সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্ম বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধর্ম কী?

ধর্ম কী What is religion? মানুষের ধর্ম হলো মানুষের ভালো করা। ভালোর জন্য কাজ করা। মানুষের জন্য এর বাইরে কোন ধর্ম নেই। আমরা সাধারণ মানুষ যাকে ধর্ম বলি তা কি সত্যিই ধর্ম?এর সোজাসুজি উত্তর, না। হিন্দু, ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন .... এগুলো তাহলে কী? এগুলো আসলে এক একটা প্রতিষ্ঠান মাত্র। এদের কাজ মানুষের প্রকৃত ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা। কেন মানুষ এই ধর্ম পালন করবে, না করলে কীভাবে তা মানুষের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে ইত্যাদির ব্যাখ্যা করা। অর্থাৎ মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যাবার কথা প্রচার করাই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ। এর বাইরে কিছুই নয়। আপনি যদি মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যান, আপনার দ্বারা যদি কোন মানুষের অকল্যাণ সংঘটিত না হয় তাহলে আপনি একজন প্রকৃত ধার্মিক। আর এটা করতে পারলে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা আপনার জন্য আবশ্যিক নয়। আসলে যুগ যুগ ধরে ধর্ম সম্পর্কে আমাদের কিছু অযৌক্তিক এবং মনগড়া বিধে-বিধান তৈরি করে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে সেই বিধানগুলো মেনে চলাই হচ্ছে ধর্ম। এই বিধি বিধান গুলো মেনে চললেই আপনার ধর্ম পালন করা হবে এবং ধর্ম পালন হলে পরম করুণাময় ঈশ্বর আপনার হাজারো অপরাধ ক্ষমা করে

বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য

বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য : আলী হোসেন যে বিশ্বাস মানুষকে মানুষ হত্যায় প্ররোচিত করে, সে বিশ্বাসে বিশ্বাসী হওয়ার চেয়ে, অবিশ্বাসী হওয়া ভালো।  - আলী হোসেন । কারণ, অবিশ্বাসীরা মানুষ হত্যায় নয়, মানুষকে ভালোবাসায় বিশ্বাস করে। কেননা, তারা জানে এবং মানে, মানুষ ছাড়া মানুষের আর কোন বান্ধব নেই। বিশ্বাস করে, মানুষ ছাড়া মানুষকে রক্ষায় অন্য কেউ এগিয়ে আসে না। অন্যদিকে, বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ অথবা ‘রাখে হরি মারে কে’ -এই বহুল প্রচলিত প্রবাদে। অর্থাৎ তাদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া মানুষের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই পৃথিবীতে কিছু ঘটানোর। যা কিছু ঘটে, তা তারই দ্বারা অথবা তারই নির্দেশে। কিন্তু সত্যি কি তাই? যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য কী বলে? ইতিহাসের পাতা উল্টালে আমরা দেখতে পাই এ পৃথিবীর যা কিছু পরিবর্তন, তা নেতিবাচক অথবা ইতিবাচক, যাই হোক না কেন, তার মূল কারিগর মানুষ। এই মানুষই নিজের ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীগত স্বার্থে নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করেছে। তার বিচার হয়নি। আর যদি হয়, তা হয়েছে আর একদল মানুষের হাতে। আবার বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের ঘর অন্য পক্ষের বিশ্বাসীরা এসে নির্দ্বি

ধার্মিক হওয়ার চেয়ে মানবিক হওয়া জরুরী

আমি যদি ধার্মিক হই আমাকে স্বীকার করতেই হবে স্বার্থ (পাপস্খালন), স্বাস্থ্য আর সর্বই আমার অভীষ্ট লক্ষ্য। আমি যদি মানবতাবাদী হই আমার অভিষ্ট লক্ষ্য মানুষকে ভালোবাসা। মানুষকে ভালবাসলে মানুষের কল্যাণ হয় যা অভীষ্টের সাথে সাথে আমাকেও সুখ দেয়। তাই ধার্মিক হওয়ার চেয়ে জরুরী। প্রসঙ্গ জানতে  এখানে ক্লিক করুন

ধর্ম ও ধর্মব্যবসায়ীর সম্পর্ক

ধর্ম ও ধর্মব্যবসায়ীর সম্পর্ক  Relationship between religion and religious traders যে ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে মানুষের মুক্তির জন্য, সেই ধর্মই যখন মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে,তখন বুঝতে হবে সে-ধর্ম ধর্মব্যবসয়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ধর্মব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল ধর্মপ্রাণ মানুষদের ধর্মগুরু বা ধর্মীয় নেতাদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস, যা আসলে একধরণের অন্ধত্ব। আধুনিক শিক্ষার আলোয় যারা আসতে পারেনি, তারাই এই  অন্ধত্বের শিকার। ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের এই অন্ধত্বকে খুব সহজে কাজে লাগাতে পারে। কারণ, এই ধর্ম প্রাণ মানুষগুলো অলৌকিক শক্তির উপর ভরসা ও বিশ্বাস করে। সঙ্গে, এও বিশ্বাস করে যে, ধর্মগুরুদের অনুসারী হয়ে চললে এবং ধর্মের অনুষ্ঠানিকতা, আচার-বিচার অনুসরণের সাথে সাথে ধর্মীয় নেতা ও সংগঠনে দান-ধ্যান করলেই ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জীবনে সাফল্য অর্জন সহজ হয়ে যায়। এদের এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই ধর্মব্যবসায়ীরা নিজেদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করে।

নামাজ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার সঙ্গতি ও অসঙ্গতি

১) হযরত মুহাম্মদ এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ। ২) নবুয়ত পেয়েছেন ৬১০ খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে ৩) নবীজি মেরাজে গেছেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে নবুওয়াতের ১২ তম বছরে ৪) হিজরত করেছেন ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে। অর্থাৎ মদিনায় গেছেন। বলা হয় নবীজি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে এসেছেন মেরাজে গিয়ে ( ৬২২সালে)  আল্লাহর কাছ থেকে। ---- সূত্র হলো  ১) বুখারী শরীফের 349 নম্বর হাদিস  ২) মুসলিম শরীফ 401 নম্বর হাদিস। বলা হচ্ছে  ১) সূরার রুম এর ১৭ এবং ১৮ নম্বর আয়াতে চার ওয়াক্ত নামাজের কথা বলা আছে। ২) সূরা তোহা ১৩০ নম্বর আয়াতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের ইঙ্গিত করা হয়েছে ৩) সূরা নূরের 58 নম্বর আয়াতে এশার নামাজের কথা বলা হয়েছে। ৪) সূরা মায়েদার ২৩ নম্বর আয়াতে দায়নি সালাতের (সার্বক্ষণিক সালাত) কথা বলা হয়েছে। এই সালাতকে দু ভাগে ভাগ করে আদায়ের কথা বলা আছে। একটি প্রকাশ্য  অন্যটি অপ্রকাশ্য - আত্মসমালোচনা করার জন্য। ৫) সূরা নিসার ১৫১ ও ৫২ নম্বর আয়াতে নামাজের কথা বলা হয়েছে এখন দেখুন : ১) সূরা রুম নাজিল হয়েছে ৬১৫ সালে। অর্থাৎ নবুয়াতের পাঁচ বছর পর এবং মেরাজের ৭ বছর আগে। ২) সূরা ত্বহা আবির্ভূত হয়েছে ৬১৬ সালে। অর্থাৎ ন

ধর্মের সঙ্গে গণতন্ত্র ও অসাম্যের সম্পর্ক

The-relationship-between-religion-and-democracy-and-inequality যে দেশের মানুষ যত বেশি ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস অবলম্বন করে বাঁচে সেদেশের গণতন্ত্র তত দুর্বল হয় এবং রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য তত বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। আসলে ধর্ম ও অন্ধ বিশ্বাস পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। বলা ভালো, ধর্মের যারা ধারক ও বাহক বলে নিজেদের দাবি করে, তারাই এই দুটোকে পাশাপাশি রেখে দেয়। এই রাখার পিছনে তাদের প্রধানত দুটো উদ্দেশ্য কাজ করে। ১) আর্থিক এবং ২) রাজনৈতিক। ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে একমাত্র বিশ্বাস। কারণ, বিশ্বাস বাদ দিলে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের আর কিছু থাকে না। কেননা, জাগতিক সব কিছুকে যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার করা সম্ভব। কিন্তু ঈশ্বেরর ধারণা এভাবে বিচার করা যায় না। বিচার করা যায় না তার বড় কারণ, ধর্ম দর্শন অনুযায়ী স্বয়ং ঈশ্বর-ই এ বিষয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করেন। তার স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁকে নিশর্ত বিশ্বাস করতে হবে। কোনো প্রশ্ন বা সংশয় প্রকাশ করা যাবে না। এই বিশ্বাসের দর্শন সবচেয়ে সহজ একটা পন্থা যা দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ধর্মের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকে এক শ্রেণির মানুষ তাদের আর্থি

বর্তমান সময়েও ধর্মের টিকে থাকার কারণ

ধর্ম দু'ধরনের। একটা মানসিক বা মানবিক। অন্যটা প্রাতিষ্ঠানিক। মানবিক ধর্মের জন্ম হয় মানুষের অন্তরে। এর কোন প্রতিষ্ঠাতা নেই। মানুষের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই তার অন্তরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জন্ম নেয় এই ধর্মবোধ। অন্যদিকে, পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষ তার অন্তরে জীবন ও জগত সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা, ভালোবাসা ইত্যাদির জন্ম হয়, তার উপর ভিত্তি করে তার যে বিশ্বাস গড়ে ওঠে, তা-ই প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। তাই এর প্রতিষ্ঠাতা আছে। আছে প্রচারক সংগঠন। একজন মানব শিশু যখন জন্মায় তখন তাকে শিখিয়ে দিতে হয় না মানুষকে ভালোবাসার কথা, টিফিন ভাগ করে খাওয়ার কথা। এগুলো তার মানবিক ধর্মের প্রতিফলন। এগুলো নিয়েই সে জন্মায়। কিন্তু তাকে শিখিয়ে দিতে হয় কে আপন, কে পর। তাকে শিখিয়ে দিতে হয় তার প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম কী। কীভাবে চালাকির আশ্রয় নিয়ে, সত্য গোপন করে, নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে হয়। মৃত্যু ভয় ও রোগ-ব্যাধির ভয় আছে বলেই ধর্ম নামক প্রতিষ্ঠানটা এখনো টিকে আছে। যারা এই ভয় পায় না, তারাই প্রাতিষ্ঠানিক ধার্মিকদের কাছে নাস্তিক নামে পরিচিতি পেয়ে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম তারা পালন করে না। অন্যদিকে মানব ধর্মকে তারা অক্ষরে অ

প্রার্থনার জন্য কী নামাজ পড়ার দরকার আছে?

What is the need to pray (Namaz) for prayer? সালাত ( যার প্রচলিত অর্থ নামাজ ) প্রার্থনা করার জন্য নয়। প্রার্থনার জন্য নির্জন বা নিভৃত স্থান দরকার হয়। যেখানে মন সংযোগের ব্যঘাত ঘটে না, সেটাই প্রার্থনার জন্য উত্তম স্থান। নামাজ বা সালাতের প্রধান উদ্দেশ্য হল কোরানের পাঠচক্র। এখানে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে জীবনের সহজ সরলভাবে পথ চলার উপায় খোঁজার চেষ্টা করেন। ইসলামি ধর্ম দর্শন অনুযায়ী, কোরআনে তা সহজ ও সরলভাবে বর্ননা ও ব্যাখ্যা করা আছে। তাই নিয়মিত কোরান পাঠের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করা এবং তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার শক্তি অর্জন করাই নামাজে হাজির হওয়ার গুরুত্ব। কীভাবে 

কোরআন বাংলায় পড়ার প্রয়োজন কেন

কোরআন না পড়ে তথাকথিত আলেম ও হুজুরদের কথা মত ধর্ম পালন করতে গেলে নবীজির সম্মান বাড়বে না বরং নষ্ট হবে। অনুগ্রহ একটু বাংলায় কোরআন পড়ার অভ্যাস করুন। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

কোন পশু কুরবানী করা উচিৎ

বনের পশুর চেয়ে মনের পশুর কুরবানী অনেক বেশি জরুরি।

ধর্ম ও বিজ্ঞানের পার্থক্য

বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান। বিশেষ জ্ঞান হল সেই জ্ঞান যা অলংঘনীয়। এটাকেই আবার অন্যভাবে বলা হয় প্রাকৃতিক নিয়ম। একজন শিক্ষিত মানুষের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তিনি এই প্রাকৃতিক নিয়মগুলো জানেন, বোঝেন এবং মেনে চলেন। যারা এটা মেনে চলেন না বা বোঝেন না তারা লেখাপড়া শিখতে পারেন কিন্তু শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেননি। ধর্ম এ ধরনের কোনো বিশেষ জ্ঞান বা বিজ্ঞান নয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ম নয়। এটা একটা সামাজিক নিয়ম বা বিধি যার ভিত্তি বিশ্বাস। এগুলো মেনে চললে কখনও কখনও মানুষের সমাজ জীবন ও ব্যক্তিজীবন অনেকটাই সুশৃঙ্খলিত হয়। জীবনযাত্রার মান কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়ে। এই ইতিবাচক ফলাফল কেবল তখনই লক্ষ্য করা যায়, যখন এই বিধিবিধানগুলির সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মের সামঞ্জস্য থাকে। তবে এই ধর্ম সেই ধর্ম নয়, যা প্রাতিষ্ঠানিক বা আচার-বিচার সর্বস্ব।

কোরআন শব্দের অর্থ

বারবার পড়। ইকরা শব্দের অর্থ পড়। আলেম অর্থ জ্ঞানী।

ধর্ম ও পেটের ক্ষিধে

ধর্ম আপনার মনের ক্ষুধা মেটাতে পারে (মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে), পেটের ক্ষুধা নয়। ব্যতিক্রম ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এরাও না খেয়ে মরবে, যদি আপনি ধর্মটাকে যুক্তিবোধের ছাঁকনিতে ছাঁকতে পারেন।

ধর্ম কী

ধর্ম আসলে একটা পোশাক, যা আমাদের বহিরঙ্গের পরিচয় দেয়। শিক্ষা হচ্ছে আমার আত্মা যা অন্তরাত্মার পরিচয় দেয়। সত্যিকার মানুষের পরিচয় দেয় এই শিক্ষা। আকাডেমিক শিক্ষা আসলে একটি মাধ্যম যা প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে সাহায্য করে।

ধর্মীয় নয়, মানবতাবাদী ভাবাবেগই একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

যে দেশে মানবতাবাদি ভাবাবেগের চেয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগ বেশি গুরুত্ব পায় সে দেশ বা জাতি পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। আমরা তাই পিছিয়ে পড়ছি। প্রসঙ্গ : 

কোরআন পাঠের তাৎপর্য

এখন কোরআন পড়ছি। যত পড়ছি, গভীরে ঢুকছি, তত মনে হচ্ছে চারপাশে মুসলমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন বলুন তো এমন মনে হচ্ছে? কারণ, কো রা নি (কোরআন অনুসরণকারী) মুসলমানের চেয়ে দেশে হাদিসি (হাদিস অনুসরণকারী) মুসলমানের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেশি।  তাতে সমস্যা কোথায়? বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

প্রকৃত ধর্ম বিদ্বেষ শেখায় না

মানুষ হয়েও যারা জাত ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ পোষণ করেন এবং তা ছড়ান, তিনি মানুষ তো নয়ই, ধার্মিকও নয়।  কারণ প্রকৃত ধর্ম (সে যে ধর্মই হোক) মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। বিদ্বেষ শেখায় বকধার্মিক বা ধর্ম ব্যবসায়ীরা। এই বিদ্বেষ ভযঙ্কর হয়ে ওঠে যখন তা রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে।

প্রকৃত মানুষ হতে পারলে আস্তিক বা নাস্তিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না

প্রকৃত মানুষ হতে পারলে, কাউকে আস্তিক বা নাস্তিক, কিছুই হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই সব কিছুর আগে, মানুষ হওয়াটা খুব জরুরি। প্রথম প্রকাশ :  YourQuote  (৭ই জুন ২০২১) দ্বিতীয় প্রকাশ :  ফেইসবুক

পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক কী?

পৃথিবীর সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক   লিখছেন আলী হোসেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক হল ঈশ্বর-কেন্দ্রিক বিতর্ক। কারণ, ঈশ্বর আছেন অথবা নেই এই দুইয়ের কোনটারই প্রমাণ নেই। অদুর ভবিষ্যতে যে তাদের প্রমাণ পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনাও নেই। তাই অহেতুক এই বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া পন্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়। লক্ষ কোটি বছর ধরে মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে লড়াই করেছে এবং এখনও করে চলেছে। নিট ফল শুন্য। ঈশ্বর থাকলে আছেন। না থাকলে নেই। যে যেভাবে ভাবতে চান, ভাবুন। সেই ভাবনা থাক নিজের মধ্যে। নিজের ভাবনাকে অন্যের ওপর চাপাতে গেলেই তৈরি হয় সঙ্কট। নিজের ভাবনার বিষয় যদি হয় মানুষের মঙ্গল সাধন, আর যদি ঈশ্বর থাকেন, তিনি এতেই বেশি খুশি হবেন। কারণ, নিজের সৃষ্টিকে কেউ ভালবাসলে, তার মঙ্গলকামনায় কাজ করলে সৃষ্টিকর্তা খুশি না হয়ে পারেন না। কারণ, যদি তিনি তা না হন, তবে তিনি দাতা, দয়ালু ইত্যাদি বলে নিজেকে দাবি করতে পারবেন না। অন্যদিকে, যিনি ভাবছেন নেই, তিনিও যদি মানুষের ভালোর জন্য জীবন উৎসর্গ করেন অথবা অন্যের ক্ষতি না করেন, তবে তিনিও কোন অন্যায় করছেন না। অন্যদিকে, ঈশ্বরকে স্বীকার না করেও তিনি যে কাজ করছেন, তা যে ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষ

ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তাকে) পাওয়ার উপায়

ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তাকে) পাওয়ার উপায় - আলী হোসেন  সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার জন্য (খুশি করার জন্য) তার নামে প্রার্থনার প্রয়োজন হয় না; প্রয়োজন হয় তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসার। আর সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ। যে মানুষ এটাই বোঝেনা, সে আর যাই হোক, ধার্মিক নয়। দেখুন Your Quote এ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন