Bishal Paul বাহ! আপনি তো মনে হচ্ছে রিসার্চ করেছেন প্রেমজিকে নিয়ে। ভালো। আচ্ছা স্বাধীনতা তো সাত দশক পার করলো। অনেক মানুষই তো দেশের টাকা, দেশের ব্যাংকের টাকা লুট করে কেটে পড়লো। বিদেশে কালো টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। এগুলো তো হামেশাই করা যায়? যায়না? এদের নিয়ে কোনদিন রিচার্জ করেছেন? তারা কেটে করলো কেন? যদি করেন একটু ব্যাখ্যা দিতেন সমৃদ্ধ হতাম আর কি! আচ্ছা, প্রেমজি তাঁর ব্যবসা গুলো আস্তে আস্তে বিক্রি করে দিয়ে পাকিস্তান বা অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কিংবা অন্য কোনো ধনী দেশে চলে যেতে পারতেন না? গিয়ে সেখানে ব্যবসা করতে পারতেন না? করলে ঠিক কতটা ক্ষতি হতো প্রেমজি? প্রেমজি এখন পারেন না, অন্য জায়গায় চলে যেতে? গেলে কিভাবে কতটা লস হবে? বছরে যত টাকা তিনি দান করেন, তারচেয়েও বেশি লস হয়ে যেত? একটু রিসার্চ করে দেখুন তো? কি কারণে তিনি তা করেন না? আচ্ছা দেশের অন্যান্য ধনী ব্যক্তিরা রাম মন্দির নির্মাণে যত কোটি টাকা ডোনেশন দিয়েছেন, তেমন করে প্রেমজি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য এমন একটা পৃথিবী বিখ্যাত বড়ো মসজিদ তৈরি করে দিতে পারতেন না? আচ্ছা দিলেন না কেন? এটাও একটু রিসার্চ করে দেখবেন?
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ