সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

গণতন্ত্র ও বিজেপির রাষ্ট্রভাবনার সম্পর্ক

"বিক্ষোভ দমনের তাড়নায় রাষ্ট্রের মনে সংবিধানস্বীকৃত প্রতিবাদের অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তফাত যেন কিছুটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মানসিকতা যদি প্রাধান্য পায়, তা হবে গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন।" -- বিচারপতি অনুপ ভস্তানি ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল বিজেপি কি এসব কথা বোঝে না? না, তাদের বোঝার ইচ্ছা আছে? অথবা বলা ভালো, বোঝার দরকার আছে বলে কি তারা মনে করে? এটাই হলো লাখ টাকার প্রশ্ন। ওরা বোঝে, শুধুই রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর বোঝে, তা অর্জন ও ধরে রাখতে গেলে দরকার পুঁজির দালালি। কারণ, গরিবের ভোট টাকা দিয়ে সহজেই কেনা যায় - এ সত্য ওরা জানে, এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে। আর কেউ কেউ জানে, সেই টাকার যোগান দেয় পুঁজির মালিকরা। তাই তারা গণতন্ত্র বা গরিবের কথা নয়, ভাববে পুঁজির মালিকদের কথা। এবং একথা না বোঝাটা হলো মস্তবড় বোকামি। পুঁজির মালিকদের সৌভাগ্য, এই সত্যটি অধিকাংশ সাধারণ মানুষই জানেন না এবং বোঝেনও না। ২০২০-২১ (আর্থিক বছরে) করোনা অতিমারী যেখানে বিশ্বের একাধিক দেশ সহ ভারতের জিডিপি'কেও তলানিতে টেনে নামিয়ে দিয়েছে, সেখানে একই সময়ে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাক

বামপন্থীদের ভরাডুবি : বিজেপির অভিযোগ

আপনার ভাবনা কে সম্মান জানাই। কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন‍্য যারা একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে ধ‍্যান না দিয়ে শুধুমাত্র ঐ সম্প্রদায়কে বিরোধীদলের জুজু দেখিয়ে সস্তা সমর্থন আদায় করতে চায় (যে কাজে তারা দারুন ভাবে সফল) তারা কি বিদ্বেষের বীজ জিইয়ে রাখবে না? উন্নয়নের প্রশ্নে ভোট হলে বাম কংগ্রেস কি একটাও আসন পেত না? তাই ভোট পরবর্তী হিংসা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হওয়ার কোনো কারন নেই। এক শ্রেনীর ক্ষমতালোভী রাজনীতিকের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার একটা হীন প্রচেস্টা। সাথি, আপনার কিছু কিছু ভাবনাকে আমিও সম্মান জানাই। আপনার সাহিত্য কর্মকে আমি সম্মানের চেখেই দেখি। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষণের সাথে একমত হতে পারি না। কারণ, ১) আপনার ভাবনার সঙ্গে আপনার দলের ভাবনা ও পরিকল্পনা অনেক ক্ষেত্রেই বিপরীতমুখী। যেমন ধরুণ, আপনি যে বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য তৃণমূল সরকার কিছুই করে নি বলছেন, আপনার দল কিন্তু লাগাতার প্রচার করে যাচ্ছে যে এই দলটি ওই বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করে চলেছে। আর সংখ্যাগুরুদের স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে। ২) এই সম্প্রদায়কে কেউ কেউ সরাসরি ভয় দেখছে (যেমন বিজেপি) আর কেউ পরোক্ষে ভয় পাওয়াচ্ছে ( যেমন

সবিনয় নিবেদন : প্রসঙ্গ সাম্প্রদায়িকতা ও দেশপ্রেম

আপনার Whatsapp কথার মানে বুঝতে পারছি না। কী সব আজে-বাজে কথা বলছেন। আপনার চেয়ে আমি অনেক বেশি ভারতীয়। ভারতই আমার জন্মভূমি, পাকিস্তান নয়। একথা ভুলে যাওয়ার স্পর্ধা দেখাবেন না। পাকিস্তানের সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক যে তার সপক্ষে আমি কথা বলবো? আমি না সেদেশে থাকি, না সেদেশ ছেড়ে এদেশে চলে এসেছি। তাহলে কিসের টান থাকবে আর কি কারণে তার পক্ষে কথা বলবো? একাজ তো বোকারা করে। আপনার কি মনে হয় আমি তেমন ধরণের বোকা?  যারা ওদেশে থেকে এদেশে বিভিন্ন কারণে চলে এসেছেন তাদের মধ্যে সেদেশে প্রতি একটা টান থাকতে পারে। আপনি যদি এসে থাকেন, তবে আপনার মধ্যে সেটান থাকা সম্ভব। কিন্তু আমার কেন থাকবে? যুক্তি-বুদ্ধিও কি কাজ করে না আপনার মধ্যে? দ্বিতীত, যারা সুবিধা পাওয়া কিংবা অসুবিধা দূর করার জন্য কিংবা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিক কুমন্ত্রণায় মাতৃভূমি ত্যাগ করে অন্যদেশে চলে আসে তারা দেশভক্ত হয়ে যায় আর যারা মাতৃভূমিকে ভালোবেসে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে তারা দেশদ্রোহী? বলিহারি আপনার বিবেচনা বোধ! আপনি তো শিক্ষিত মানুষ। অন্তত তাইই তো দাবি করেন। তাহলে কীভাবে ভাবেন, যে একজন আপনার মতের সঙ্গে একমত না হলেই তিনি পাকিস্তানি হয়ে যাবে? আ

উই দা টিচার ও আমার কথা

আমার লেখা ওনারা যত্ন সহকারে ডিলিট করে দেন। এমনকি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করলে ওনারা কষ্ট পান বলে আমার মনে হয়েছে। তাই আমার মন্তব্য সহ অন্যের পোস্ট পর্যন্ত হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়। ধর্মের প্রচার বা ধর্মীয় সংস্কারের পক্ষে বলুন অসুবিধা নেই। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলুন। সমস্যা আছে। ছাত্রছাত্রীদের উপকারে আসে এমন পোস্ট করলে ওনারা তা প্রকাশ করেন না। সমালোচনা করলেও প্রকাশের সততা দেখান না। এগুলো আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। অন্যের ক্ষেত্রে কি হয়েছে বা আপনার ক্ষেত্রে কী হবে দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারবো না। আমার ক্ষেত্রে ঘটা ঘটনার যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা বড়ই হাস্যকর ঠেকেছে আমার কাছে। ওনাদের দেওয়া শর্ত যা আমাকে জানানো হয়েছে, দেখলাম সবার জন্য তা প্রযোজ্য হয় নি। আসলে ছোটখাটো মানুষদের কথা 'বড়ো বড়ো' মানুষরা পাত্তা দেবেন না, এটাই জগতের অলিখিত নিয়ম। তাই ওনাদের দোষ দেখিনা। সেজন্য ঠিক করেছি আর পোস্ট করবো না। তবে জ্ঞানার্জনের জন্য ওনাদের মত 'বড়ো' মানুষদের সঙ্গ ছাড়বো না। যদি ওনারা এই ক্ষুদ্র মানুষটিকে বের না করে নেন।😀😀 জানিনা এই মন্তব্যটি দীর্ঘ জীবন পাবে কিনা! প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক

শিক্ষক গ্ৰুপ ও তার চরিত্র বিশ্লেষণ

আপনি কোন গ্ৰুপের কথা বলছেন জানি না। আমি একটা বিরাট গ্ৰুপের সদস্য। আপনিও বোধ হয় সেই গ্ৰুপরের কথাই বলছেন। যদি তাই হয়, তবে এদের এডমিনদের মানসিকতা খুব সুস্থ ও শিক্ষিত বলে মনে হয় নি আমার। এরা কুসংস্কার ও সংস্কার বাড়ে এমন সব পোস্টকে এপ্রুভ করে। আর যারা এর বিরুদ্ধে বলে তাদের পোস্ট আটকে দেয়। কোনো পোস্ট কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে করলে ওরা তা ততক্ষণ রাখে যতক্ষণ ওই পোস্ট দাতাকে নিয়ে খিল্লি করা চলে। কিন্তু আপনি যখন উপযুক্ত তথ্য  যুক্তি দিয়ে পোস্টদাতার মতামতকে সমর্থন ও মতামত প্রকাশ করবেন এবং যখন কেউ উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন না, তখনই আপনার মন্তব্য সহ পুরো পোস্টাই ডিলিট করে দেয়। এই গ্ৰুপে একটি নির্দিষ্ট দলের লোক শিক্ষক সেজে ঢুকে বসে লাগাতার ধর্মীয় আবেগ যা আদতে সংস্কার কিম্বা কুসংস্কার, তার চর্চা করে যাচ্ছে যা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যায় না। সুতরাং সেখান থেকে আপনি কী আশা করবেন। ওদের মতের বিরুদ্ধে গেলে ওরা পোস্ট এপ্রুভ করে না তো। খোলা মনে কাউকে ওখানে কথা বলার সুযোগ রাখে না। আপনি যুক্তি দিয়ে পরীক্ষা না নেওয়ার কথা লিখে পোস্ট করে দেখুন। ওরা তা এপ্রুভ করবে না।

বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।

সাথি, ছুটি দেওয়াটা বোধ হয় ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, ১) আপনি এদের মুখোশ খোলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। ২) এরা যে বিষ ছড়াচ্ছে তা কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে এবং তারা উপযুক্ত ব্যাখ্যা পাচ্ছেন না বলে বিষের বাঁশি বাজানোর অভ্যাস করে ফেলছেন। তাই ছুটি না দিয়ে উপযুক্ত তথ্য দিয়ে পরিশীলিত ভাষায় জবাব দিন। বুঝিয়ে দিন শিক্ষা আর অশিক্ষার মধ্যে পার্থক্য কোথায়। উনি না বুঝতে চাইলেও ওনার সঙ্গে থাকা অনেক মানুষ নিশ্চয়ই বুঝবেন। সেটাই আসল লাভ। সমাজের জন্য। ছুটি না দিলে ওনার বন্ধু তালিকায় থাকা সত্যিকারের ভালো মানুষ ভুল পথ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পাবেন আপনার শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার কারণে এবং নতুন করে অনেকেই ওই বিষের বাঁশি মুখে নেওয়া থেকে পিছিয়ে যাবেন। কারণ, মুখে না নেওয়ার সুবিধা কিংবা অসুবিধাটা আপনার কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। ভালো মানুষদের সঙ্গে ভালো মানুষের গুণাবলী নিয়ে আলোচনা যেমন খুব বেশি গুরুত্ব রাখে না তেমনি আপনার সমমনষ্ক মানুষদের মধ্যে আপনার আলোচনা সীমাবদ্ধ হয়ে গেলে তার গুরুত্ব যথাযথ মর্যাদা পায় না। কিছুটা ঘাটতি থেকে যায়। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মতো তাৎপর্যহীন হয়ে পড়ে। আপনি যাকে ছুটি দিলেন, তার বন্

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক

Aptabul Islam Ahmed বিকল্প ব্যবস্থা ভাবতে বাধা নেই। কিন্তু পড়ালেন না অথচ পরীক্ষা নেবেন কোন যুক্তিতে? অবস্থাপন্ন মানুষের ছেলেমেয়েরা অনলাইনে প্রাইভেট টিউশন হয়তো পেয়েছেন। এবং এক্ষেত্রে প্রায় সবাই সিবিএসসি বা আইসিএসসি স্কুলের পড়ে। তাদের কোনো পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। পরের ক্লাসে উঠে পড়াশুনা করতে শুরু করেছে। আর আমরা গরিব মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের, যারা তেমন কোনো সুবিধাই পেলো না। নানা অজুহাতে অনলাইন ক্লাস নিতেও অস্বীকার করলাম। তাদেরই আবার কোন যুক্তিতে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছি? Samim Saif Alam তুমি ঠিকই বলেছো। এটা নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে। অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা না দিয়ে পার পেয়ে যাবে। আর যারা সারা বছর পড়ার সুযোগ পেলো না সেই অভাবী ঘরের ছেলেমেয়েদের জোর করে পরীক্ষায় বসাচ্ছি। এরা কীভাবে ভালো রেজাল্ট করবে? একটা গোষ্ঠী কোনো পরীক্ষা না দিয়ে ভালো রেজাল্ট পাবে আর অভাবীরা পরীক্ষার যাঁতাকলে পড়ে বাজে রেজাল্ট করে পিছিয়ে পড়বে? এটা কতটা যৌক্তিক? Samim Saif Alam তুমি ঠিকই বলেছো। এটা নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরীক্ষা নেয়ার

নাস্তিক না আস্তিক

নাস্তিক কিংবা আস্তিক হওয়ার চেয়ে প্রকৃত মানুষ হওয়াটা খুব জরুরি।

মুসলমানদের করণীয় কী?

এদের সম্পর্কে আমার জানা বোঝা আছে। এরাও চেয়েছে মমতা ক্ষমতায় আসুক। কাজও করেছে বিজেপিকে ঠেকাতে ও মমতাকে আনতে। খানিকটা বাধ্য হয়েই। শুধু মুলনিবাসীদের বিরুদ্ধেই আরএসএস কাজ করছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয় - এই ধারণাটা ভুল। কারণ মুলনিবাসী যাদের বলা হয়, তারই একটা অংশ হল মুসলিম। ধর্মান্তরিত মুসলিম। আমরা সবাই ধর্মান্তরিত মুসলিম। অর্থাৎ মুলনিবাসী। তাই মুসলিরাও আরএসএসের টার্গেট। এটা ভুলে গেলে ভয়ংকর ভুল হবে। আমি জানি না, যিনি বলছেন, তিনি সত্যিকারের বাপসেপ, না বিজেপির বানানো বামসেপের নকল কোনো সংগঠন। মুসলিমদের বোঝানোর আগে ওনাকে মুলনিবাসীদের বোঝাতে হবে। কারণ, তারাই সংখ্যায় বেশি। তাদের বোঝাতে না পারলে কাজের কাজ কিছু হবে না। যতদিন না এরা এই 70-75% মানুষকে বোঝাতে পারছেন ততদিন মুসলিমদের কখনও তৃণমূল আবার কখনও সিপিএমকে ভোট দিয়ে যেতে হবে। কিছু করার নেই। কারণ, এই 70-75% মানুষকে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের খপ্পর থেকে না বের করে যদি শুধু মুসলিমরা বেরিয়ে আসে, তবে বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসবে। কারণ, এরা অর্থাৎ মুসলিম সম্প্রদায় বর্তমানে ভোটের ফলাফলকে পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এরা আগেভাগেই বেরিয়ে এলে সেটা হবে আরও মারাত্মক ভুল। ব্রাহ

বিজ্ঞান আর ধর্মের পার্থক্য

ধর্ম অপরিবর্তনীয়। ধর্মগুরু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে যা বলে (আবিষ্কার করে) গেছেন তাকে যুগ যুগ ধরে মেনে নিতে হয়। বিরোধিতা করলেই প্রচন্ড রোষের কোপে পড়ে অনুসন্ধিৎসু মানুষ। কিন্তু বিজ্ঞান পরিবর্তন যোগ্য। একজন বিজ্ঞানি যা বলে গেছেন, হামেশাই তার বিরুদ্ধে বলা যায়। তাকে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা যায়। এখানেই বিজ্ঞান ধর্মের থেকে এগিয়ে। একজন বিজ্ঞানি তার গবেষণা ও অধ্যবসায় দিয়ে, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে যতটুকু আবিষ্কার করে যান, তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। আরও অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। এই কাজ আবিষ্কারক বিজ্ঞানী তার অনুগামীদের দিয়ে যান। বলা ভালো, এতে কেউ কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না। কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে সেটা ধর্মগুরুর স্বঘোষিত অনুগামীরা অন্য কাউকে করতে দেননা। এখানেই ধর্ম বিজ্ঞানের চেয়ে পিছিয়ে গেছে। প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগুরু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য দিয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে যেমন কিছু তথ্য যুগান্তকারী, তেমনি কিছু তথ্য একটি যুগের কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। তা যুগ অতিক্রম করতে পারে নি। কিন্তু এই সীমাবদ্ধতা ধর্মগুরুর স্বঘোষিত অনুগামীরা দূর করতে দেন না। ফ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন