সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রসঙ্গ : অমিত শাহ ও তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিতর্ক

Rita Basu ব্যাটারি থাকা পর্যন্ত ঘড়ি যেমন চলতে থাকে। মানুষের চিন্তাও তেমন মৃত্যুর শেষ ক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে। তাই চিন্তা না করে থাকা সম্ভব না। আপনি তো ফিলোসফির টিচার। সুতরাং আপনিও জানেন জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি হৃদপিণ্ড যেমন বিরামহীন ভাবে চলে, তেমনি মানুষের চিন্তাও একই সময় কাল ধরেই প্রতিক্ষণ চালু থাকে। সুতরাং চিন্তা মুক্ত থাকা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আপনিও তা পারবেন না, আমিও পারবো না। ঠিক বললাম তো ম্যাডাম?😀 তবে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা খুব জরুরি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার। আর ভয়টাও ছোটবেলা থেকে আমার কম। তাই দুশ্চিন্তাও আমার মধ্যে টপ করে আসে না। তবে আমি খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি, আমার পোস্টে এসে কেউ যাতে অযাচিত কোন মন্তব্য না করেন। করলে তাকে প্রথম যুক্তি ও তথ্য দিয়ে  বোঝানোর চেষ্টা করি। তাতেও না কাজ হলে সাবধান করি।  আপনার প্রথম মন্তব্য থেকে বুঝলাম যে, কেউ কোন ভদ্রলোককে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে। একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষকে কেউ যদি অপমান অপদস্থ করে, সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আর আমার ওয়ালে এসে সেটা করার অনুমতি আমি কাউকে দিই না। কেউ করলে তাকে ছাড় দেয়ার ইচ্ছাটা

ধর্মীয় নয় রাজনৈতিক পোস্ট

Arobindo Lahori সাথি, আপনি তো আমার বন্ধু তালিকায় নতুন এলেন। ধৈর্য ধরে থাকুন। যারা যারা হা হা রিয়েক্ট করেছেন, তাদের লিস্ট-এর একটা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন। তাদের নাম গুলো পড়ুন। স্মৃতিতে ধরে রাখুন। এরপর তারা আমার আগের পোষ্ট গুলোতে কোন কোন ক্ষেত্রে কি কি বোঝাতে হা হা পোস্ট করেছেন একটু মিলিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করতে থাকুন যে এঁরাই আগামীতে আমার কোন কোন পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট করেন। এই দুটোকে সংগ্রহের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন, আপনার কাছে হা হা রিয়াক্টএর যে মানে, তাদের কাছে তা নয়। হ্যাঁ দুই-একজন তো ব্যতিক্রম থাকবেনই। সবাই কি আর আমার মতের সঙ্গে একমত হবেন? আমি সেই দাবি কি করতে পারি? পারিনা। আচ্ছা, এবার এককাজ করুন, লাইক আর লাভ রিঅ্যাক্ট করেছেন কতজন সেটা একরা গুনে দেখুন তো? আর তাঁদের রিয়াক্ট গুলোর মানে কি হতে পারে! সেগুলো একটু ভেবে দেখবেন। তারপর না হয় সিদ্ধান্ত করবেন! আপনি নতুন বলে আপনার একটু সমস্যা হচ্ছে বুঝতে। আস্তে আস্তে সব বুঝে যাবেন। পোস্টটার মধ্যে যে রাজনীতি রয়েছে সেটা তাহলে সত্যি সত্যিই আপনি বুঝতে পারেন নি? তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। কিন্তু দুর্বলতা নয়। আমি তো বুঝ

প্রসঙ্গ ভারত বিদ্বেষ ও ধর্মীয় ভাবাবেগ

সি এস নীহার আপনার নোংরামিটা এবার বন্ধ করুন। প্লিজ। আপনি যে ধরনের কথাবার্তা বলেন এগুলোকে ভারতীয় সংবিধানে কী বলে আপনি জানেন? ভারতীয় সংবিধানটা একটু পড়ুন? আছেন তো ভন্ডধার্মিক সেজে। ধর্মের কিছুই তো মানেন না। ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়েন বলেও তো মনে হয় না। সবসময় তো মুসলমান আর ইসলামের বিরুদ্ধেই বলে যান একতরফা ভাবে। আবার ভয় পেয়ে ডিলিটও করে দেন।  আপনার মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে। মাথাটা একটু দেখান। মানসিক সমস্যায় ভুগছেন আপনি। একটা রাজনৈতিক পোস্টকেে ধর্মীয় পোষ্ট বলে দিলেন। তার মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষও খুঁজে পেলেন!! বলিহারি আপনার দেশ ভক্তি। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে দেশ ভক্তি দেখাচ্ছেন।😆😆🙏🙏 শুনুন  আপনার চেয়ে কম কথা আমি জানিনা। আবার ভদ্রতার মুখোশ পরেও থাকি না। উপযুক্ত জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখি আমি। আচ্ছা আপনি বাচ্চাদের মতো ভয় দেখান কেন? যুক্তি-তর্ক দিয়ে মতামত খন্ডন করার ক্ষমতা নেই তাই? চেষ্টা করুন বিশ্বাসে ভর না করে যুক্তি ও তথ্যের উপর ভর করার এবং বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনা চিন্তার অধিকারী হওয়ার। দেখবেন আপনিও পারবেন। মানুষকে যুক্তি বুদ্ধি দিয়েই পরাস্ত করতে। তার জন্য হুমকি দেয়া দরকার হবে না। আমার কথ

আব্দুল গাফফার খান ও ইতিহাস বিকৃতি

এই কথাগুলো আবদুল গফফর খানের। আমি যতটা জানি। কথাটা একটু বিকৃত করা হয়েছে। মুসলিম শব্দটি ঢুকিয়ে দিয়ে। যাঁরা বোদ্ধা মানুষ অর্থাৎ যাদের মধ্যে ইতিহাসবোধ আছে এবং ইতিহাসটাকে বিজ্ঞান হিসেবে দেখেন তারা এই চাতুরীটা ধরতে পারেন। সাধারণ মানুষ পারেন না। বিজেপি এই সুযোগটাই নিতে চাইছে। আর এই সুযোগ নেয়ার জন্য 'মুসলিম' শব্দটা বিকৃতির উদ্দেশ্যই বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের পর যখন দেশ উত্তাল, তখন জেনারেল ও'ডায়ার প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছিলেন। তাই তিনি এই ঘটনাটিতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবং তার যুক্তি ছিল যে, আমরা উন্মত্ত জনতাকে সামাল দিতে গিয়ে এই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি। জেনারেল ডায়ারের এই মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্যই আব্দুল গাফফার খান প্রশ্ন তুলেছিলেন, জনতা যদি উন্মুক্ত হয়, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যদি গুলি চালাতেই হয়, তাহলে গুলিটা কোথায় লাগার কথা? লাগার কথা ছিল বুকে। এটাকে মাথায় রেখেই খান সাহেব জেলারেল  ও' ডায়ারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন  যে, আপনি যদি একজনকেও দেখাতে পারেন, যার বুকে গুলি লেগেছে, তাহলে আম

প্রতিদিন হোক আমাদের স্বাধীনতা দিবস

সুপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রী, স্বাধীনতা দিবসে আমার ভাবনা তোমাদের জন্য শেয়ার করলাম। গতকাল এই মূল্যবান দিনটি সম্পর্কে ভেবেছি এবং লিখেছি। আজ তা তোমাদের কাছে পৌঁছে দিলাম। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের জন্য সারা জীবন কাজ করে যাওয়াই আসল দেশপ্রেম। আশা করি আমরা এ কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যেতে পারবো। আর তা যদি পারি, তবেই এদেশ একদিন শোষণ বঞ্চনাহীন আদর্শ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়াই স্বাধীনতা দিবসের প্রথম এবং প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারলেই গড়ে উঠবে শোষণ বঞ্চনাহীন, জাতিবিদ্বেষহীন, সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বৈষম্যহীন এক আদর্শ ভারতীয় সমাজ। এই শপথ যদি আমরা আজ নিতে পারি, তবেই এইদিনটি পালন সার্থক হয়ে উঠবে। আমাদের প্রতিদিনের কাজ হোক এই স্বপ্নের ভারতীয় সমাজের পুনর্গঠনকে সামনে রেখে। প্রতিদিন হোক আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিদিন হোক স্বাধীনতা সংগ্রামের দিন। আর এই কাজ করতে গেলে, সবার আগে শুরু করতে হবে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা। পড়াশোনাই পারে  আমাদেরকে  সুশিক্ষিত করে তুলতে। আর একজন সুশিক্ষিত  ও স্বশিক্ষিত মানুষই  পারে সমাজ পরিবর্তনের কান্ডারী

কলম ও পাঠক

Sukumar Barman পাঠকের প্রশ্রয়ই কলমকে শক্তিশালী করে তোলে। তাই পাঠক হল সেই অস্ত্রের আসল শক্তি। মতামতের জন্য অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

স্বাধীনতার শপথ

আজ স্বাধীনতা দিবস (প্রথম পর্ব)। 74 তম বর্ষ। সমস্ত বীর বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং গভীর শ্রদ্ধা। আসুন এই শুভক্ষনে আমরা সবাই চূড়ান্ত পর্বের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে জোট বদ্ধ হওয়ার শপথ নেই। শপথ নেই, সেই স্বাধীনতার জন্য যা আমাদের দেবে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মুক্ত মানব সমাজ, যেখানে থাকবে না জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও এপ্রকার শোষণ ও বঞ্চনা। Pledge-of-Independence Pledge of Independence

মানব সম্পদ উন্নয়নে সরকার ও পুঁজিপতিদের ভূমিকা

Goutam Ray আমার কবিতাটা বোধহয় ভোট নিয়ে ছিল না। চাইলে আরেকবার পড়েও নিতে পারেন। ছিল সত্যিকারের মানবিক মূল্যবোধ আছে এমন মানুষ পাওয়ার আর্তি। আপনি সেদিকটা না গিয়ে অন্যদিকে কেন গেলেন বুঝতে পারিনি। তবু কিছু কথা বললেন বলে, আমিও কিছু কথা আপনার সঙ্গে শেয়ার করলাম। এবারও তাই করছি। কারণ ইতিমধ্যেই আপনার আলোচনা আমার কবিতার বিষয় কে ছাড়িয়ে অন্য ময়দানে এসে পৌঁছেছে। ১) সমাজে সচেতন আর অচেতন বলে দুটো শব্দ প্রচলিত আছে। প্রচুর মানুষ আছেন, যারা এই দুটো শব্দের দ্বারা অলংকৃত হচ্ছেন। পৃথিবীর সব মানুষই এর কোন না কোন একটা পর্যায়ের মধ্যে পড়েন। আমি কোন পর্যায়ের সেটা আমি জানলেও তার কোন মূল্য থাকে না যতক্ষণ না সচেতন মানুষ এই মূল্যকে স্বীকৃতি দেয়। তাই আমি কখনোই দাবী করিনি, আমার কবিতায়, যে আমি সচেতন এবং অন্যরা অচেতন। এটুকু চেতনা আমার আছে, যে নিজের ঢাক নিজে পেটালেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণিত হয় না। নিজের কাজের মধ্য দিয়েই তার প্রকাশ ঘটে, তারপর মানুষই তার স্বীকৃতি দেয়। যাঁরা স্বীকৃতি দেয়, তাদের নিশ্চয়ই সেই স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষমতা এবং অধিকার - দুটোই আছে। তাই সচেতন মানুষের উপরেই আমার স্বীকৃতি নির্ভর করে। তবে,

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে দেশের উন্নয়নের সম্পর্ক

Goutam Ray দেশ ভরা 'লোক' নয়, বলেছি দেশ ভরা 'মানুষ' চাই। আচ্ছা, এই দুটো শব্দ যে সমার্থক নয়, এটা আপনি জানেন না? যদি না জানেন, আমি কী বা করতে পারি বলুন? আপনি যে অর্থে 'মানুষ' কথাটা ব্যবহার করলেন, দ্বিতীয় কেউ এই অর্থে ব্যবহার করবেন বলে মনে হয় না। যাই হোক, দেশে মানুষের সংখ্যা কমলে দেশের সংকট তৈরি হয়। জনসংখ্যা বাড়লে সেটাও সংকটের কারণ হয়, যদি না তাকে মানুষ করে তোলা যায় অর্থাৎ জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত না করা হয়। তবে, জনসংখ্যা যদি অত্যধিক হয়ে যায়, তাহলে সেই জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা খানিকটা কঠিন হয় একথা সত্য। কিন্তু এই জনসংখ্যাকে মানুষ বা মানব সম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব কার? আমার, না আপনার, না সরকারের? ভেবে দেখেছেন কখনো? যদি বলেন, হ্যাঁ দেখেছি, তাহলে তার ব্যাখ্যা কী, জানতে খুব ইচ্ছা করে। জানালে খুশি হব। তবে আমি জানি। জানি যে শুধু জনসংখ্যা কমালেই দেশের উন্নতি হয় না। ব্যাপারটাকে আমি এভাবে দেখি : ১) দেশের জনসংখ্যা অত্যধিক হলে সমস্যা হয়। ২) পরিমিত জনসংখ্যাই দেশের জন্য মঙ্গলজনক, একথা ততক্ষণ ঠিক, যতক্ষণ সরকার সেই জনসংখ্যাকে উপযুক্ত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য

আলোর ক্ষমতা

অন্ধত্বের ক্ষমতা নেই আলোকে আড়াল করার।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে