Tapas Das আমাদের ইংরেজ প্রভুরা যেখানে যতটা বিকৃত করার প্রয়োজন মনে করেছিলেন ততটাই করেছিলেন। তারা যতটা বিকৃত করেছিলেন ততটাই আমরা বিকৃত বা ভুল জেনেছিলাম। আর বিকৃত টুকু তো অবশ্যই ভুল। যেমন ধরুন, আপনি জিজিয়া করের কথা বলেছেন। একটু আগে কোন একজনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। সেটাই এবার শুনে নিন। কতটা কিভাবে বিকৃত করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী নীতিকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিভাজনের নীতি প্রয়োগ করার জন্য কীভাবে কতটুকু বিকৃত করেছেন। হিন্দুদের জিজিয়া কর দিতে হয়েছে। ওরঙ্গজেব নতুন করে চালু করেছেন। এ কথা মিথ্যা কেউ কি আপনাকে বলেছে? কেউ বলেননি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে বিকৃতিটা কোথায়? সেটাই আপনাকে কেউ জানায় নি। ১) আপনাকে জানানো হয়নি, হিন্দুদের যেমন জিজিয়া কর দিতে হতো, তেমনি মুসলিমদের যাকাত দিতে হতো। এটা জানালে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভাজন করা যেত না। অনতিবিলম্বেই আরেকটা সিপাহী বিদ্রোহের সুচনা হত। যেখানে হিন্দু মুসলমানের মিলিত শক্তি ব্রিটিশদের প্রায় পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে ফেলেছিলো। শিখসহ কয়েকটি রেজিমেন্ট বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় সাময়িকভাবে তা আটকে গেছিল। ২) আপনি দেশে
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ