বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য : আলী হোসেন
যে বিশ্বাস মানুষকে মানুষ হত্যায় প্ররোচিত করে, সে বিশ্বাসে বিশ্বাসী হওয়ার চেয়ে, অবিশ্বাসী হওয়া ভালো।
- আলী হোসেন।
কারণ, অবিশ্বাসীরা মানুষ হত্যায় নয়, মানুষকে ভালোবাসায় বিশ্বাস করে। কেননা, তারা জানে এবং মানে, মানুষ ছাড়া মানুষের আর কোন বান্ধব নেই। বিশ্বাস করে, মানুষ ছাড়া মানুষকে রক্ষায় অন্য কেউ এগিয়ে আসে না।
অন্যদিকে, বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ অথবা ‘রাখে হরি মারে কে’ -এই বহুল প্রচলিত প্রবাদে। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া মানুষের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই পৃথিবীতে কিছু ঘটানোর। যা কিছু ঘটে, তা তারই দ্বারা অথবা তারই নির্দেশে।
কিন্তু সত্যি কি তাই? যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য কী বলে? ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাই এ পৃথিবীর যা কিছু পরিবর্তন, তা নেতিবাচক অথবা ইতিবাচক, যাই হোক না কেন, তার মূল কারিগর মানুষ। এই মানুষই নিজের ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীগত স্বার্থে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করেছে। তার বিচার হয়নি। আর যদি হয়, তা হয়েছে আর একদল মানুষের হাতে।
আবার বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের ঘর অন্য পক্ষের বিশ্বাসীরা এসে নির্দ্বিধায় এবং নির্বীচারে ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা এখানে অসহায়। সর্বশক্তিমানের এই ঘর রক্ষার দায়িত্বে মানুষকেই এগিয়ে আসতে হচ্ছে। আবার এই রক্ষার দায়িত্বে এসে একদল বিশ্বাসী আর একদল বিশ্বাসীকে হত্যা করছে। কোন পক্ষের কোন সৃষ্টিকর্তাই এবিষয়ে বিচলিত, আন্দোলিত কিম্বা ক্রোধান্বিত হতে দেখা যায় না।
সুতরাং সৃষ্টিকর্তাকে সামনে রেখে, তাকে রক্ষা করতে, কিম্বা খুশি করতে বিশ্বাসী মানুষই মানুষ মারার খেলায় মেতে উঠছে নির্দ্বিধায়। অন্যদিকে অবিশ্বাসীরা সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা না করে, ভরসা করছেন পরস্পর পরস্পরের ভালবাসার উপর।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন