আস্তিক ও নাস্তিক
আস্তিক ও নাস্তিক |
আস্তিক হওয়ার জন্য শিক্ষিত না হলেও চলে কিন্তু প্রকৃত নাস্তিক হতে গেলে শিক্ষার গভীরে পৌঁছাতেই হয়। তাই আস্তিক হওয়ার চেয়ে নাস্তিক হওয়া অনেক কঠিন।
এর জন্য শক্ত বুকের পাটা লাগে, যা একমাত্র প্রকৃত শিক্ষাই তৈরি করতে পারে।
উৎস : ফেসবুক
সাধারণ মানুষ এভাবেই ভাবে।
কিন্তু এটা মোটেই তা নয়। ধর্ম না মানলে তাদের অধার্মিক বলে। নাস্তিক বলে না।
সাক্ষাতে বিস্তারিত বলা সম্ভব। এখানে বিষয়টি পরিষ্কার করা খুবই কঠিন। ছোট্ট করে বলি। দেখ বোঝার মত হয় কিনা।
আস্তিকতা ও নাস্তিকতা দুটো পরস্পর বিপরীত দার্শনিক তত্ত্ব। দুটোই চেষ্টা করে জগৎ ও জীবনের প্ৰকৃত রহস্য খুঁজে বের করতে।
যাঁরা এই রহস্য খুঁজতে গিয়ে উপলব্ধি করেন যে এর মূলে আছেন কোন অলৌকিক শক্তি এবং তারা বিশ্বাস করেন এই অলৌকিক শক্তির উপাসনা (নামাজ বা পূঁজা ইত্যাদি) করতে পারলেই তাঁকে সন্তুষ্ট করা যাবে। আর তাতেই মানুষের জগৎ ও জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যারা এভাবে ভাবেন তাদের আস্তিক বলে সবাই চেনে। এঁদের হাতেই ধৰ্ম দর্শনের জন্ম হয়েছে। এঁদের এই ভাবনার মূলে থাকে মানুষের কল্যাণ সাধন।
অন্যদিকে একদল মানুষ ভাবেন এই রহস্যের মূলে কোন অলৌকিক শক্তি নেই। যা আছে তা জাগতিক শক্তি। সেই শক্তিকে খুঁজে বের করতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাঁদের মতে এই শক্তিকে খুঁজতে কোন ধর্ম দর্শনের প্রয়োজন হয় না। প্রকৃতির মধ্যে গভীর অনুসন্ধানী চোখ মন আর চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগালেই তা করা যায়। এভাবে যাঁরা ভাবেন তারাই নাস্তিক। মনে রেখো এদেরও মূল লক্ষ্য মানব কল্যাণ। এরাই জন্ম দিয়েছেন বিজ্ঞান সাধনার। এরাই বৈজ্ঞানিক নামে পরিচিত। মনে রাখতে হবে কেউ বিজ্ঞান নিয়ে পড়লেই তাঁকে বিজ্ঞানী বলা যায় না।
বিজ্ঞানীদের একটি নিজস্ব দর্শন আছে। তার মূল কথা হল যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনষ্কতা ও মানবতাবাদ। যাঁরা এই দর্শন মেনে জগত ও জীবনের রহস্য উৎঘাটন করেছেন এবং করার চেষ্টা করছেন তাঁরাই বিজ্ঞানী।
অস্তিকরা এভাবে ভাবেন না। তাঁদের মতে অলৌকিক শক্তির ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছুই ঘটে। এই দর্শনের মূল কথা হল বিশ্বাস। নিঃশর্তভাবে বিশ্বাসই এই দর্শনের মূল কথা।
উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করা যায়। তবে তার জন্য অনেক সময় দরকার, মুখোমুখি বসা দরকার আর পরমত সহ্য করার ক্ষমতা থাকা দরকার।
সুযোগ হলে বা তুমি চাইলে তা করা যেতেই পারে।
ভালো থেকো। শুভ সন্ধ্যা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন