আপনি কতটা জ্ঞানী? অন্যেরা কম জানে বলেই, আপনি বেশি জানেন। অর্থাৎ আপনার ‘বেশি জানার খেতাবটা’, অন্যের ‘জানতে না চাওয়ার বদ-অভ্যাসে’র উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ অন্যেরা জগৎ ও জীবন সম্পর্কে আপনার চেয়ে কম জানে বলেই, ‘আপনি বেশি জানেন’ - এই দাবি করতে পারেন। তাই নিজেকে বেশি বুঝদার ভাবার আগে, আরও কয়েকবার ভাবুন, আপনি ঠিক কতটা জানেন বা বোঝেন। কেননা, যেকোনো সময় অন্য কেউ আপনাকে টপকে যেতে পারে। তেমনি, অন্যেরা জগৎ ও জীবন সম্পর্কে কম জ্ঞান অর্জন করলেই কেবল ‘আপনি বেশি জ্ঞানী’ - এই দাবি করতে পারেন বা অন্যেরা তার মান্যতা দেয়। সুতরাং যেকোনো সময় আপনার এই খেতাব আপনার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে - এটা মাথায় রেখেই পথ হাঁটুন, পড়তে থাকুন এবং অবশ্যই ‘জানতে জানতে চাওয়া’র ইচ্ছাকে বাঁচিয়ে রাখুন। এই ‘মাথায় রাখা’ এবং ‘পথ হাঁটা’র অর্থ হল, প্রতিটা মুহূর্ত (আজীবন) জগৎ এবং জীবনকে যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে সত্যাসত্য (সত্য অথবা অসত্য) যাচাই করে নেওয়ার প্রক্রিয়াটা চালু রাখা।
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ