Ayesha Khatun দুঃখিত। আপনি আমার লক্ষ্যটা ধরতে পারেন নি। সাচার কমিটির তথ্যের কোনো বিরোধিতা এখানে করিনি। 😀 বোঝার চেষ্টা করেছি এই অবস্হার জন্য ঠিক কে কতটা দায়ী। সরকার না আমরা নিজেরা। এবং কেন। তাছাড়া, টাকা দিয়ে কিনতে গেলেও একটা যোগ্যতার লেবেল লাগে। এবং টাকা দিয়ে যখন চাকরি পাওয়া যায়, তখন কে হিন্দু আর কে মুসলিম বিষয়টি গুরুত্ব হারায়। যার টাকা তার চাকরি। আমি নিজে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। দুই ও তিন নম্বরের পার্থক্য সামনে রেখে আমি প্রথম হয়েছিলাম। স্কুল কমিটি আমাকেই প্রথম অফার দিয়েছিল চাকরি নেওয়ার জন্য। আমার দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না, দেওয়ার ইচ্ছাও ছিল না। তাই আমার চাকরিটি হই নি। হল কার? দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের অধিকারীর মধ্যে টাকা দেওয়ার লড়াইয়ে তৃতীয় জনই শেষমেশ চাকরিটা নিলেন। বলে রাখি ওই দুজনের কেউই আমার সম্প্রদায়ের ছিল না। সুতরাং এখানে সম্প্রদায়টা কোনো ফ্যাক্টর নয়। এখানে টাকাটাই প্রধান শর্ত। আমার পোস্টের লক্ষ্য সম্প্রদায় হিসাবে মুসলিমরা কেন পিছিযে তার উৎস বোঝার চেষ্টা। দুর্নীতি আমার পোস্টের লক্ষ্য নয় সাথি। যাই হোক, ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভসন্ধ্যা। উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ