সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আরামের আর এক নাম কী?

 আরামের আর এক নাম কী? আরামের আর এক নাম ব্যারাম শরীরকে যত আমারে রাখা যায়, তত সে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কমজোরী করে ফেলে। কারণ, একাজে সে বাইরের সাপোর্ট পাচ্ছে। নিজের প্রতীক্ষার কৌশল তাই সে আর খোঁজার, ব্যবহার ও তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করে না। এভাবে চলতে থাকলে একসময় শরীর তার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরি বাইরের বিষয়ের ওপর ছেড়ে দেয়। ফলে বাইরের শত্রুর আক্রমন ঘটলে সে অসহায় বোধ করে। একসময় হাল ছেড়ে দেয়। শরীর আক্রান্ত হয় রোগে। তাই আরামের আর এক নাম ব্যারাম। যেমন ধরুন, প্রচন্ড গরম পড়ছে। আপনি গরমে হাসফাঁস করছেন। একটু বাতাস হলে ভালো হয়। আপনি পাচ্ছেন না তার ব্যবস্থা করতে। এই সময় শরীর নিজেকে রক্ষার জন্য নিজেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুরু করে নিজেকে ঠান্ডা করার কৌশলকে সক্রিয় করতে। শুরু হয় ঘাম। উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছে, শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজেকে রক্ষা করবে। ঘাম তার সূচনাকারী সংকেত। এই ঘাম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটা শরীরের নিজস্ব এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা। সমস্যা হল, এই কাজ করার জন্য শরীর তার নিজস্ব সঞ্চয় থেকে জল খরচ করে। ফলে জলের ঘাটত

বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি

বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি What is the origin of science and religion? বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি এক। একই মাতৃগর্ভে তাদের উৎপত্তি ও বেড়ে ওঠা। ভূমিষ্ঠ হবার পর একটু একটু করে বাড়তে থাকার সময় তাদের রূপ, চেহারা ও দর্শন পৃথক হতে থাকে। আস্তে আস্তে পৃথক চরিত্র লাভ করে। বাধে সংঘর্ষ। এ যেন একই মায়ের গর্ভে জন্মানো দুই ভাইয়ের মধ্যে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিবাদের অন্তহীন লড়াই। অথচ একই জিজ্ঞাসা থেকে উভয়ের জন্ম। জগৎ ও জীবনের অপার রহস্য উন্মোচনই ছিল এদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে একপক্ষ যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্যের উপর ভর করল, অন্যপক্ষ যুক্তি বুদ্ধির সঙ্গে বিশ্বাস মিশিয়ে দিল । পরবর্তীকালে এই বিশ্বাসই নির্ভরতার একমাত্র জমি দখল করে নিজে সর্বেশ্বরবা হয়ে উঠলো। জন্ম হলো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের । অন্য দিকে, যারা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা অব্যাহত রাখল, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পূর্বের ধারণা বা সিদ্ধান্তকে সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো, তারা রূপ নিল বিজ্ঞানে । যারা বিশ্বাসে ভর করলো, তারা পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন ও সংযোজন-এর প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করলো। ফলে সময়ের পরিবর্তনে

বহুরূপে মানুষ,

বহুরূপে মানুষ,  মানুষ শৈশবেই কেবল মানুষ থাকে। যৌবনে জন্তু হয়। বয়স যত বাড়তে থাকে, সিংহভাগই, ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করে। আসলে মানুষের মত বহুরূপী প্রাণী পৃথিবীতে দ্বিতীয় আছে বলে মনে হয় না। শৈশবে একজন শিশু আর একজন শিশুকে শুধু নিজের মত একজন মানুষ হিসেবেই দেখে (যদিও এ সময় তার জাতের নাম যে ‘মানুষ’, তাও তার অজানা থাকে)। এ ছাড়া তার কাছে অন্য কোন পরিচয় থাকে না। তাই তারা খুব দ্রুত পরস্পর পরস্পরের বন্ধু হয়ে যায়। কে কালো, কে সাদা; কে হিন্দু, কে মুসলমান; কে নারী কে পুরুষ ইত্যাদি -- কোন বিষয়ই তাদের কাছে কোন গুরুত্ব পায় না, প্রাধান্য তো পায়ই না। সে যত বড় হয়, তত সমস্যা বাড়ে। তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়, তার সঙ্গে অন্যের পার্থক্য কোথায়। এই পার্থক্যবোধই বৈষম্যের জন্ম দেয়। বৈষম্য তৈরি করার উদ্দেশ্যেই এই পার্থক্যবোধ শিশুর মধ্যে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই মানুষ যখন যৌবনে পদার্পণ করে, সে তখন জান্তব চেহারা নেয়। তার দৈহিক ও মানসিক শক্তি তাকে কিছু পরোয়া না করার পরামর্শ দেয়। বৈষয়িক ও চতুর যারা, তারা এদের উস্কে দেয় অসম্ভবকে সম্ভব করার, কখনও কখনও অনুচিতকে ঔচিত্যের মোড়ক দেওয়ার কাজে। ফলে তা

কী পড়ছি, কেন পড়ছি

কী পড়ছি, কেন পড়ছি কী পড়ছি, কেন পড়ছি আর পড়ার পর কী উপলব্ধি করছি - পড়ার সময় এসব কথা মাথায় না রাখলে এবং প্রাপ্ত উপলব্ধির ব্যবহারিক প্রয়োগের সামর্থ অর্জন করতে না পারলে, সে পড়ার কোন মূল্য থাকে না। এই পড়া নিজের জীবন এবং মানব সভ্যতার উন্নতিতে কোন ভূমিকাই রাখতে পারে না। বলা ভালো, তা কোন কাজে আসে না।  👪 পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন এখানে

সাফল্যের চাবিকাঠি

সাফল্যের চাবিকাঠি মানসিক চাপ                                =     ০% অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ মানা           = ১০০% পরিশ্রম (সাধনা)                           = ১০০% ----------------------------------------------------  সাফল্য                                       = ১০০%  📔 সুতরাং সাধনার আর এক নাম সাফল্য।

ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী?

 ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী? What is the goal of religion? ধর্মচর্চার মূল লক্ষ্য হল আত্মশুদ্ধি। এবং ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে পারলৌকক জীবনের শাস্তি এড়ানো ও সুখি জীবন প্রাপ্তি। যে জীবনের কাছে লৌকিক জীবন অতি তুচ্ছ। লৌকিক জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য একজন ধার্মিকের কাছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ও তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই জীবন কার?  তা একজন ব্যাক্তির একান্তই নিজস্ব। এর জন্য কী করণীয়? আধ্যাত্মবাদী দর্শন অনুসারে তা হল, একান্তে, নিভৃত-নির্জনে আধ্যাত্ম সাধনা বা ঈশ্বর সাধনা করা। এই ধরণের সাধনাই ধর্ম সাধনা। এই ধরনের সাধনা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে। কোন ব্যক্তি যে ধর্মে বিশ্বাসী হন, সেই ধর্মের মূল গ্রন্থেই আছে তার জীবন-বিধান। সেই বিধি বিধান মেনে জীবন যাপন করাই হল একজন ধার্মিকের একমাত্র কাজ। আধুনিক যুগে এই সাধনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। এর জন্য কোন ধর্মগুরুর স্মরণ নেওয়া বা তার অনুসারী হওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রনেতার পৃষ্ঠপোষকতারও তার প্রয়োজন পড়ে না। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলেই ধর্ম দর্শনকে বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। ধর্মগ্র

উপাধি ও পদবির পার্থক্য

 উপাধি ও পদবীর পার্থক্য  Difference between surname and title সাথি, বুঝলাম, আপনি উপাধি ও পদবির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বোধহয় গুলিয়ে ফেলেছেন। উপাধি একটি সম্মানসূচক পদক, যা অন্যের দ্বারা, বিশেষ করে শাসকের দ্বারা শাসকের কর্মচারী বা অধস্থনরা পেয়ে থাকেন, বিশেষ কোনো কাজে কৃতিত্বের কারণে বা স্বীকৃতি হিসেবে। উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেলে, তার মৃত্যুর সাথে সাথে উপাধিটাও বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, সেটা তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতিতে দেওয়া হয়। ব্যক্তি মারা গেলে সেই উপাধি বংশপরম্পরায় পরবর্তী জেনারেশন পায় না। কিন্তু পদবি এ ধরনের কোন পদক বা উপাধি নয়, পদবি বংশের পরিচয়বাহী একটি শব্দ যা ‘লাস্ট নেম’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ পদবি নামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা বংশপরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে। এটা কোন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সম্মান সূচক শব্দ বা শব্দবন্ধ নয়। এটা মানুষ বংশপরম্পরায় পেয়ে থাকেন।  আর মনে রাখুন, ‘শাহ’ এ ধরনের কোন উপাধি নয়। ‘শাহ’ শব্দের অর্থ রাজা বা বাদশা। এটা প্রধান শাসক (যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী) নিজের শক্তিমত্তা ও পদমর্যাদ

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কবজ কী এবং কেন?

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কবজ কী এবং কেন? যারা সংখ্যালঘু বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা বিদ্বেষ ছড়ানোয় সংখ্যালঘুদের কোন লাভ নেই। কারণ, যারা সংখ্যায় লঘু হয়, তাদের দেওয়া পাল্টা বিদ্বেষ ভাষণ, যৌক্তিক কারণেই কোন কাজে আসে না। উল্টে ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, এতে সংখ্যাগুরুর বিদ্বেষ ভাষণকারী অংশের হাতে যেটা এতদিন ছিল অজুহাত, তা ন্যায্যতা পেতে শুরু করে। অর্থাৎ সংখ্যালঘুর বিদ্বেষ ভাষণকে সামনে এনে তারা তাদের অজুহাতকে ন্যায্যতা দেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।  তাছাড়া, লড়াই যখন অসম সংখ্যার মধ্যে হয়, তখন পেশী শক্তি বা বিদ্বেষ ভাষণ কখনই ইতিবাচক ফলাফল এনে দিতে পারে না। এক্ষেত্রে শিক্ষাই হল একমাত্র হাতিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন শ্রমিকের শ্রমশক্তির (স্বল্পতার) বিকল্প হয়, তেমনভাবেই আধুনিক শিক্ষাই একমাত্র সংখ্যালঘুর শক্তি-স্বল্পতার বিকল্প উৎস হতে পারে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিদ্বেষ নয়, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লেখা

 বিদ্বেষ নয়, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লেখা Goutam Roy লিখেছেন :  Ali Hossain শাহ পদবি হলেই সে পার্শি হয় ? পার্শি নাদির শা গুজরাত জয করেন। তাঁর অধিনস্ত বহু হিন্দু বানিয়া , জমিদার শাহ পদবি বা খেতাব পান। তেমনিই অমিত শা। আপনি তাকে পার্সি আর্ষ বলছেন কোন ইতিহাস পড়ে ! আপনি যদি হিন্দু জাতি ব্যবস্থা নিয়ে লিখতে চান তবে হিন্দু জাতি ব্যবস্থা পড়ুন। মিছে ধরনা থেকে লিখছেন কেন ? বিজেপি আজ ক্ষমতায় আছে কাল থাকবে না। হিন্দু মুসলমান আমরা এক দেশে বাস করবো। সরল ধর্ম বিশ্বাসী মানুষকে বিদ্বষী করে তুলবেন না। এবার তাড়িয়ে দিলে আমরা যাবো কোথায় ? আমার উত্তর বা মতামত :  ◾আধুনিক সমাজে যে কেউ শাহ পদবী গ্রহণ করতে পারে। কোর্টে এফিডেফিট করে নিলেই হল। কিন্তু মধ্যযুগ বা তারও আগে শাহ শব্দটি তারাই ব্যবহার করতেন, যারা দেশের শাসক, রাজা বা সম্রাট। কোন রাজকর্মচারীকে বা বণিক সম্প্রদায়কে এই উপাধি দেওয়ার প্রচলন ছিল বলে আমার জানা নেই। যুক্তি বুদ্ধি বলে, কোন শাসক কোন বণিককে এমন সম্মান বা পদবী দিতে পারেন না, যা একজন রাজা বা সম্রাটের অর্থাৎ শাসকের পদমর্যাদার সমতুল্য হয়ে ওঠে। সুতরাং আপনার যুক্তি এখানে বড়ই দুর্বল। দ্বিতীয়ত, না, শাহ প

দশ চক্রে ভগবান ভূত।

একদল অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে যদি আপনি পড়েন এবং আপনি যদি তাদের থেকে শিক্ষাদীক্ষার সৌজন্যে জীবন সম্পর্কে একটু বেশি জানা বোঝার পর্যায়ে পড়েন, তাহলে পরিস্থিতি আপনাকে উল্টোপরিচয়ে পরিচিত করে তুলবে। অর্থাৎ আপনি হয়ে যাবেন অশিক্ষিত পর্যায়ভুক্ত এবং অন্যেরা শিক্ষিত ও জ্ঞানী। অর্থাৎ ‘দশ চক্রে ভগবান ভূত’ যারে বলে।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে