সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রাজনৈতিক অরাজগতার কারণ

রাজনৈতিক (মৃত্যুর) অরাজগতার কারণ  যে শিক্ষা রাজনৈতিক চেতনা আনে, সেই শিক্ষার প্রসার না ঘটলে এই রাজনৈতিক অরাজগতা কাটবে না। শিক্ষা ও উপার্জনের অভাব  - মূলত এই দুই অভাব একসঙ্গে সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতির বোড়ে হতে বাধ্য করে। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, জনগণের রাজনৈতিক চেতনতা-বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কী এবং কীভাবে তাকে প্রয়োগ করতে হবে রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য, সে সম্পর্কে অবহিত করা (রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা) রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে ধ্যান দেয় না। দেবেই বা কীভাবে? রাজনীতি করতে গেলে রাজনৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়। এই শিক্ষা আসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামক একটি বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করার মধ্য দিয়ে। এর সঙ্গে প্রয়োজন বিশ্ব-ইতিহাস ও অর্থনীতি বিষয়ে সচতনতা। অর্থাৎ কেউ রাজনৈতিক নেতা হতে চাইলে তার ন্যূনতম শিক্ষা হওয়া উচিত এই সাবজেক্টগুলোসহ গ্রাজুয়েশন পাস করা। মনে রাখতে হবে, প্রাইভেট টিউটরের ত

গণতন্ত্রের নাম করেই গণতন্ত্রের গণধোলাই চলছে দেশে

গণতন্ত্রের গণধোলাই এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পরও আমরা গর্ব করে বলবো, বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ আমরা? মানুষই যদি মরবে, তবে নির্লজ্জের মত গণতন্ত্রের বড়াই করি কেন? আর এর সমস্ত দায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর। কারণ, এরা চায় বলেই এই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আসলে গণতন্ত্রের নাম করেই গণতন্ত্রের গণধোলাই চলছে দেশে।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সৈয়দ কাউসার জামাল ও আমার মতামত

শ্রদ্ধেয় সুভাষ দাস আমার ইনবক্সে শ্রদ্ধেয় সৈয়দ কওসর জামাল ভাইয়ের একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, যে উনি আমার মতামত জানতে চান। আমি তাঁকে আমার মত জানিয়েছি। ( জামালদার লেখার লিঙ্ক হল https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1449002371828364&id=100001558441443 লেখাটি আমার পোষ্টের নিচেই দেখা যাচ্ছে। ওটা পড়ে আমার লেখাটা পড়বেন আশা করি।) লেখাটা পড়ে আমি যে মতামত দিয়েছি তা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম, আমার ভাবনার ত্রুটিবিচ্যুতি কিম্বা যতার্থতা খুঁজে পাওয়ার জন্য।.... সুভাস দা, জামালদার পোষ্টটা আমি আগেই পড়েছি। উনি যথার্থই বলেছেন,'ওখানকার মুসলমানরা একটা অজুহাত খুঁজছিলেন'। কিন্তু যেটা উনি বলতে সাহস করলেন না, হয়তো বা ওনার গোচরে আসেনি তাহল... ১) ঠিক একই ভাবে ওই এলাকাজুড়ে লাগাতাড় একটি ক্ষুদ্র মৌলোবাদী হিন্দুগোষ্ঠি মুসলিম মৌলোবাদীদের উউত্তেজিত করে চলেছেন, এমন ঘটনা যাতে তারা (এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ) ঘটায়। (এমন কিছু হোয়াটস অ্যাপ পোষ্ট আমার কাছে আছে এখনও)। আর কিছু অশিক্ষিত গোঁয়ার মুসলিম ধর্মগুরু ঝোপবুঝে কোপ মেরেছেন। সাধারণ ও অসচেতন শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে থাকা মুসলমা

প্রকৃত সত্য উপলব্ধি ও কিছু সমস্যা

প্রকৃত সত্য উপলব্ধি ও  কিছু সমস্যা Real truth perception and some problems জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করা অপেক্ষাকৃত কঠিন কাজ। ফলে অধিকাংশ মানুষ এই সত্যের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন না। পারেন না তার কারণ, এই উপলব্ধির বিষয়টি অনেক সময় ও সাধনার বিনিময়ে অর্জন করতে হয়। এই সময় ও সাধনার বিনিময়ে অর্জিত উপলব্ধির কোন তাৎক্ষণিক এবং বৈষয়িক লাভ নেই। তাই সাধারণ মানুষ সেদিকে যান না। সমাজে এই মানুষেরাই সংখ্যায় গরিষ্ঠ হন। আপনি যদি সময় ও সাধনার বিনিময়ে সেই উপলব্ধি অর্জন করতে থাকেন, তাহলে সমানুপাতিক হারে আপনি সামাজিকভাবে সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে থাকবেন। অর্থাৎ আপনি যা বলবেন, তা অধিকাংশের কাছেই বোধগম্য কিম্বা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে না। সামাজিক সম্পর্কের বিধি-বিধানের কিছু নেতিবাচক প্রভাবের কবলে পড়ে আপনি আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হতে থাকবেন। আপনি যতই ভালো বা সৎ মানুষ হন না কেন, একটা ক্ষুদ্র অংশের মানুষ, যারা আপনার এই অর্জনকে ঈর্ষা করেন, তারা সুকৌশলে আপনার সামাজিক সম্মানের জায়গাকে সংকুচিত করে দেয়ার চেষ্টা করবে।

প্রকৃত ধর্ম বোঝার উপায়

প্রকৃত ধর্ম বোঝার উপায় A-Way-of-Understanding Religion ধর্মকে বুঝতে হলে শুধু ধর্মশাস্ত্র পড়লেই হবে না। সঙ্গে আধুনিক শিক্ষাও লাভ করতে হবে। কারণ, ধর্মের নামে প্রচুর আগাছার জন্ম দিয়েছে কিছু ধর্মব্যবসায়ী, যারা নির্দিষ্ট কিছু রাষ্ট্রনেতার পৃষ্ঠপোষকতাও পেয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে, সেসব সরিয়ে প্রকৃত ধর্মকে উপলব্ধি করতে এটা অত্যন্ত জরুরী। কারণ, কোনই ইজম বা মতবাদের প্রচারক ও পৃষ্ঠপোষকরাকরা কখনো নিজেই নিজের ইজম বা মতবাদকে সমালোচনা করেনা। বলা ভালো, করতে পারেনা। তার দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারে একমাত্র বিপক্ষের ইজম বা মতবাদ। আধুনিক শিক্ষা সেই কাজটা সুচারু ভাবে করতে শেখায়। কারণ, এখানে চিন্তার স্বাধীনতা আছে। বিরুদ্ধ চিন্তাকে এখানে সম্মান জানানোর রীতি-রেওয়াজ স্বীকৃত আছে। তর্কবিতর্কের মাধ্যমে তাই, প্রকৃত সত্যে পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।

আরামের আর এক নাম কী?

 আরামের আর এক নাম কী? আরামের আর এক নাম ব্যারাম শরীরকে যত আমারে রাখা যায়, তত সে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কমজোরী করে ফেলে। কারণ, একাজে সে বাইরের সাপোর্ট পাচ্ছে। নিজের প্রতীক্ষার কৌশল তাই সে আর খোঁজার, ব্যবহার ও তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করে না। এভাবে চলতে থাকলে একসময় শরীর তার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরি বাইরের বিষয়ের ওপর ছেড়ে দেয়। ফলে বাইরের শত্রুর আক্রমন ঘটলে সে অসহায় বোধ করে। একসময় হাল ছেড়ে দেয়। শরীর আক্রান্ত হয় রোগে। তাই আরামের আর এক নাম ব্যারাম। যেমন ধরুন, প্রচন্ড গরম পড়ছে। আপনি গরমে হাসফাঁস করছেন। একটু বাতাস হলে ভালো হয়। আপনি পাচ্ছেন না তার ব্যবস্থা করতে। এই সময় শরীর নিজেকে রক্ষার জন্য নিজেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুরু করে নিজেকে ঠান্ডা করার কৌশলকে সক্রিয় করতে। শুরু হয় ঘাম। উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছে, শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজেকে রক্ষা করবে। ঘাম তার সূচনাকারী সংকেত। এই ঘাম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটা শরীরের নিজস্ব এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা। সমস্যা হল, এই কাজ করার জন্য শরীর তার নিজস্ব সঞ্চয় থেকে জল খরচ করে। ফলে জলের ঘাটত

বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি

বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি What is the origin of science and religion? বিজ্ঞান ও ধর্মের উৎসভূমি এক। একই মাতৃগর্ভে তাদের উৎপত্তি ও বেড়ে ওঠা। ভূমিষ্ঠ হবার পর একটু একটু করে বাড়তে থাকার সময় তাদের রূপ, চেহারা ও দর্শন পৃথক হতে থাকে। আস্তে আস্তে পৃথক চরিত্র লাভ করে। বাধে সংঘর্ষ। এ যেন একই মায়ের গর্ভে জন্মানো দুই ভাইয়ের মধ্যে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিবাদের অন্তহীন লড়াই। অথচ একই জিজ্ঞাসা থেকে উভয়ের জন্ম। জগৎ ও জীবনের অপার রহস্য উন্মোচনই ছিল এদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে একপক্ষ যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্যের উপর ভর করল, অন্যপক্ষ যুক্তি বুদ্ধির সঙ্গে বিশ্বাস মিশিয়ে দিল । পরবর্তীকালে এই বিশ্বাসই নির্ভরতার একমাত্র জমি দখল করে নিজে সর্বেশ্বরবা হয়ে উঠলো। জন্ম হলো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের । অন্য দিকে, যারা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা অব্যাহত রাখল, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পূর্বের ধারণা বা সিদ্ধান্তকে সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো, তারা রূপ নিল বিজ্ঞানে । যারা বিশ্বাসে ভর করলো, তারা পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন ও সংযোজন-এর প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করলো। ফলে সময়ের পরিবর্তনে

বহুরূপে মানুষ,

বহুরূপে মানুষ,  মানুষ শৈশবেই কেবল মানুষ থাকে। যৌবনে জন্তু হয়। বয়স যত বাড়তে থাকে, সিংহভাগই, ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করে। আসলে মানুষের মত বহুরূপী প্রাণী পৃথিবীতে দ্বিতীয় আছে বলে মনে হয় না। শৈশবে একজন শিশু আর একজন শিশুকে শুধু নিজের মত একজন মানুষ হিসেবেই দেখে (যদিও এ সময় তার জাতের নাম যে ‘মানুষ’, তাও তার অজানা থাকে)। এ ছাড়া তার কাছে অন্য কোন পরিচয় থাকে না। তাই তারা খুব দ্রুত পরস্পর পরস্পরের বন্ধু হয়ে যায়। কে কালো, কে সাদা; কে হিন্দু, কে মুসলমান; কে নারী কে পুরুষ ইত্যাদি -- কোন বিষয়ই তাদের কাছে কোন গুরুত্ব পায় না, প্রাধান্য তো পায়ই না। সে যত বড় হয়, তত সমস্যা বাড়ে। তাকে শিখিয়ে দেওয়া হয়, তার সঙ্গে অন্যের পার্থক্য কোথায়। এই পার্থক্যবোধই বৈষম্যের জন্ম দেয়। বৈষম্য তৈরি করার উদ্দেশ্যেই এই পার্থক্যবোধ শিশুর মধ্যে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই মানুষ যখন যৌবনে পদার্পণ করে, সে তখন জান্তব চেহারা নেয়। তার দৈহিক ও মানসিক শক্তি তাকে কিছু পরোয়া না করার পরামর্শ দেয়। বৈষয়িক ও চতুর যারা, তারা এদের উস্কে দেয় অসম্ভবকে সম্ভব করার, কখনও কখনও অনুচিতকে ঔচিত্যের মোড়ক দেওয়ার কাজে। ফলে তা

কী পড়ছি, কেন পড়ছি

কী পড়ছি, কেন পড়ছি কী পড়ছি, কেন পড়ছি আর পড়ার পর কী উপলব্ধি করছি - পড়ার সময় এসব কথা মাথায় না রাখলে এবং প্রাপ্ত উপলব্ধির ব্যবহারিক প্রয়োগের সামর্থ অর্জন করতে না পারলে, সে পড়ার কোন মূল্য থাকে না। এই পড়া নিজের জীবন এবং মানব সভ্যতার উন্নতিতে কোন ভূমিকাই রাখতে পারে না। বলা ভালো, তা কোন কাজে আসে না।  👪 পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখুন এখানে

সাফল্যের চাবিকাঠি

সাফল্যের চাবিকাঠি মানসিক চাপ                                =     ০% অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ মানা           = ১০০% পরিশ্রম (সাধনা)                           = ১০০% ----------------------------------------------------  সাফল্য                                       = ১০০%  📔 সুতরাং সাধনার আর এক নাম সাফল্য।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে