সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অশিক্ষিত কে?

আমি চাকরি করি। সরকারি কিম্বা সরকার পোষিত কোন সংস্থায়। মাইনে কত পাই? একটা বেসরকারি সংস্থার থেকে তিন থেকে চার গুণ। বিশাল ভালো না থাকলেও অনেকটাই নিশ্চিন্তে আছি। কারণ, চাকরি যাওয়ার ভয় নেই। মাইনে যা পাই তাতে অভাবটাও বুঝতে পারি না।

কিন্তু কাজে ফাঁকি দেওয়া কিম্বা ঘুষ নেওয়ায় আমি ওস্তাদ। কারণ,তাতে আমার কোন ক্ষতি দেখিনে। উল্টে ঘুষ নিতে পারলে বাড়তি পাওনা। আমার মত চালাক কে আছে?

ঠিক। আমি খুব চালাক। বুদ্ধিমান কি?

আচ্ছা একটু ভেবে দেখি তো! দেবে দেখলাম। কী পেলাম?পেলাম -

১) আমার এই ফাঁকি দেওয়া দেখে আর একজন ফাঁকি দিতে অথবা ঘুষ নিতে উৎসাহিত হবে। কারণ,এই কাজে আমি আমার যদি কোন দোষ না দেখি, অন্য মানুষ কেন দোষ দেখবে?সেও আমারই মত সুযোগ পেলে আমার কাছ থেকেও ঘুষ চাইবে। না দিলে সময়মত কাজটা করে দেবে না।

২) সবাই আমার মত ফাঁকি দেয় না বা ঘুষ নেয় না জানি। আমার মত গুটিকতক চালাক লোকই এটা করতে পারে। বোকারা পারে না।

আপনিও তাই ভাবেন?যদি ভাবেন, তাহলে আপনিও আমার মত মস্তবড় চালাক বটে,কিন্তু সেই সঙ্গে মস্তবড় লেখাপড়া জানা ও ডিগ্রিধারী একজন মানুষ। সেই সঙ্গে আমার মতই আপনিও মস্তবড় একজন অশিক্ষিত মানুষ।

কেন?

সেটাও ভেবে দেখলাম -

১) আমার মত কিছু মানুষের এই মানসিকতা কে অজুহাত করে পুঁজিবাদী সরকার সরকারি চাকরির ক্ষেত্রগুলো বেসরকারি করে দিচ্ছে। এতে আগামী দিনে নিজের সন্তানের নিশ্চিন্তে চাকরি করা এবং তিন চারগুণ টাকা মাইনে পাওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকবে না।

২) সরকারি সেক্টর গুলো থেকে যে আয় হয় তা থেকে সরকার দেশের মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মানুষদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবা দিয়ে থাকে। আমার ফাঁকিবাজি ও ঘুষ নেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে কী হবে? এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। সমাজে চুরি ডাকাতি খুন সন্ত্রাস আরও বাড়বে। আমি যে তার কবলে পড়বো না কোন গ্রারান্টি নেই।

৩) শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান না থাকলে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়বে। আপার পাশের বাড়ির মানুষ শিক্ষার ও অর্থের অভাবে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। যেমন,খোলা জায়গায় জল জমিয়ে রাখলে কী ক্ষতি হবে অথবা সেখানে সেখানে ময়লা বা থুতু ফেললে কী ক্ষতি হবে সে জানবে না। ফলে ফেলবে। সেখানে মশা বা রোগজীবাণু জন্মালে আমাকেও তাতে আক্রান্ত হতে হবে। কারণ, রোগজীবাণু তো শ্রেণি কানা। কে বড়লোক,কে দোষী এসব দেখে তাকে আক্রমন করে না।

আরও অসংখ্য উদাহরণ ভাবনায় আসছে। কিন্তু সময় নেই। আবার পরে বলবো। আজ এই পর্যন্ত।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন