পৃথিবীর সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক লিখছেন আলী হোসেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক হল ঈশ্বর-কেন্দ্রিক বিতর্ক। কারণ, ঈশ্বর আছেন অথবা নেই এই দুইয়ের কোনটারই প্রমাণ নেই। অদুর ভবিষ্যতে যে তাদের প্রমাণ পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনাও নেই। তাই অহেতুক এই বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া পন্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়। লক্ষ কোটি বছর ধরে মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে লড়াই করেছে এবং এখনও করে চলেছে। নিট ফল শুন্য। ঈশ্বর থাকলে আছেন। না থাকলে নেই। যে যেভাবে ভাবতে চান, ভাবুন। সেই ভাবনা থাক নিজের মধ্যে। নিজের ভাবনাকে অন্যের ওপর চাপাতে গেলেই তৈরি হয় সঙ্কট। নিজের ভাবনার বিষয় যদি হয় মানুষের মঙ্গল সাধন, আর যদি ঈশ্বর থাকেন, তিনি এতেই বেশি খুশি হবেন। কারণ, নিজের সৃষ্টিকে কেউ ভালবাসলে, তার মঙ্গলকামনায় কাজ করলে সৃষ্টিকর্তা খুশি না হয়ে পারেন না। কারণ, যদি তিনি তা না হন, তবে তিনি দাতা, দয়ালু ইত্যাদি বলে নিজেকে দাবি করতে পারবেন না। অন্যদিকে, যিনি ভাবছেন নেই, তিনিও যদি মানুষের ভালোর জন্য জীবন উৎসর্গ করেন অথবা অন্যের ক্ষতি না করেন, তবে তিনিও কোন অন্যায় করছেন না। অন্যদিকে, ঈশ্বরকে স্বীকার না করেও তিনি যে কাজ করছেন...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...