সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

চিন্তার রোগ কী?

চিন্তারও রোগ হয়  ফটাস করে বিশ্বাস, নয় তো ফটাস করে অবিশ্বাস - এটা আমাদের বহুচর্চিত বদ-অভ্যাস। এটা আসলে এক ধরণের রোগ। চিন্তা যখন রোগের কারণ হয়, তখন তাকে 'চিন্তারোগ' বলে। আর যখন চিন্তায় রোগ বাসা বাঁধে তখন তাকে বলে  ‘চিন্তার দৈন্যতা’ । এটাই চিন্তার রোগ । আসলে, চিন্তা করার একটি বিজ্ঞানসম্মত পন্থা আছে। সেই পন্থা অনুসরণ করেই সিদ্ধান্ত টানতে হয়। তারপর বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করতে হয়। সেটা না করলেই এটা রোগ হিসাবে  চিন্তায় বাসা বাঁধে।  আমরা অধিকাংশ মানুষই সেই পন্থা অনুসরণ করি না। করি না, তার কারণ, জানিনা।  চিন্তাকে ত্রুটিমুক্ত করতে গেলে তিনটি জিনিসের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর তা হল, যুক্তি, বুদ্ধি আর তথ্য। এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে পূর্ব অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে এবং তাঁকে সঠিক পন্থায় কাজে লাগাতে পারলে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য সিদ্ধান্ত টানতে সাহাজ্য করে। আর পূর্ব অভিজ্ঞতা সেই সিদ্ধান্তকে প্রামাণ্যতা দেয়। তাই সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে গেলে মানুষকে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে, তার সত্যাসত্য যাচাই করে, তবেই তা গ্রহণ অথবা বর্জন করতে হয় ।  আমরা অধিকাংশ মানুষই এই পদ

মানুষের প্রকৃত বন্ধু কে এবং কেন?

মানুষের প্রকৃত বন্ধ  Who is the true friend of man and why? শিক্ষাই একমাত্র বন্ধু, যে কখনো প্রতিদান চায়না। আমৃত্যু শুধু দিয়েই যায়: নিঃশর্ত সঙ্গ, সমর্থন ও সহযোগিতা। তাই বন্ধুত্ব যদি পাতাতেই হয়, তবে তা শিক্ষার সঙ্গেই পাতাও। কারণ, একমাত্র শিক্ষাই পারে তোমাকে বিপদে-আপদে, সংশয়ে-সংকটে - সব সময়ই নিঃশর্ত সঙ্গ দিতে। বিপদে পড়লে শিক্ষাই তোমাকে বাতলে দেবে কীভাবে তুমি সেই বিপদ থেকে মুক্তি পাবে। সাফল্য বা আনন্দের খবর এলে, সে-ই বলে দেবে কীভাবে তুমি তা উদযাপন করবে। আবার যদি গভীর সংকটে ডুবে যেতে থাকো, তবে তোমার শিক্ষাই তোমাকে বলে দেবে, এ সংকট মুক্তির প্রকৃত উপায় ও তা কার্যকর করার পদ্ধতি কী হবে। অর্থাৎ শিক্ষাই একটু একটু করে উন্মুক্ত করে দেবে জগত ও জীবনের মূল চালিকাশক্তির হদিস।  তাহলে প্রশ্ন হল শিক্ষা কী? কীভাবে তাকে অর্জন করতে হয়? বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

শান্তি স্থাপনের উপায় কী

শক্তি প্রদর্শন কী জয়লাভের একমাত্র চাবিকাঠি?  শক্তির আস্ফালন ও তার প্রদর্শনী যদি জয়লাভ ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হতো তবে আস্ত ভূগোলকটাই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মানচিত্র হতো। এটা না বুঝে যারা কাশ্মীর, প্যালেস্টাইন মায়ানমার-সহ বিশ্বব্যাপী জাতি-সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন তাঁরা গহীন সমুদ্রে ডুব দিয়ে মুক্ত খোঁজার চেষ্টা করছেন। What is the way to make peace?

শিক্ষিত হওয়ার উপায়

শিক্ষিত হতে গেলে এমএ, বিএ, এমএসসি, এম কম ইত্যাদি পাস করতেই হয়, বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস করলেই চলে। প্রয়োজন শুধু নিরন্তর পড়াশোনা (পড়া আর শোনা) করা। চাই জগৎ ও জীবনকে জানার উদগ্র বাসনা। ‘পড়াশোনা’ শব্দটার মধ্যে দুটো জিনিস আছে। একটা পড়া, অন্যটা শোনা। পড়া মানে নিজে নিজে পড়া। বিষয়ভিত্তিক বই, পত্রপত্রিকা, কিম্বা ম্যাগাজিন ইত্যাদি সংগ্রহ করে নিজে নিজে পড়তে থাকা। আর শোনা মানে, জানা-বোঝা মানুষের (বিভিন্ন বিষয়ে যারা বিশেষ পান্ডিত্ব অর্জন করেছেন) মতামত, বক্তব্য ইত্যাদি শোনার মাধ্যমে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সত্য উপলব্ধি করার চেষ্টা করা। এই দুটো পদ্ধতিতে একজন মানুষ সারা জীবন ধরে পড়াশোনা করতে পারেন। জগৎ ও জীবনের চালিকাশক্তিকে নিজস্ব যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে তার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। আমরা সাধারণত সেটা করি না। তাই লেখাপড়া শিখেও (এম এ বিএ এমএসসি এম কম পাস করেও) শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি না। আমাদের ধারণা, শিক্ষিত হতে গেলে বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করতে হয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এটা একটা পদ্ধতি বটে, কিন্তু একমাত্র নয়। শিক্ষা নিজে-নিজেই এবং নিজের

ধর্মের সঙ্গে গণতন্ত্র ও অসাম্যের সম্পর্ক

The-relationship-between-religion-and-democracy-and-inequality যে দেশের মানুষ যত বেশি ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস অবলম্বন করে বাঁচে সেদেশের গণতন্ত্র তত দুর্বল হয় এবং রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য তত বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। আসলে ধর্ম ও অন্ধ বিশ্বাস পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলে। বলা ভালো, ধর্মের যারা ধারক ও বাহক বলে নিজেদের দাবি করে, তারাই এই দুটোকে পাশাপাশি রেখে দেয়। এই রাখার পিছনে তাদের প্রধানত দুটো উদ্দেশ্য কাজ করে। ১) আর্থিক এবং ২) রাজনৈতিক। ধর্মের ভিত্তি হচ্ছে একমাত্র বিশ্বাস। কারণ, বিশ্বাস বাদ দিলে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের আর কিছু থাকে না। কেননা, জাগতিক সব কিছুকে যুক্তি বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার করা সম্ভব। কিন্তু ঈশ্বেরর ধারণা এভাবে বিচার করা যায় না। বিচার করা যায় না তার বড় কারণ, ধর্ম দর্শন অনুযায়ী স্বয়ং ঈশ্বর-ই এ বিষয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করেন। তার স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁকে নিশর্ত বিশ্বাস করতে হবে। কোনো প্রশ্ন বা সংশয় প্রকাশ করা যাবে না। এই বিশ্বাসের দর্শন সবচেয়ে সহজ একটা পন্থা যা দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ধর্মের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকে এক শ্রেণির মানুষ তাদের আর্থি

পৃথিবী কেমন, সুন্দর না অসুন্দর?

পৃথিবীর সব কিছুই সুন্দর। যা কিছু অসুন্দর তা কেবল মানুষেরই তৈরি।

স্বামীজির সমাজ দর্শনের মূল কথা

স্বামীজির সমাজ দর্শনের মূল কথা The-essence of Swamiji's social philosophy আপনি কি স্বামীজির ভক্ত? বেশ। তাহলে তো স্বামীজির সমাজ ও ধর্ম-দর্শনকে শ্রদ্ধা করেন। তাই তো? তাহলে আগামীতে ভারতে শূদ্রদের আধিপত্য কায়েম হবে। মানতে পারবেন? এটা তাঁর ভবিষ্যৎবাণী এবং তাঁর একান্ত চাওয়া। আপনি কি সেই চাওয়াকে পূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন? কী? উত্তর দিতে সমস্যা হচ্ছে? তাহলে স্বামীজির 'বর্তমান ভারত' পড়ুন। বর্তমান ভারতে স্বামী বিবেকানন্দ বৈদিক যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত ভারতের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস পর্যালোচনা করেছেন। এই পর্যালোচনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন, বৈদিক যুগে ব্রাহ্মণ পুরোহিত, পরে শক্তিশালী যোদ্ধা বা ক্ষত্রিয়রা এবং সবশেষে বৈশ্যরা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। ইতিহাসের এই ব্যাখ্যা শেষে তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে, চক্রাকার পথে বৈশ্যের পর এবার ভারতীয় সমাজে শূদ্রের জাগরণ ঘটবে এবং তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। শুধু হবে না, তার ভাবনায় এবং চাওয়ায় - এটা হতে বাধ্য। এভাবে সমাজের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হাতেই ভবিষ্যত ভারতীয় সমাজ গড়ে উঠবে - এটাই ছিল তার ভবিষ্যৎবাণী। তিনি এই গ্রন্থ

শিক্ষার দৈনতা

শিক্ষার দৈনতা কী? What is the poverty of education? যিনি যতটুকু জানেন তিনি ততটুকুই বলেন। কিন্তু ভুলে যান যে, তার বাইরেও অনেক কিছু থাকতে পারে, যা তিনি জানেন না। এই ভুলে যাওয়াটা আসলে তার শিক্ষার দৈন্যতা।

হিংসা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

হিংসা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কিংবা ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ে তোলার চেষ্টা, আসলে সাঁতার না জানা মানুষকে সমুদ্রে ফেলে দিয়ে সাঁতার শেখানোর চেষ্টার মত অবাস্তব চিন্তা। তাছাড়া জোর করে শান্তি, ঐক্য, প্রেম বা ভালবাসা কোনটাই আসেনা। কারণ, এসব কিছুর সঙ্গে মত ও পথের সমন্বয় সাধনের অলঙ্ঘনীয় শর্ত সম্পর্কযুক্ত। এই শর্ত পূরণ না হলে ঐক্য, শান্তি, প্রেম বা ভালোবাসা কোনটাই শক্তপোক্ত ভিত পায় না। এই সহজ সত্য যারা উপলব্ধি করতে পারে না কিংবা মানে না তাদের দিয়ে দেশের ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। যা হয় তা আসলে ঐক্য সংহতির ফানুস। দেশের বর্তমান সরকার অখণ্ড ভারতের কথা ভাবছে। অথচ তা গড়ার জন্য যে নীতি ও কৌশল অবলম্বন করছে তা কখনোই সমানুপাতিক নয়। বিদ্বেষ বিচ্ছিন্নতাই বয়ে আনে, তা কখনোই ঐক্য বা সমন্বয় সাধন করতে পারেনা। অথচ এই সরকার ঐক্যের জন্য বিদ্বেষকেই, যা আসলে বিচ্ছিন্নতাকে শক্তিশালী করে বা মদত যোগায়, তাকেই আশ্রয় করছে। আমেরিকার কিংবা রাশিয়ার সহ যে সমস্ত বৃহৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তাদের রাষ্ট্রনীতি এখনো পর্যন্ত অদ্বিতীয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ এর চেয়ে উন্নত ও সফল রাষ্

স্বাধীনতার আগের ও পরের শাসনের পার্থক্য

১৯৪৭ সালের আগে প্রায় ২০০ বছর দেশ শাসন করেছে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি । কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টররা সরাসরি এই শাসন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকত না। তারা তাদের সমর্থক রাজনিতিকদের দেশ শাসনের দায়িত্বে বসাতেন। তাদের দিয়েই কোম্পানি ভারত সহ অন্যান্য উপনিবেশগুলোর নীতি নির্ধারণ ও তার প্রয়োগ ঘটাতেন। বলা বাহুল্য, এই নীতি নির্ধারণ ও প্রয়োগের মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক লাভ। ভারতীয় অর্থনিতির সঙ্গে সম্পর্কিত সব ক্ষেত্র যেমন শিল্প নীতি, কৃষি নীতি, বাণিজ্য নীতি - সবই নির্ধারিত ও পরিচালিত হত ইস্ট ইন্ডিয়ার কোম্পানির স্বার্থকে সামনে রেখে। ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে কোম্পানির সঙ্গে তৎকালীন ভারত সরকারের এই অশুভ আঁতাতের। মাত্র দুটো উদাহরণ দেখুন।  ১৮৩২ সালে ভারতে রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব ওঠে। কেন? ব্রিটিশ পুঁজির বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা এবং বিদ্রোহ দমন সহ অন্যান্য সামরিক প্রয়োজন মেটানো। ভারতের সাধারণ মানুষের ভালোমন্দের বিষয় এখানে একরত্তিও গুরুত্ব পায়নি। ইচ্ছা করলেই রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব সরকার নিতে পারত। কিন্তু নেয় নি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পুঁজিপতিদের চাপে এই দায়িত্ব বেসরকারি ক

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন