সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আরামের আর এক নাম কী?

 আরামের আর এক নাম কী?

আরামের আর এক নাম ব্যারাম

শরীরকে যত আমারে রাখা যায়, তত সে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কমজোরী করে ফেলে। কারণ, একাজে সে বাইরের সাপোর্ট পাচ্ছে। নিজের প্রতীক্ষার কৌশল তাই সে আর খোঁজার, ব্যবহার ও তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করে না।

এভাবে চলতে থাকলে একসময় শরীর তার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরি বাইরের বিষয়ের ওপর ছেড়ে দেয়। ফলে বাইরের শত্রুর আক্রমন ঘটলে সে অসহায় বোধ করে। একসময় হাল ছেড়ে দেয়। শরীর আক্রান্ত হয় রোগে।

তাই আরামের আর এক নাম ব্যারাম।

যেমন ধরুন, প্রচন্ড গরম পড়ছে। আপনি গরমে হাসফাঁস করছেন। একটু বাতাস হলে ভালো হয়। আপনি পাচ্ছেন না তার ব্যবস্থা করতে। এই সময় শরীর নিজেকে রক্ষার জন্য নিজেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুরু করে নিজেকে ঠান্ডা করার কৌশলকে সক্রিয় করতে। শুরু হয় ঘাম। উদ্দেশ্য কী?

উদ্দেশ্য হচ্ছে, শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজেকে রক্ষা করবে। ঘাম তার সূচনাকারী সংকেত। এই ঘাম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটা শরীরের নিজস্ব এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা।

সমস্যা হল, এই কাজ করার জন্য শরীর তার নিজস্ব সঞ্চয় থেকে জল খরচ করে। ফলে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। জলের সঙ্গে কিছু জরুরী মিনারেল বা খনিজ উপাদান, যেমন লবন ইত্যাদি বেরিয়ে যায়। আমাদের কাজ হল এই উপাদানগুলোর সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করা। অর্থাৎ ঘন ঘন জল খাওয়া। একটু নুন চিনির শরবত খাওয়া। লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারলে আরও ভালো।

এই ব্যবস্থাকে একটিভ রাখতে পারলে শরীর নিজেই নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। সঙ্গে বাড়তি লাভ হল, শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলোর অনেকটাই সহজে বের হয়ে আসে শরীর থেকে। ফলে কিডনির উপরে প্রেসার অনেক কমে যায়। কারণ, এই কাজটি কিডনিকেই করতে হয় প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করার জন্য।

এই ব্যাপারে প্রযুক্তির সীমিত প্রয়োগ শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। যেমন মৃদু ইলেকট্রিক পাখা। শরীরের নিজস্ব স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখার জন্য যেটুকু প্রয়োজন ঠিক সেটুকুই ব্যবহার করা।

আমাদের সমস্যা হল, আমরা ঠিক এর উল্টোটা করি। দ্রুত আরামের আশায় ফ্যানের গতিকে হাইস্পিড দিয়ে দেই। ফলে আপদকালীন অবস্থা কাটিয়ে শরীর তার স্বাভাবিক তাপমাত্রার নিচে নেমে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় আর থাকতে পারে না। ফলে প্রাথমিক অবস্থায় সর্দিগর্মীত আক্রান্ত হই। পরবর্তীতে শরীর এই তাপমাত্রাতেই নিজেকে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত করে নিতে শুরু করে।

এই পরিস্থিতিতে যদি কখনও ফ্যান বন্ধ হয়, তবে শরীর অস্বাভাবিক বোধ করে। কারণ, এটাকে কনট্রোল করার ম্যাকানিজম এখন আর তার নিজস্ব নয়। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সে কোন ভূমিকা নিতে পারে না। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মানুষ প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়ানোর ফলে, মানুষ প্রথমে হাত পাখা ছেড়েছে। এর পর ইলেকট্রিক পাখা ছেড়ে এসিতে এসেছে। এখন এসিতেও হচ্ছে না, সঙ্গে পাখাকেও নিতে হচ্ছে।

কেউ কেউ বলেন এর জন্য বিশ্ব উষ্ণায়ন দায়ী। কথাটা ঠিক। কিন্তু এই ঠিকের পিছনে রয়েছে আমাদের প্রকৃতি ছেড়ে প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। কারণ, অতিরিক্ত আরামের আশায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পোড়াচ্ছি 


লেখাটা সম্পূর্ন হয়নি। অপেক্ষা করুন .....

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে