Rita Basu ব্যাটারি থাকা পর্যন্ত ঘড়ি যেমন চলতে থাকে। মানুষের চিন্তাও তেমন মৃত্যুর শেষ ক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে। তাই চিন্তা না করে থাকা সম্ভব না। আপনি তো ফিলোসফির টিচার। সুতরাং আপনিও জানেন জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি হৃদপিণ্ড যেমন বিরামহীন ভাবে চলে, তেমনি মানুষের চিন্তাও একই সময় কাল ধরেই প্রতিক্ষণ চালু থাকে। সুতরাং চিন্তা মুক্ত থাকা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আপনিও তা পারবেন না, আমিও পারবো না। ঠিক বললাম তো ম্যাডাম?😀 তবে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা খুব জরুরি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার। আর ভয়টাও ছোটবেলা থেকে আমার কম। তাই দুশ্চিন্তাও আমার মধ্যে টপ করে আসে না। তবে আমি খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি, আমার পোস্টে এসে কেউ যাতে অযাচিত কোন মন্তব্য না করেন। করলে তাকে প্রথম যুক্তি ও তথ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি। তাতেও না কাজ হলে সাবধান করি। আপনার প্রথম মন্তব্য থেকে বুঝলাম যে, কেউ কোন ভদ্রলোককে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে। একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষকে কেউ যদি অপমান অপদস্থ করে, সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আর আমার ওয়ালে এসে সেটা করার অনুমতি আমি কাউকে দিই না। কেউ করলে তাকে ছাড় দেয়ার ইচ্ছাটা
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ