Bhabani Sankar Chatterjee আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রশ্ন করি। 'ব্যক্তিগত' বলতে আপনি কী বোঝেন? নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনদিন কথা বলতে শুনেছেন আমাকে? প্রধানমন্ত্রী আমার আপনার মত সাধারন কোন ব্যক্তি নয়, তা কি আপনি জানেন? নরেন্দ্র মোদী আপনার যেমন প্রধানমন্ত্রী, আমারও তেমনই প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকটা ভারতবাসীর তিনি প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কোন ভুল থাকলে আর তার ফল সবাইকে ভুগতে হলে, তার সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক ভারতবাসীরই আছে। সেই সমালোচনাকে ব্যক্তি সমালোচনা বলে না। অর্ণব গোস্বামী একজন সাংবাদিক। তার ব্যক্তিগত জীবন তিনি কিভাবে কাটান, তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে না। আমিও করিনি। তিনি সাংবাদিকতার পেশাটাকে যেভাবে নিচে নামিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর যে কাজ তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন, তার সেই কাজের বিরোধিতা করাকে ব্যক্তি আক্রমণ বলে না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। না হলে আপনার এই ভাবনা থেকে বের হতে পারবেন না। ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বা পদের যে পার্থক্য আছে, সেটা জানা না থাকলে এ ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়। আশা করি আপনাকে আশ্বস্ত
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ