মুসলমান সমাজের পিছিয়ে পড়ার কারণ বাবা শেখ মীরান ছিলেন কৃষক, মা সাইতুন বিবি গৃহবধূ। ছোট থেকেই লেখাপড়ায় মেধাবী ছিলেন নিগার। ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। কাজী নজরুল ইসলামের এই ভুবন বিখ্যাত উক্তিটি আমরা পথে-ঘটে, মাঠে-ময়দানে, সভা-সমাবেশে গলা ফুলিয়ে গর্ব ভরে আওড়াই। আবার সেই আমরাই ঘরের মেয়েকে শুধুমাত্র একজন ভালো জামাই পাওয়ার লক্ষ্যে, যেটুকু লেখাপড়া করানো দরকার বলে মনে করি, শুধুমাত্র সেটুকুই পড়াই বা শেখাই। পারি আর না পারি, ছেলের ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা এভাবে ভাবি না। এটা একটা ভয়ংকর রকমের বৈষম্যমূলক ভাবনা। এই ভাবনা মুসলিম সমাজ এবং মুসলিম ব্যক্তি মানসের বিকাশের পরিপন্থী। যে মুসলমান সমাজ এভাবে ভাবে, সেই সমাজ এগোবে? অসম্ভব! অর্ধেক আকাশকে অন্ধকারে ঢেকে রেখে, আলোর পূর্ণ জ্যোতির প্রভাব আকাশ জুড়ে (মুসলিম সমাজ জুড়ে) অনুভব করা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা, এতে মেধার অপচয় হয়। ফলে এই সমাজই শুধু নয়, দেশ বঞ্চিত হয় এই সমাজের মধ্যে থাকা সঞ্চিত মেধার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ থেকে। শনিবারই সূর্যের রহস্যভেদের উদ্দেশে পাড়ি দি
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ