আরামের আর এক নাম কী? আরামের আর এক নাম ব্যারাম শরীরকে যত আমারে রাখা যায়, তত সে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কমজোরী করে ফেলে। কারণ, একাজে সে বাইরের সাপোর্ট পাচ্ছে। নিজের প্রতীক্ষার কৌশল তাই সে আর খোঁজার, ব্যবহার ও তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করে না। এভাবে চলতে থাকলে একসময় শরীর তার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পুরোপুরি বাইরের বিষয়ের ওপর ছেড়ে দেয়। ফলে বাইরের শত্রুর আক্রমন ঘটলে সে অসহায় বোধ করে। একসময় হাল ছেড়ে দেয়। শরীর আক্রান্ত হয় রোগে। তাই আরামের আর এক নাম ব্যারাম। যেমন ধরুন, প্রচন্ড গরম পড়ছে। আপনি গরমে হাসফাঁস করছেন। একটু বাতাস হলে ভালো হয়। আপনি পাচ্ছেন না তার ব্যবস্থা করতে। এই সময় শরীর নিজেকে রক্ষার জন্য নিজেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুরু করে নিজেকে ঠান্ডা করার কৌশলকে সক্রিয় করতে। শুরু হয় ঘাম। উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছে, শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজেকে রক্ষা করবে। ঘাম তার সূচনাকারী সংকেত। এই ঘাম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটা শরীরের নিজস্ব এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থা। সমস্যা হল, এই কাজ করার জন্য শরীর তার নিজস্ব সঞ্চয় থেকে জল খরচ করে। ফলে জলের ঘাটত
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ