অসুন্দর কী? অসুন্দর সম্পর্কে আলী হোসেনের বক্তব্য পৃথিবীর সব কিছুই সুন্দর। যা কিছু অসুন্দর, তা লোভী মানুষদের সৃষ্টি। আপনি আপনার কল্পনার ডানা মেলে অতীত উড়ে যান, দেখবেন পৃথিবীতে যা কিছু ছিল তা আপনার কল্পনাতীত সুন্দর। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ছিল প্রকৃতির সেই সৌন্দর্যের অসংখ্য নমুনা। কোথাও সবুজ বনভূমি, কোথাও সাদা বরফে মোড়া পার্বত্য ভূমি। আবার কোথাও ঊষর মরুভূমি কিম্বা নদী নালায় ভরা সমতল ভূমির সুশীতল পরিবেশ। সেখানে প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের দেয়া নেয়ার সম্পর্ক, যার ভিত্তি সাম্যবাদ। কোথাও কেউ বাধা দেয়ার নেই আবার কারোর উপরে কারোর জুলুম নেই। বেঁচে থাকার জন্য যার যেটুকু প্রয়োজন, সে সেটুকুতেই সন্তুষ্ট। মানুষকে বাদ দিয়ে প্রকৃতিকে ভাবুন, দেখবেন প্রতিটা জীবের মধ্যে এই সাম্যবাদী ভাবনা এখনও কি সুন্দর ভাবে টিকে আছে। প্রকৃতির বেঁধে দেয়া অলঙ্ঘনীয় নিয়ম মেনে। প্রাণীরা দল বেঁধে শিকার করে। শিকারের পর সবাই মিলে ভাগ করে খায়। সেখানে, যে শিকারে অংশ নেয়নি সেও বাদ যায় না। যারা শিকার করেছে তাদের পেট ভরে গেলেই তারা সরে পড়ে। অন্যেরা এসে তা বিনা বাঁধায় ভোগ করে। জমা করে রাখা বা আগলে রাখার জন্য পারস্পরের মধ্
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ