১) হযরত মুহাম্মদ এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দ।
২) নবুয়ত পেয়েছেন ৬১০ খ্রিস্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে
৩) নবীজি মেরাজে গেছেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে নবুওয়াতের ১২ তম বছরে
৪) হিজরত করেছেন ৬২৩ খ্রিস্টাব্দে। অর্থাৎ মদিনায় গেছেন।
বলা হয় নবীজি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে এসেছেন মেরাজে গিয়ে ( ৬২২সালে) আল্লাহর কাছ থেকে।
---- সূত্র হলো
১) বুখারী শরীফের 349 নম্বর হাদিস
২) মুসলিম শরীফ 401 নম্বর হাদিস।
বলা হচ্ছে
১) সূরার রুম এর ১৭ এবং ১৮ নম্বর আয়াতে চার ওয়াক্ত নামাজের কথা বলা আছে।
২) সূরা তোহা ১৩০ নম্বর আয়াতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের ইঙ্গিত করা হয়েছে
৩) সূরা নূরের 58 নম্বর আয়াতে এশার নামাজের কথা বলা হয়েছে।
৪) সূরা মায়েদার ২৩ নম্বর আয়াতে দায়নি সালাতের (সার্বক্ষণিক সালাত) কথা বলা হয়েছে। এই সালাতকে দু ভাগে ভাগ করে আদায়ের কথা বলা আছে।
একটি প্রকাশ্য
অন্যটি অপ্রকাশ্য - আত্মসমালোচনা করার জন্য।
৫) সূরা নিসার ১৫১ ও ৫২ নম্বর আয়াতে নামাজের কথা বলা হয়েছে
এখন দেখুন :
১) সূরা রুম নাজিল হয়েছে ৬১৫ সালে। অর্থাৎ নবুয়াতের পাঁচ বছর পর এবং মেরাজের ৭ বছর আগে।
২) সূরা ত্বহা আবির্ভূত হয়েছে ৬১৬ সালে। অর্থাৎ নবুয়তের ৬ বছর পর এবং মেরাজের ৬ বছর আগে।
তাহলে প্রশ্ন হল :
১) কোরআনের সালাতের সঙ্গে হাদিসের সালাতের আবির্ভাবের সময় সম্পর্কে ধারণা মিলছে না। কেন?
২) মেরাজ থেকে নামাজের নির্দেশ আনার আগেই কোরআনে নামাজের কথা বলা হয়েছে। তাহলে কোন সালাতের কথা মুসলিমরা মেনে চলবে? হাদিস বর্ণিত নামাজ না কোরআন বর্ণিত সালাত?
৩)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন