সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ব্যক্তির সঙ্গে পদের পার্থক্য আছে

Bhabani Sankar Chatterjee আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে একটা প্রশ্ন করি। 'ব্যক্তিগত' বলতে আপনি কী বোঝেন? নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনদিন কথা বলতে শুনেছেন আমাকে? প্রধানমন্ত্রী আমার আপনার মত সাধারন কোন ব্যক্তি নয়, তা কি আপনি জানেন? নরেন্দ্র মোদী আপনার যেমন প্রধানমন্ত্রী, আমারও তেমনই প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকটা ভারতবাসীর তিনি প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কোন ভুল থাকলে আর তার ফল সবাইকে ভুগতে হলে, তার সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক ভারতবাসীরই আছে। সেই সমালোচনাকে ব্যক্তি সমালোচনা বলে না। অর্ণব গোস্বামী একজন সাংবাদিক। তার ব্যক্তিগত জীবন তিনি কিভাবে কাটান, তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করে না। আমিও করিনি। তিনি সাংবাদিকতার পেশাটাকে যেভাবে নিচে নামিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর যে কাজ তিনি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন, তার সেই কাজের বিরোধিতা করাকে ব্যক্তি আক্রমণ বলে না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। না হলে আপনার এই ভাবনা থেকে বের হতে পারবেন না। ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিষ্ঠান বা পদের যে পার্থক্য আছে, সেটা জানা না থাকলে এ ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়। আশা করি আপনাকে আশ্বস্ত

সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব

কর্পোরেট মিডিয়া (টিভি, সংবাদপত্র ইত্যাদি) আপনার কথা শোনে না, আপনার কথাও বলে না। বলে কর্পোরেট দুনিয়ার কথা, আর শোনাতে চায় তাদেরই কথা তাদের স্বার্থে। তাই আপনার পিডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানেই মুখ খুলুন।এই মিডিয়াই আপনার কথা পৌঁছে দেবে আপনার সহযাত্রীর কাছে। সরকারের কাছে।

বামপন্থী কারা?

বামপন্থী তো তারাই, যাদের কথায়, যাদের ব্যবহারে, বিতর্কের সময়ে শব্দচয়নে যুক্তি থাকে, তথ্য থাকে, আর থাকে অহংকারহীন বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ। যা দেখে অথবা শুনে একজন অবামপন্থী মানুষও মুগ্ধ হয়ে যায়। বামপন্থাকে ভালবেসে ফেলে।  আপনারা যারা বিতর্ক করছেন, আমার মনে হচ্ছে না, তারা বামপন্থার জন্য, বামপন্থীদের দ্বারা বামপন্থার কথা উচ্চারণ করছেন। প্রায় অধিকাংশের কথার মধ্যেই নিজের মধ্যে বামপন্থী মানসিকতা থাকার জন্য অহংকার বোধ ঝরে পড়ছে। কে কত বড় বামপন্থী তা প্রমান করা, আর প্রমাণ চাওয়ার অহংকার আছড়ে পড়ছে। মার্জনা করবেন,  এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বামপন্থী মানুষদের জন্য বড়ই বেমানান। এই বিতর্ক বামপন্থার স্বাস্থ্যহানি ছাড়া আর কোন কাজে আসবে না। আমার মনে হয় এবার আপনাদের থামা উচিত। এত সুন্দর একটা পোস্টকে কেন্দ্র করে যে উচ্চমানের আলোচনা এবং তা যে মার্জিত ভাষায় হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলেই আমার ধারণা। বামপন্থীদের বক্তব্য, বক্তব্য প্রকাশের ভঙ্গি এবং তার দৃষ্টিকোণ যদি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে আলাদা না হয়, তাহলে কীভাবে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে এবং তাদের কর্মীদের থেকে আলাদা করব

সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক পথেই আসবে।

সমাজতন্ত্র গণতান্ত্রিক পথেই আসবে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পদ্ধতি এবং প্রকৌশল বদলায়। বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীতে যে পদ্ধতিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে বিপ্লব (পরিবর্তন) করা আজ অনেক কঠিন। তার প্রয়োজন আছে বলেও আমার মনে হয় না। আর মতপার্থক্যের কথা বলছেন? তা তো থাকবেই। ধনতান্ত্রিকদের মধ্যে মত পার্থক্য নেই? তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত নয়? সুতরাং মতপার্থক্য থাকবেই। আর এটাই স্বাভাবিক। এই মতপার্থক্যকে মতৈক্যে পরিণত করার দায় এবং দায়িত্ব একমাত্র জনগণেরই নিতে হয়। আমার, আপনার এবং আমাদের। আমরা যদি বুঝতে পারি, দুটো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য উপযুক্ত, তাহলে সেই ব্যবস্থার সমর্থকদেরকে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। তারা বহু দলে বিভক্ত হলেও, একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শের ভিত্তিতে তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। ঐক্যবদ্ধ যে হতে পারে, তার উদাহরণ বামফ্রন্ট তৈরি হওয়া, ইউপিএ তৈরি হওয়া এবং এনডিএ তৈরি হওয়া। মানুষ যেদিকে যাবে, রাজনৈতিক দল সেই দিকেই পথ হাঁটতে বাধ্য হবে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। এখন আমি বা আপনি, এককথায় আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে, আমরা কোন মতাদর্শের পক্ষে থাকবো। যেটা আমার শ্রে

বিকল্প সমাজতন্ত্র, বিকল্প সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

Bhabani Sankar Chatterjee সংকট থাকলে সংকট থেকে বের হওয়ার পথও থাকে। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা এবং উপযুক্ত পরিকল্পনার। দায়সারা সমালোচনা করা আমার কাজ নয়। বিকল্প কারা হতে পারে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েই সাধারণত আমি পোস্ট করি। শুনুন তাহলে...... বিশ্ব ক্ষুধা তালিকায় ভারতের স্থান এখন  বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমারের মত দেশেরও পিছনে। গ্লোবাল হাংগার ইনডেক্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী 107 দেশের মধ্যে ভারতের স্থান 94 নম্বরে। পাকিস্তান 88 বাংলাদেশ 75 আর নেপাল 73।  এই পরিসংখ্যান থেকে আপনি কি কোন ধারনা করতে পারছেন? কারা বিকল্প হতে পারে? পাচ্ছেন না তো? এই দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা এবং প্রাকৃতিক সম্পদে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ হল নেপাল। তা সত্ত্বেও তারাই ক্ষুধার তালিকায় সবার চেয়ে নিচে। এবার নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করুন এই দেশটা এখন কারা চালাচ্ছে? প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে শুনে নিন। এ দেশটা চালাচ্ছে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। পৃথিবীতে আর যে কটা রাষ্ট্র ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঝেড়ে ফেলে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম রেখেছে তাদের সবারই স্থান আরো নিচে। কিউবা, ভিয়েতনাম,

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ২

শেখ আবুল কালাম আজাদ অহেতুক বিতর্ক উচিত নয়। ঠিকই বলেছেন। কিন্তু বিতর্ক বিষয়টা খুবই জরুরী একটা বিষয়। কারণ, বিতর্ক মানুষকে সমৃদ্ধ করে, চেতনার মান বাড়িয়ে দেয়। আপনার সঙ্গে আমার যে বিতর্ক, সেটা যদি  অহেতুক হয়, তবে তার দায় কিন্তু আমার না। কারণ, সেটার আপনিই সূচনা করেছেন। আশাকরি মানবেন। আপনার মতে 'ছোট' শব্দটি এখানে জুতসই হত। হয়তো হতো। সেটা আপনার মত। আপনার মতকে অসম্মান করার স্পর্ধা আমার নেই। এই শব্দ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমারও কোন দ্বিধা থাকার কথা নয়। কারণ, আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে ছোট (অসম্মান) করা। আমার ব্যবহার করা 'ক্ষুদ্র' শব্দটি আপনাকে কষ্ট দিয়ে দিয়েছে জেনে ব্যাখ্যা দেওয়াটা আমার জরুরী ছিল। এটা আমার দায়িত্ব বা বক্তব্যও বটে। তাই দিয়েছি। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কি? ১) 'ক্ষুদ্র' শব্দের জায়গায় 'ছোট' শব্দটা ব্যবহার করলে আপনি হয়তো খুশি হতেন কিন্তু অন্য কেউ যে অখুশি হতেন না তার গ্যারান্টি কোথায়? ২) ক্ষুদ্র এবং ছোট - দুটো আলাদা শব্দ। কোনটা কোথায় ব্যবহার হবে সেটা নির্ভর করে বক্তব্য প্রকাশের মোটিভের ওপর এবং বিষয়ের

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ১

শেখ আবুল কালাম আজাদ সাথি, একটা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। অর্থাৎ একটা শব্দ একাধিক অর্থে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী তার অর্থ অনুধাবন করতে হয়। আমার পোস্টটি আরেকবার পড়ুন। আর ভাবুন, যে ঠিক আপনি যেভাবে ভাবছেন, আমি সেভাবে ক্ষুদ্র শব্দটা ব্যবহার করেছি কিনা। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন ক্ষুদ্র শব্দটা এখানে 'আয়তন' বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে, 'নীচতা' বোঝাতে নয়। হীনমন্যতায় ভুগবেন না। সুতরাং অহেতুক কষ্ট পাবেন না। একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ থাকার ব্যাপারটা মাথায় রেখে ভাবুন, দেখবেন কষ্ট আর থাকবে না, এরং বুঝতে পারবেন অভদ্রতারও কিছুই এখানে নেই। আয়তনে বড় হলে একটা বৃহৎ রাষ্ট্র যে সুবিধা পায় আয়তনে ক্ষুদ্র হলে  বা ছোট হলে সেদেশ সেই ধরনের সুবিধা পায় না। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে তাদের চলতে হয়। সেই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাদের জিডিপি যদি বাড়ে এবং তা স্বীকার করা হয় কোনো পোষ্টে, তাতে অভদ্রতার প্রকাশ হয় বলে আমি মনে করিনা। উল্টে এই ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোর প্রশংসা করার অর্থই প্ৰকাশ পায় এবং এটা তাদের কাছে গর্ব করার বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়। সুত

ড. কালাম, ধান্দাবাজি বীর পূজায় বিশ্বাস করতেন না

Bhabani Sankar Chatterjee এটা কবিতা। বলা ভালো ছড়া। অবশ্যই রাজনৈতিক ছড়া। ভুল বুঝেছেন। ব্যক্তি আক্রমণ করা আমার কাজ না। সিস্টেম এর দুর্বলতা ও অসঙ্গতি তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য। পুরানো কাসুন্দি ঘাটা এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। এটা সমকালীন ছড়া। সময়কে ধরাই এর উদ্দেশ্য। এখানে কাসুন্দি ঘাটার সুযোগ নেই বললেই চলে। পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটতে হলে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে। চাইলে নিশ্চয় ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট যখন করবো তখন হবে। তৈরি থাকুন। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। আর আজ শুধু ড. কালামের জন্মদিন নয়। অসংখ্য ভারতীয় সন্তান এই দিনে জন্মেছেন। যাঁদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং করে গেছেন। অসংখ্য মানুষ যাঁরা কৃষক, ক্ষেত মজুর, শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। সেবা করে গেছেন। ভুলে যাবেন না তাঁদের অনেকেরও আজ জন্মদিন। ড. কালামকে ভালো করে পড়লে জানবেন তিনি নিজেকে এঁদেরই একজন বলে ভাবতেন। কারণ, তিনি জানতেন, একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে দেশমাতার সেবায় একজন কৃষক বা শ্রমিকের অবদান কোনও অংশে কম নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাঁর কথা গর্

বাপের সম্পত্তির গুরুত্ব

ফকির হওয়ার আগে কেউ বুঝবে না বাপের থেকে পাওয়া সম্পত্তির গুরুত্ব কত ছিল। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

ব্যক্তিস্বার্থটা আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ

ব্যক্তিস্বার্থ আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ। সে (ব্যক্তি স্বার্থ) নিজেই নিজের পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই ব্যক্তি স্বার্থে শিক্ষিত মানুষ চুপ করে থাকলে, সমাজ পিছিয়ে পড়ে, অশিক্ষিত মানুষের দৌরাত্ম্য বাড়ে। তাই ভুল বা অন্যায় দেখলেই মুখ খুলন, জাত-ধর্ম না দেখেই। Sk Minhajul রাস্তায় নামাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সময়টা রাস্তায় নামার পক্ষে ততটা অনুকূল নয়। তাই ফেসবুকে মুখ খেলাটা খুবই প্রাসঙ্গিক ও জরুরি। কারণ এটা একটা সামাজিক মাধ্যম, যা কর্পোরেট মিডিয়ার একমাত্র বিকল্প। কর্পোরেট মিডিয়া (ডিজিটাল মিডিয়া), যাকে আমরা টিভি বা খবরের কাগজ বলে জানি, তারা কখনোই সাধারন মানুষের স্বার্থে কথা বলে না। তারা ততটুকুই বলবে, যতটুকু কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলির স্বার্থ চরিতার্থ হয়। তাই সাধারণ মানুষের, পথে নামার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্ খোলাও খুব জরুরী। কারণ আমার আপনার কথা, কর্পোরেট মিডিয়া নয়, সোশ্যাল মিডিয়াই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। Nazrul Islam Molla অশিক্ষিত মানুষের মুখের ভাষা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। ভুল বুঝে অন্যায় ভাবে যদি কেউ বাজে কথা বলে, তার দায় আপনার নয়। অপরাধটাও আপনার নয়। সে দায়

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে