বোকা মানুষ কারা? Md Yousuf আপনার দুটো আলোচনাই আমি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। আপনার এই বিশ্লেষণের প্রায় সব অংশের সঙ্গে আমি একমত। কারণ, আমার নিজস্ব ভাবনার সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। কিন্তু আমার পোস্ট এবং সেখানে আনসার আলী সেখ যে মন্তব্য করেছেন - এই দুটোর বিষয় এবং আপনার বক্তব্যের বিষয়, এক নয়। অর্থাৎ আপনার বক্তব্যের যে লক্ষ্য, আমার পোস্ট ও আনসার ভাইয়ের মন্তব্য সেই লক্ষ্যে করা নয়। তাই আলোচনাটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গেছে। আমার বক্তব্যের লক্ষ্য শাসকের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি যা আসলে অশিক্ষিত মানুষের এক অংশ করে এবং অশিক্ষিত মানুষের অপর অংশ এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। আমার পর্যবেক্ষণ বলে, অশিক্ষিত লোকেরা দুই ধরণের হয়ে থাকে। এক ভাগে থাকে ‘চালাক ও ধুরন্ধর’ ব্যক্তি যারা অনেক লেখাপড়া জানে, বড় বড় ডিগ্রি থাকে কিন্তু নীতি-নৈতিকতার ধার ধারে না। অন্য দিকে থাকে একটি গরিষ্ঠ অংশ, যারা হয় লেখাাপড়া জানে না, অথবা জানলেও খুবই অল্প জানে। আমাদের আলোচনায় এই দুই ধরণের মানুষ সম্পর্কে কথা বলা হয়েছে। অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে যারা ‘চালাক ও ধুরন্ধর’, তারা সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় এবং তারা নিজের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে অনৈতি
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ