সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নিন্মবর্গের মানুষ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছেন? পাঠকের মত ও তার উত্তর - ২

Bashisthadev Thakur কেমন স্ববিরোধী হয়ে গেল না সাথি, আপনার মতামত? প্রথমে বললেন আমার কথাটা ফালতু। আবার যুক্তি দিতে গিয়ে আমার কথাটাই তো তুলে আনলেন।
ঠিক বুঝলাম না। কি বোঝাতে চাইলেন।

বৌদ্ধ ধর্ম ভারতের সমাজবিন্যাস পাল্টায়নি? বলুন পাল্টে গেছে সেটা আপনার নজরে পড়েনি। 'অষ্টাঙ্গিক মার্গে'র কথা পড়েননি? যদিও পরিবর্তিত সমাজবিন্যাস বোঝার মত অবস্থায় বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম নেই। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের আক্রমণের মুখে তা তো সেই কবেই দেশছাড়া হয়ে গেছে। তাই না দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যান, দেখতে পাবেন বৌদ্ধ ধর্মের সমাজ বিন্যাস কেমন?

বৌদ্ধধর্ম কোন রিলিজিয়ান ছিল না? কীভাবে বলছেন? 'হীনযান' 'মহাজানে'র কথা পড়েননি? খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে প্রতিবাদী আন্দোলনের ইতিহাস জানেন না? শুধু বৌদ্ধ ধর্ম না, ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রতিবাদে সেই সময় ৬০টিরও বেশি ধর্ম সম্প্রদায়ের জন্ম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টিকে আছে দুটো। তাও তাদের এদেশে ঠাঁই হয়নি। এখনো ভারতের যেখানে যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ আছেন, তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

পূর্ববঙ্গে ইসলাম প্রসারের কারণ হিন্দু ধর্মের শোষণ নয়? কী বলছেন! শুধুমাত্র শোষণ নয় - এ কথা ঠিক। তবে শোষণ নয়, বলছেন কি করে? শোষণ আর অত্যাচার ছাড়া 'মতুয়া সম্প্রদায়ে'র উৎপত্তি হতো? হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব হতো বাংলার মাটিতে?

ইসলাম ধর্মের প্রচারে এবং প্রসারে আরব ব্যবসায়ীদের প্রভাব রয়েছে ঠিক। কিন্তু সেটাই একমাত্র কারণ নয়। ক্ষেত্র তৈরি না থাকলে আরবীয় চাষিরা যতই বীজ বুনুন না কেন, তা থেকে গাছ জন্মাতো না। ক্ষেতটা তৈরি করেছেন ব্রাহ্মণ্যবাদীরাই। এটাতো ঐতিহাসিক সত্য। আপনার কথাতেই তো তার ইঙ্গিত রয়েছে।

আর 'চৈতন্যদেবের মত কেউ পূর্ববঙ্গে জন্মাননি' মানে? চৈতন্যদেব যখন আবির্ভূত হয়েছিলেন, বাংলার মাটিতে, তখন কি বাংলা ‘পশ্চিমবঙ্গ’ আর ‘বাংলাদেশ’ এই দুই ভাগে বিভক্ত ছিল? পুরোটাই তো বাংলা ছিল! উড়িষ্যায় তার প্রভাব পৌঁছে গেল, আর সারা বাংলায় তা পৌঁছল না? কেন? এই কেন-এর উত্তর খুঁজুন আপনিই জেনে যাবেন আসল রহস্য।😄😄

এগিয়ে যাওয়ার জন্য যোগ্য নেতা থাকাটাই একমাত্র শর্ত নয়। আপনি তো বলেছেন, আম্বেদকর কাশীরাম-এর মত নেতৃত্বে দলিতরা মূল স্রোতে ফিরেছেন। হ্যাঁ কিছু মানুষ তো ফিরেছেন। কিন্তু বেশিরভাগটাই তো যে তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। নেতা তৈরি হতে গেলে তো চিন্তায়-চেতনায় শিক্ষায়-দীক্ষায় আগে উন্নত হতে হয়। এবং বংশপরম্পরায় সেই ধারা অব্যাহত থাকার প্রয়োজন হয়। তবেই তো নেতার জন্ম হবে এবং নেতৃত্ব দেবে। সেটাই তো হয়নি। যুগ যুগ ধরেই হয়নি। তাইতো পিছিয়ে থাকা। সে পিছিয়ে থাকার কারণটাই আমি বলার চেষ্টা করেছি। আর একবার পড়ে দেখুন তো? সেটাই বলেছি কিনা? দেখবেন সেটাই বলেছি।

ধন্যবাদ, সময় করে পড়া আর মতামত দেওয়ার জন্য।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে