Bhabani Sankar Chatterjee আপনি বোধ হয় পুরো খবরটি পড়েন নি। পুরোটা পড়ুন, দেখবেন তার কাগজপত্র সবই ছিল। না থাকলে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হল কেন? ভাষার ব্যাপারটাও মন গড়া নয়। আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষা শহীদদের কথা বোধ হয় আপনার জানা নেই। একটু খোঁজ করুন। জানতে পারবেন। বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষ বহু পুরানো। বিজেপি সেটাকে উসকে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আসামে। তাই পুরনো আগুন আবার জ্বলে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে প্রত্যেক বাঙালির রুখে দাঁড়ানো উচিত। না হলে আমি আপনিও রেহাই পাবো কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। স্বাধীনতার সময় বাঙালিকে একবার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে হিন্দি বলয়ের নেতারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে হাত করে। অসংখ্য উদ্বাস্তু মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার ইতিহাসটা একবার পড়ুন জানতে পারবেন। ভারতীয় রাজনীতিতে বাঙালির যে অবদান ছিল এবং তাদের যে জনসংখ্যা ও আয়তন ছিল তাতে ভারতের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক ছিল বাঙালিই। সুপরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে বাঙালির সেই শক্তিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হয়েছে। (সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি প্রদেশ বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে হিসাব কষে।) বাংলা ভাগ ও বাঙালি জাতির ইত
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ