংকরভাবে, এটাও স্পষ্ট। এটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে অনীহা কিম্বা অযোগ্যতা তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকার দাবিকে মান্যতা দেয় না। তাই বগটুই-এর দায় তারা এড়াতে পারে না।

গরিব ও মধ্যবিত্তের প্রধান লক্ষ্য কী হওয়া দরকার?

গরিব ও মধ্যবিত্তের প্রধান লক্ষ্য - আলী হোসেন ঃ কোন রাজনৈতিক দলের দলদাস হওয়া নয়, আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হয়ে ওঠাটাই আমাদের জন্য একান্ত জরুরী এবং এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত । না হলে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি নামক দাবার বোড়ে হয়ে জীবন দিতে হবে। এর থেকে মুক্তি নেই।  আর কবে বুঝবো আমরা?

গণতন্ত্র ও বিজেপির রাষ্ট্রভাবনার সম্পর্ক

"বিক্ষোভ দমনের তাড়নায় রাষ্ট্রের মনে সংবিধানস্বীকৃত প্রতিবাদের অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তফাত যেন কিছুটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মানসিকতা যদি প্রাধান্য পায়, তা হবে গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন।" -- বিচারপতি অনুপ ভস্তানি ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল বিজেপি কি এসব কথা বোঝে না? না, তাদের বোঝার ইচ্ছা আছে? অথবা বলা ভালো, বোঝার দরকার আছে বলে কি তারা মনে করে? এটাই হলো লাখ টাকার প্রশ্ন। ওরা বোঝে, শুধুই রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর বোঝে, তা অর্জন ও ধরে রাখতে গেলে দরকার পুঁজির দালালি। কারণ, গরিবের ভোট টাকা দিয়ে সহজেই কেনা যায় - এ সত্য ওরা জানে, এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে। আর কেউ কেউ জানে, সেই টাকার যোগান দেয় পুঁজির মালিকরা। তাই তারা গণতন্ত্র বা গরিবের কথা নয়, ভাববে পুঁজির মালিকদের কথা। এবং একথা না বোঝাটা হলো মস্তবড় বোকামি। পুঁজির মালিকদের সৌভাগ্য, এই সত্যটি অধিকাংশ সাধারণ মানুষই জানেন না এবং বোঝেনও না। ২০২০-২১ (আর্থিক বছরে) করোনা অতিমারী যেখানে বিশ্বের একাধিক দেশ সহ ভারতের জিডিপি'কেও তলানিতে টেনে নামিয়ে দিয়েছে, সেখানে একই সময়ে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাক

ভারতীয় রাজনীতির একটি ভয়ঙ্কর দুর্বলতা

ভারতীয় রাজনীতির একটি ভয়ঙ্কর দুর্বলতা Weaknesses of Indian politics Aminuddin Seikh Aminuddin Seikh আপনি শিক্ষিত মানুষ, যতটুকু জানি আপনি একজন ইতিহাসের অধ্যাপক। আমার এক ইতিহাসের ছাত্র, যে আপনার সঙ্গে একই সময় অধ্যাপনার পেশায় নিযুক্ত হয়েছে। তার সাথে তার ভাইভার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং আপনার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। আমি সেদিন থেকে আপনাকে চিনি। (আপনি হয়তো আমাকে সেভাবে চেনেন না)। আপনার শিক্ষা এবং রাজনীতি সংক্রান্ত পড়াশোনা, নিশ্চয়ই কী করতে হবে আর কী করা যাবেনা, তা বুঝতে সাহায্য করবে। বিজেপি ও তৃণমূল দু'জনকেই হটানো সম্ভব কিনা এ প্রশ্নের উত্তর তাই আপনি নিজেই জানেন বলে আমার বিশ্বাস। আপনি ভাবুন। শিক্ষিত মানুষের নিজের কাছেই নিজের প্রশ্নের উত্তর থাকে। ভাবতে থাকুন, নিশ্চয়ই উত্তর পেয়ে যাবেন। আমি শুধু কয়েকটা কথা বলি আপনাকে। ১) রাজনীতি, তা যদি সত্যিকারের মানুষের কল্যাণের জন্য করা হয়, এবং মানুষ যদি সত্যিকারের রাজনৈতিক সচেতন হয়, তাহলে সে নিজেই বুঝতে পারবে এই মুহূর্তে তার কি করা উচিত। তাই মানুষ চাইলে দু'জনকেই হারাতে পারে। আমি আপনি সেটা ঠিক করে দিতে পারি না। আমরা শুধু আমাদের মতামতট

মোয়াজ্জেম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা

মোয়াজ্জেম ভাতা ও পুরোহিত ভাতা এক ভুলের ক্ষত ঢাকতে আর এক ভুল। মোয়াজ্জেম ভাতা'র মোকাবেলায় পুরোহিত ভাতা। ধর্মীয় আবেগ কেনা বেচায় দুটো দল এখন পাল্লা দিচ্ছে।  আর্থিক নয়, কল্পিত ধর্ম-সংকট এখন রাজনীতির মূল উপজীব্য।  মানুষকে ধর্মান্ধ করে ফেলাই রাজনীতিকদের প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে। একটা দেশের পক্ষে যা মারাত্মক ক্ষতিকর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এবং তার জনগণ ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার খেসারত দিয়ে চলেছে। ভয় পাচ্ছি, আমরাও সেই দিকে পা বাড়াচ্ছি না তো? Nazrul Islam Molla অনেকেই সেটা জানে। কিন্তু সরকার সেকথা স্পষ্টভাবে এবং খোলাখুলিভাবে প্রকাশ্যে বলে না। এই না বলাটা একটা সমস্যা। দ্বিতীয়তঃ সরকারের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে পাওয়া টাকা সংখ্যালঘু মানুষের শিক্ষার বিস্তারে খরচ করা উচিত ছিল। তা না করাটাও ভুল। ধর্মগুরু তথা ধর্মব্যবসায়ীদের ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের খুশি করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এভাবে ভোটে হয়তো জেতা যায়, কিন্তু দেশের কল্যাণ হয় না। সংখ্যালঘুদের প্রকৃত অর্থে কোন লাভ হয় না উৎস দেখুন এখানে Rafikul Islam এর জন্য মুসলমানদের দায়িত্ব কিন্তু কম নয়। অশিক্ষার অন্ধকারে থেকে যতদিন ন

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে