নিন্মবর্গের মানুষ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছেন? পাঠকের মত ও তার উত্তর - ৩
Abunafiz Abunafiz মতামত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। কোন বিষয়ে সবাই একমত হবেন এটা অবাস্তব কল্পনা। তাই সে কল্পনা আমি করি না। আপনার যেমন মনে হয়েছে, আপনি তেমন বলেছেন। তা বলার অধিকার আপনার আছে। তাই ক্ষমা করার প্রসঙ্গ অবান্তর।তবে ইতিহাসে যা আছে বলে বলছেন, তা আসলে ইতিহাস না। ইতিহাসের নামে বানানো গল্প। সে গল্প আপনি বিশ্বাস করতে পারেন, আবার নাও পারেন। আমি করি না। কারণ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সার্বিক বলে মনে করা ঠিক নয়।
কিছু কথা বলেছেন আপনি আপনার আবেগের জায়গা থেকে। ইতিহাসে কোন আবেগের জায়গা নেই। মা বোনদের বিক্রি করা কিংবা নিলামে তোলা কোন ঐতিহাসিক সাধারণ ঘটনা নয়।
স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদেরকে কী ভূমিকা আছে তা ইতিহাস সচেতন মানুষ সবাই জানে। আমিও জানি। কিন্তু এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য তো সেটা প্রমাণ করা নয়। তাই তা বলা নেই এখানে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই সুযোগ সন্ধানী। আমার মনে হয় সুযোগ সন্ধান না করাটা বোকামি। তবে তা সততার সঙ্গেই করা উচিত।
আমি মানুষকে উচুবর্ণ নিচু বর্ণ হিসেবে দেখিনা। মানুষের মধ্যে বর্ণভেদকে আমি মানি না। তথাকথিত উচুবর্ণের মানুষেরা তাদের শ্রেনি স্বার্থেই তা করেছেন। লেখার সময় ওই শব্দগুলো এড়িয়ে চলি। ব্যবহার করি উঁচু বর্গ এবং নিচু বর্গ।
উচ্চ বর্গের মানুষরা, যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই যে তারা চোর, তবুও আমি চোরকে চোর বলে নিজের দুর্বলতা ঢাকাকে সঠিক বলে মনে করি না। চোর যাতে চুরি করতে না পারে, তা ধরা এবং প্রতিরোধ করার মত যোগ্যতা অর্জন করাটাই আমার জন্য জরুরী কাজ বলে মনে করি।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি ১৫% উঁচু-বর্গের মানুষ যা পারে তা ৮৫% পারসেন্ট নিম্নবর্গের মানুষ পারে না কেন? নিজেদের দুর্বলতার কারণেই ১৫% এর কাছে ৮৫% হেরে বসে আছে।
তাই চোরের দোষ খোঁজার আগে নিজের দুর্বলতাকে চিহ্নিত করা খুব জরুরী। আমি সেই চেষ্টাই করেছি।
ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। শুভকামনা রইল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন