সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রসঙ্গ : প্রেমজি কেন পাকিস্থানে গেলেন না। বিপুল পালের বিশ্লেষণ ও কিছু প্রশ্ন

Bishal Paul বাহ! আপনি তো মনে হচ্ছে রিসার্চ করেছেন প্রেমজিকে নিয়ে। ভালো। আচ্ছা স্বাধীনতা তো সাত দশক পার করলো। অনেক মানুষই তো দেশের টাকা, দেশের ব্যাংকের টাকা লুট করে কেটে পড়লো। বিদেশে কালো টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। এগুলো তো হামেশাই করা যায়? যায়না? এদের নিয়ে কোনদিন রিচার্জ করেছেন?  তারা কেটে করলো কেন? যদি করেন একটু ব্যাখ্যা দিতেন সমৃদ্ধ হতাম আর কি! আচ্ছা, প্রেমজি তাঁর ব্যবসা গুলো আস্তে আস্তে বিক্রি করে দিয়ে পাকিস্তান বা অন্য কোনো মুসলিম  সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কিংবা অন্য কোনো ধনী দেশে চলে যেতে পারতেন না? গিয়ে সেখানে ব্যবসা করতে পারতেন না? করলে ঠিক কতটা ক্ষতি হতো প্রেমজি? প্রেমজি এখন পারেন না, অন্য জায়গায় চলে যেতে? গেলে কিভাবে কতটা লস হবে? বছরে যত টাকা তিনি দান করেন, তারচেয়েও বেশি লস হয়ে যেত? একটু রিসার্চ করে দেখুন তো? কি কারণে তিনি তা করেন না? আচ্ছা দেশের অন্যান্য ধনী ব্যক্তিরা রাম মন্দির নির্মাণে যত কোটি টাকা ডোনেশন দিয়েছেন, তেমন করে প্রেমজি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য এমন একটা পৃথিবী বিখ্যাত বড়ো মসজিদ তৈরি করে দিতে পারতেন না? আচ্ছা দিলেন না কেন? এটাও একটু রিসার্চ করে দেখবেন?

যাদুকরি ক্ষমতা সন্ধান : ডাক্তারদের অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই সরকার হাসপাতাল গড়ে দেবে!!

Arobindo Lahori বাহ ! জেনে ভালো লাগছে যে, আপনি এবার বুঝতে পারছেন, ঠাকুরের পায় এক টাকা ছুঁড়ে দিয়ে বাহাদুরী করা যায় না। এটাও নিশ্চয়ই বুঝেছেন, যে মন্দির মসজিদে ভক্তি দেখিয়ে রোগমুক্তিও হয় না। আর মন্দির বানিয়েও কোন লাভ নেই। তার জন্য ডাক্তারের প্রয়োজন হয়, হাসপাতালের প্রয়োজন হয়। এটা যে বুঝেছেন, এবং মন্দিরের সঙ্গে রোগমুক্তির সম্পর্ক সম্পর্কে আপনার যে মোহভঙ্গ হয়েছে, জেনে ভালো লাগছে। আচ্ছা, আপনি কি করে বুঝলেন আমরা ঠাকুরের পায়ে পয়সা ছুঁড়ে বাহাদুরি দেখাই? তাও আবার বাংলাদেশে থেকে? ডাক্তাররা রোগীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলে দিচ্ছে সেটা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটাই বা কী করে বুঝলেন? জাদু-টাদু জানেন নাকি? আমি আবার জাদু-টাদু তে বিশ্বাস করিনা। ফলে এই ক্ষমতাটা আমার নেই; মানে শেখা হয়নি আর কি! ডাক্তারদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন তো করতেই হবে। আমাদের এখানকার রাজ্য সরকার সে চেষ্টা করছে শুনছি, জনগণের প্রতিবাদের কারণে। আপনারাও আপনাদের ওখানে করুন। আমরা কি বারণ করেছি? আচ্ছা, ডাক্তারদের অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে হাসপাতাল এমনি এমনি তৈরি করবে সরকার? এ তো জাদুর কথা বলছেন আপনি। প্লিজ একটু ব্যা

প্রসঙ্গ : মুসলিম তোষণ, গুজব ও বাস্তব

Tapas Das বলব, বলার পরেও এ কথার কোন মানে আছে? আপনার চোখে না পড়ার মানে তো এ হতে পারে না যে আমি বলিনি। হয় কী? আমার নির্দিষ্ট একটা অবস্থান এবং কৌশল আছে। আর সে কৌশলকে আমি গোপন রাখি না আপনার কাছে। আমি বারবার সে কথা আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আপনি বোঝেন নি। কারণ আপনার মাথায় গেঁথে রয়েছে আমি তৃণমূলের পক্ষের লোক। রাজনীতি অতটা সোজা না, এটা আপনার মাথায় রাখা উচিত। জগতে যত কঠিন বিষয় আছে, রাজনীতি তার মধ্যে প্রথম সারিতে পড়া একটা অন্যতম বিষয়। এটা ঠিকঠাক বুঝতে গেলে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর ইতিহাসটা ভালো করে আত্মস্থ  করতে হয়। মনে হল আর বলে দিলাম, কানে এল আর শুনে নিলাম, এটা খুব কাঁচা রাজনীতির কাজ। এতে শত্রুর চেয়ে নিজের ক্ষতিটা বেশি হয়। এটা যেদিন বুঝবেন, সেদিন আমার কথার মানে বুঝতে পারবেন। অনুগ্রহ করে ভাববেন না যে আমি আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছি। আপনার কথার প্রেক্ষিতে কথাগুলো এল, তাই বললাম। আপনার বোধ হয় জানা নেই, এই তৃণমূল আর বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ। এরা একে অপরের পিঠ বাঁচিয়ে চলে। আমার এই কথা শুনে হয়তো ভাবছেন যে, এই কথাটাই তো আমি বলি, আপনি মানতে চান না। কেন মানি না জানেন? মানি না এই কারনে যে, আপনার

মসজিদ হলেও কি এমন প্রশ্ন করা যেত?

Santanu Ray আমি খুবই স্পষ্ট বাদী। মুখ আর মুখোশের চারপাশে যে ছড়াছড়ি তার অভিজ্ঞতা আপনার মত আমারও আছে। আমি কাছ থেকেই দেখেছি সেই মুখ আর মুখোশের আড়ালে সাম্প্রদায়িকতার চোরাস্রোত। এবার আপনার আসল প্রশ্নে আসি। মুখোশ নেই তাই মুখোশ খোলার প্রশ্নই নেই। ওখানে মসজিদ ছিল। সুপ্রিম কোর্ট মেনে নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট মেনে নিয়েছে মসজিদ ভাঙা অন্যায় হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আদালতে মসজিদ পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সুতরাং মসজিদের জায়গায় মসজিদ হলে আইনগত দিক থেকে কোন অনৈতিক কাজ হতো না। কিন্তু যে কারণেই হোক, যেহেতু সেখানে বিতর্ক রয়েছে। এবং সেই বিতর্ক জাতীয় সংকটের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে গেছে। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষিত সচেতন এবং ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ এ কথাই বলেছেন যে, ওখানে মন্দির-মসজিদ কোনটাই না করে হসপিটাল, মিউজিয়াম বা ওই ধরনের কোন পাবলিক প্রপার্টি তৈরি করা হোক যা জনগণের সেবায় কাজে লাগবে। আপনি জানেন কিনা জানিনা, মানেন কিনা তাও জানিনা, এটাই বামপন্থার স্ট্যান্ড। যারা বামপন্থাকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে, তারা এর বাইরে কথা বলতে পারেন না। তাই আমার মুখ থেকে, মুখোশ পরা প্রশ

যুক্তিবিজ্ঞান ও অন্ধবিশ্বাস একসাথে চালানোর চেষ্টা আসলে ভন্ডামি।

Goutam Ray আপনি হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েও যদি এ ধরনের কথা বলেন, তো আমার কিছু বলার থাকে না। ওনার অসুস্থতা নিয়ে আমি আগের পোস্টে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করা সত্ত্বেও আপনি এই অভিযোগ কীভাবে করছেন? একজন অসুস্থ ব্যক্তির প্রতি যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের থাকা উচিত সেটা তো আমার আছেই। তাই বলে তার ধর্মান্ধতা ও রাজনৈতিক কাজে ধর্মের ব্যবহারকেও আমাকে সমর্থন করতে হবে? তিনি হিন্দু হোন বা মুসলমান হোন, বিজ্ঞান আর বিশ্বাস সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর জিনিস এটাকে তো স্বীকার করতেই হবে। আর না করলে মানুষ তাকে সমালোচনা করবেন। এটাই স্বাভাবিক। আপনাদের মত শিক্ষিত মানুষকে যদি এটা বারবার মনে করিয়ে দিয়ে হয়, সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমি সাধারন মানুষকে বিশ্বাসের কথা বলব, ধর্মের মাহাত্বের কথা বলবো, ঈশ্বরই সব কিছুর নিয়ন্ত্রণকারী বলে বোঝাবো, আর নিজে বিজ্ঞানের আশ্রয় নেব এটাকে ভন্ডামি বলে। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কোন মুসলিম মৌলভী, কোন হিন্দু সাধু, বা কোন রাজনীতিবিদ সবার ক্ষেত্রেই এটা ভন্ডামি। বিজ্ঞান বিজ্ঞানই। বিশ্বাস বিশ্বাসই।  অধিকাংশ মানুষ, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন, এবং হাসপাতালে যান - একথা দিয়ে কি বোঝাতে চাইছেন, ধর্ম

ইতিহাস বিকৃতি কী এবং কেন?

আমাকে এবং আমার লেখাকে যাঁরা পছন্দ করেন, তাদের কেউ কেউ আমাকে ভালোবেসে সাবধান করেছেন, যাতে এ ধরনের কোন ভিডিও অথবা আমি যে ধরনের লেখালেখি করি,তা আমার বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার যাঁরা আমাকে পছন্দ করেন না, এই ধরণের লেখার কারণেই, তারাও মাঝে মাঝে হুমকি দেন। ভয় দেখান। তেমনই একজন গতকাল তো আমাকে দেশদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী, ইত্যাদি বলে গালাগালি দিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বিতর্কে ট্রেনে উঠে ব্লক করে দিলেন। কিন্তু তবুও আমার লজ্জা হলো না। ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ দুনিয়ায় ভারতবর্ষের ইতিহাস যেভাবে ধর্ষিত হচ্ছে, তা নিজের চোখে দেখে শুনে কীভাবে চোখ বুজিয়ে থাকি বলুন তো? একজন ইতিহাসের  ছাত্র  এবং শিক্ষক হয়ে  একাজ করা  কতটা কঠিন বলুনতো? ভয় যে একেবারে পাই না তা নয়। যতই হোক বীরপুরুষ তো নই আমি। কোন খুঁটির জোরও সেভাবে নেই, যাকে আঁকড়ে ধরে  নিজের সলিল সমাধিকে আটকাতে পারি। কিন্তু ভয়টাকে সেভাবে বুকে গেঁথে নিতেও তো পারছিনা, কারণ, ওটা যে একটু কমই আছে। ভেবে দেখলাম, ভয় করেই বা কি লাভ? এখন তবুও তো বলার সুযোগ কিছুটা পাচ্ছি, সত্য ইতিহাসটা বলার জন্য। এমন দিন তো আসতেও পারে, যে এটুকুও  বলার সুযোগটা একসময়  আর থাকবেনা। মৃত্যুভয়ে আমি ন

প্রসঙ্গ : অমিত শাহ ও তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিতর্ক

Rita Basu ব্যাটারি থাকা পর্যন্ত ঘড়ি যেমন চলতে থাকে। মানুষের চিন্তাও তেমন মৃত্যুর শেষ ক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে। তাই চিন্তা না করে থাকা সম্ভব না। আপনি তো ফিলোসফির টিচার। সুতরাং আপনিও জানেন জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি হৃদপিণ্ড যেমন বিরামহীন ভাবে চলে, তেমনি মানুষের চিন্তাও একই সময় কাল ধরেই প্রতিক্ষণ চালু থাকে। সুতরাং চিন্তা মুক্ত থাকা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আপনিও তা পারবেন না, আমিও পারবো না। ঠিক বললাম তো ম্যাডাম?😀 তবে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা খুব জরুরি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার। আর ভয়টাও ছোটবেলা থেকে আমার কম। তাই দুশ্চিন্তাও আমার মধ্যে টপ করে আসে না। তবে আমি খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি, আমার পোস্টে এসে কেউ যাতে অযাচিত কোন মন্তব্য না করেন। করলে তাকে প্রথম যুক্তি ও তথ্য দিয়ে  বোঝানোর চেষ্টা করি। তাতেও না কাজ হলে সাবধান করি।  আপনার প্রথম মন্তব্য থেকে বুঝলাম যে, কেউ কোন ভদ্রলোককে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে। একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষকে কেউ যদি অপমান অপদস্থ করে, সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আর আমার ওয়ালে এসে সেটা করার অনুমতি আমি কাউকে দিই না। কেউ করলে তাকে ছাড় দেয়ার ইচ্ছাটা

ধর্মীয় নয় রাজনৈতিক পোস্ট

Arobindo Lahori সাথি, আপনি তো আমার বন্ধু তালিকায় নতুন এলেন। ধৈর্য ধরে থাকুন। যারা যারা হা হা রিয়েক্ট করেছেন, তাদের লিস্ট-এর একটা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন। তাদের নাম গুলো পড়ুন। স্মৃতিতে ধরে রাখুন। এরপর তারা আমার আগের পোষ্ট গুলোতে কোন কোন ক্ষেত্রে কি কি বোঝাতে হা হা পোস্ট করেছেন একটু মিলিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করতে থাকুন যে এঁরাই আগামীতে আমার কোন কোন পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট করেন। এই দুটোকে সংগ্রহের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন, আপনার কাছে হা হা রিয়াক্টএর যে মানে, তাদের কাছে তা নয়। হ্যাঁ দুই-একজন তো ব্যতিক্রম থাকবেনই। সবাই কি আর আমার মতের সঙ্গে একমত হবেন? আমি সেই দাবি কি করতে পারি? পারিনা। আচ্ছা, এবার এককাজ করুন, লাইক আর লাভ রিঅ্যাক্ট করেছেন কতজন সেটা একরা গুনে দেখুন তো? আর তাঁদের রিয়াক্ট গুলোর মানে কি হতে পারে! সেগুলো একটু ভেবে দেখবেন। তারপর না হয় সিদ্ধান্ত করবেন! আপনি নতুন বলে আপনার একটু সমস্যা হচ্ছে বুঝতে। আস্তে আস্তে সব বুঝে যাবেন। পোস্টটার মধ্যে যে রাজনীতি রয়েছে সেটা তাহলে সত্যি সত্যিই আপনি বুঝতে পারেন নি? তাহলে এটা আমার ব্যর্থতা। কিন্তু দুর্বলতা নয়। আমি তো বুঝ

প্রসঙ্গ ভারত বিদ্বেষ ও ধর্মীয় ভাবাবেগ

সি এস নীহার আপনার নোংরামিটা এবার বন্ধ করুন। প্লিজ। আপনি যে ধরনের কথাবার্তা বলেন এগুলোকে ভারতীয় সংবিধানে কী বলে আপনি জানেন? ভারতীয় সংবিধানটা একটু পড়ুন? আছেন তো ভন্ডধার্মিক সেজে। ধর্মের কিছুই তো মানেন না। ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়েন বলেও তো মনে হয় না। সবসময় তো মুসলমান আর ইসলামের বিরুদ্ধেই বলে যান একতরফা ভাবে। আবার ভয় পেয়ে ডিলিটও করে দেন।  আপনার মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে। মাথাটা একটু দেখান। মানসিক সমস্যায় ভুগছেন আপনি। একটা রাজনৈতিক পোস্টকেে ধর্মীয় পোষ্ট বলে দিলেন। তার মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষও খুঁজে পেলেন!! বলিহারি আপনার দেশ ভক্তি। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে দেশ ভক্তি দেখাচ্ছেন।😆😆🙏🙏 শুনুন  আপনার চেয়ে কম কথা আমি জানিনা। আবার ভদ্রতার মুখোশ পরেও থাকি না। উপযুক্ত জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখি আমি। আচ্ছা আপনি বাচ্চাদের মতো ভয় দেখান কেন? যুক্তি-তর্ক দিয়ে মতামত খন্ডন করার ক্ষমতা নেই তাই? চেষ্টা করুন বিশ্বাসে ভর না করে যুক্তি ও তথ্যের উপর ভর করার এবং বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনা চিন্তার অধিকারী হওয়ার। দেখবেন আপনিও পারবেন। মানুষকে যুক্তি বুদ্ধি দিয়েই পরাস্ত করতে। তার জন্য হুমকি দেয়া দরকার হবে না। আমার কথ

আব্দুল গাফফার খান ও ইতিহাস বিকৃতি

এই কথাগুলো আবদুল গফফর খানের। আমি যতটা জানি। কথাটা একটু বিকৃত করা হয়েছে। মুসলিম শব্দটি ঢুকিয়ে দিয়ে। যাঁরা বোদ্ধা মানুষ অর্থাৎ যাদের মধ্যে ইতিহাসবোধ আছে এবং ইতিহাসটাকে বিজ্ঞান হিসেবে দেখেন তারা এই চাতুরীটা ধরতে পারেন। সাধারণ মানুষ পারেন না। বিজেপি এই সুযোগটাই নিতে চাইছে। আর এই সুযোগ নেয়ার জন্য 'মুসলিম' শব্দটা বিকৃতির উদ্দেশ্যই বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের পর যখন দেশ উত্তাল, তখন জেনারেল ও'ডায়ার প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছিলেন। তাই তিনি এই ঘটনাটিতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবং তার যুক্তি ছিল যে, আমরা উন্মত্ত জনতাকে সামাল দিতে গিয়ে এই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি। জেনারেল ডায়ারের এই মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্যই আব্দুল গাফফার খান প্রশ্ন তুলেছিলেন, জনতা যদি উন্মুক্ত হয়, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যদি গুলি চালাতেই হয়, তাহলে গুলিটা কোথায় লাগার কথা? লাগার কথা ছিল বুকে। এটাকে মাথায় রেখেই খান সাহেব জেলারেল  ও' ডায়ারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন  যে, আপনি যদি একজনকেও দেখাতে পারেন, যার বুকে গুলি লেগেছে, তাহলে আম

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে