সুপ্রিয় ছাত্র-ছাত্রী, স্বাধীনতা দিবসে আমার ভাবনা তোমাদের জন্য শেয়ার করলাম। গতকাল এই মূল্যবান দিনটি সম্পর্কে ভেবেছি এবং লিখেছি। আজ তা তোমাদের কাছে পৌঁছে দিলাম। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের জন্য সারা জীবন কাজ করে যাওয়াই আসল দেশপ্রেম। আশা করি আমরা এ কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যেতে পারবো। আর তা যদি পারি, তবেই এদেশ একদিন শোষণ বঞ্চনাহীন আদর্শ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়াই স্বাধীনতা দিবসের প্রথম এবং প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারলেই গড়ে উঠবে শোষণ বঞ্চনাহীন, জাতিবিদ্বেষহীন, সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বৈষম্যহীন এক আদর্শ ভারতীয় সমাজ। এই শপথ যদি আমরা আজ নিতে পারি, তবেই এইদিনটি পালন সার্থক হয়ে উঠবে। আমাদের প্রতিদিনের কাজ হোক এই স্বপ্নের ভারতীয় সমাজের পুনর্গঠনকে সামনে রেখে। প্রতিদিন হোক আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিদিন হোক স্বাধীনতা সংগ্রামের দিন। আর এই কাজ করতে গেলে, সবার আগে শুরু করতে হবে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা। পড়াশোনাই পারে আমাদেরকে সুশিক্ষিত করে তুলতে। আর একজন সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত মানুষই পারে সমাজ পরিবর্তনের কান্ডারী
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ