সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আলী হোসেন : ডিজিটাল ডাইরি - আমার কথা

সত্যকে সহজে দেখা যায় না

সত্য সহজবোদ্ধ নয় : The truth is not easy to understand সত্যকে সহজে দেখা যায় না। কারণ, সত্য নিজে একটা অদৃশ্য মোড়কে মুড়ে রাখে। এই মোড়ক তাকে সুরক্ষা দেয়, তাকে মূল্যবান করে তোলে। আমরা শরীরের মূল্যবান অংশগুলিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। অথচ তারাই আমার দেহের মূল চালিকাশক্তি। সেই চালিকাশক্তি হলো সত্য। সে নিজেকে রক্ষা করছে, ত্বক, পাঁজর, চুল ইত্যাদি বাইরের মোড়কের সাহায্যে। আমরা দেখছি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। কিন্তু সত্য বলছে, সূর্য নাই পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে।  সুতরাং সত্যকে উপলব্ধি করতে গেলে নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন। লেখাপড়া শেষ করে, এর জন্য প্রয়োজন হয়, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নিরবিচ্ছিন্ন এবং সার্বিক পড়াশোনা। প্রয়োজন হয় পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ সহ সর্বাধুনিক গবেষণার রীতিনীতি ও টুলস ব্যবহার করার সক্ষমতা। আমি যদি তা না করি, আমার কাছে যা সত্য হিসাবে উপস্থিত হবে, তা সব সময় সত্য নাও হতে পারে, হতে পারে সত্যের আবরণ। সুতরাং আপনি যা সহজেই বুঝে ফেলেন, তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নাও হতে পারে। একজ দেখছেন, মুসলিম ধর্ম-বিশ্বাসীরা সাম্প্রদায়িক। তারাই দেশে একমাত্র মৌলবাদী। তার সামনে রয়েছে গাদা গাদ...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

মৌলবাদ, পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক

মৌলবাদ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক : Fundamentalism mutually complementary মৌলবাদ, সে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠুক না কেন, তারা পরস্পরের পরিপূরক। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে অক্সিজেন যোগায়।

সম্পদের সৃষ্টি ও ভোগকারী

সম্পদের সৃষ্টি ও ভোগকারী সম্পদ সৃষ্টি করে গরিব মানুষ, জমা হয় কতিপয় ধুরন্ধর মানুষের কাছে। Creator and consumer of wealth Creator-and-consumer-of-wealth

প্রকৃত বন্ধু কে?

প্রকৃত বন্ধু কে? Who is a real friend? যিনি বলছেন, আমি মুসলিমদের বন্ধু। অথবা যিনি বলছেন আমি হিন্দুদের বন্ধু; তিনি আসলে কেউ কারুর বন্ধু নন। আসল বন্ধু তিনি, যিনি বলছেন আমি মানুষের বন্ধু। কারণ, মানুষের কোন জাতিগত বিভাজন কোন স্বাভাবিক বিষয় নয়। এটা ধান্দাবাজ মানুষের তৈরি। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তা করা হয়েছে।  সুতরাং যারা হিন্দু বা মুসলমানের বন্ধু হতে চায় তারা আসলে মানব জাতির শত্রু।

স্বাধীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও আত্মপরিচয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক

স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মপরিচয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রত্যেক শিক্ষিত বাবা-মা চায়, তার সন্তান তার নিজস্ব আইডেন্টিটি (পরিচয়) গড়ে তুলুক। বাবা-মায়ের পরিচয়ের বাইরেও তার নিজস্ব পরিচয় গড়ে উঠুক। বাবা মায়ের পরিচয় হল একটি জৈবিক পরিচয়, যা জন্ম সূত্রে পাওয়া। পারিবারিক সম্পর্কের আলিঙ্গনে বাধা এক অদৃশ্য কিন্তু অটুট ও শক্তিশালী বন্ধন। এই বন্ধনকে ছিঁড়ে ফেলার সঙ্গে আত্মপরিচয়ের কোন নিকট সম্পর্ক নেই। বা বলা ভালো, জন্মসূত্রে পাওয়া পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন, যার সঙ্গে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার কোন বৈপরীত্যের সম্পর্ক নেই। কেননা, এই সম্পর্ক ছিড়ে ফেললে আত্মপরিচয় গড়ে তোলার ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ, এই ভিত গড়ে তুলতে, এই সম্পর্কের সাপোর্ট খুবই জরুরী। এই সাপোর্ট ছাড়া ধণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আত্মপরিচয়ের ভীত এবং তার উপরে ইমারত গড়ে তোলার পরিকল্পনা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। এই পরিচয় তখনই গড়ে ওঠে, যখন তার নিজস্ব আর্থিক শক্তি তৈরি হয়। এই শক্তি অর্জনের মূল হল ইচ্ছা শক্তি। এই ইচ্ছা শক্তি তখনই তার মধ্যে বাড়তে থাকে, যখন সে বোঝে, বাবা-মায়ের সম্পদ আসলে তার সম্পদ নয়। পরবর্তী সংসা...

চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক

চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক: The relationship between cunning and intelligence চালাক নয়, বুদ্ধিমান হও। চালাকির মধ্যে অসততা আছে, যা সমস্যাকে জটিল করে তোলে। আর বুদ্ধির সংগে থাকে সততা, যা সমস্যা সমাধানের পথকে সহজ করে তোলে। সুতরাং চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার সম্পর্ক পরস্পর বিরোধী। উভয়ের অবস্থান উভয়ের বিপরীত মেরুতে। চালাকির চরিত্র নেতিবাচক আর বুদ্ধিমত্তার চরিত্র ইতিবাচক। তাই চালাক ও বুদ্ধিমান শব্দের মধ্যে পার্থক্য  কোথায়, তা বোঝাটা খুবই জরুরী। ------------xx-----------

বিশ্বাস, সংস্কার, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও বিজ্ঞান

বিশ্বাস, সংস্কার, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও বিজ্ঞান ঈশ্বর আছেন। এটা এক ধরনের  বিশ্বাস । এটা এমন এক বিশ্বাস যা প্রাথমিক ও অদ্বিতীয়। এর উল্টো মেরুতে রয়েছে আর এক বিশ্বাস। তা হল, ঈশ্বর নেই। বাকি সব বিশ্বাসের মধ্যে আছে এমন কিছু বিশ্বাস, যা মানলে ক্ষতি নেই। তা হল   সংস্কার । অন্যদিকে এমন কিছু বিশ্বাস আছে, যা মানলে ক্ষতি হয়। এগুলো আসলে কুসংস্কার । ক্ষতি হবে জেনেও যদি তা মানা হয়, তাহলে তা আমার  অন্ধবিশ্বাস । আর প্রাথমিক বিশ্বাসের ভিত্তিকে যখন যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে খোঁজার চেষ্টা হয় এবং কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে তাকে প্রতিষ্ঠিত করার অথবা প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টা করা হয়, তখন তা বিজ্ঞান। অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর আছেন। তিনিই সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা। এতে সমস্যা নেই। এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে যদি যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে এগোনো যায়, তবে যে সত্য সামনে আসে, তা হল এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত কিছুই কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের বাঁধনে বাঁধা আছে। সূর্য ওঠা থেকে অস্ত যাওয়া, ঋতু পরিবর্তন হওয়া, গাছের পাতা নড়া, মাথার উপর ঘুরতে থাকা ফ্যানটি হঠাৎ ব...

অপরাধ কমানোর উপায়

অপরাধ কমানোর উপায় : Ways to reduce crime দেশে আর্থিক বৈষম্য বাড়লে অপরাধ বাড়ে। গণতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ‘আইনের শাসন’ এই গাল ভরা নীতির কথা বলে অপরাধ দমনের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে অপরাধ কমেনা। কারণ যার উৎপত্তি হয় বৈষম্য থেকে, দমনপীড়ন চালিয়ে তাকে দমানো যেত না। বৈষম্যের অবসানই তার (অপরাধ দমনের) একমাত্র পথ। গত রবিবার ২৯ জুন ২০২৫। আমেরিকার ইদাহোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিল দমকলকর্মীরা। সেখানে গিয়েই আচমকা গুলিবৃষ্টির মুখে পড়ে তারা। দুজন দমকল কর্মী মুহূর্তেই প্রাণ হারান। অন্যজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।  শেরিফ বব নোরিস বলেছেন, “একটি প্লটে আগুন লাগার খবর এসেছিল আমাদের কাছে। আমাদের ধারণা বন্দুক বাজই ওই আগুন লাগিয়েছিল। দমকলের টিম সেখানে পৌঁছতেই তাদের লক্ষ্য করে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি। দমকল কর্মীরা নিজেদের বাঁচানোর সময়টুকু পাননি।” এই ঘটনার খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, একটি ২০ বছরের ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রশ্ন হল, এই অপরাধের কোনো ব্যাখ্যা আছে আমাদের কাছে? ধণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষক যারা, তারা বলবেন ছেলেটির মানসিক সমস্যা ছিল। হ্যাঁ, ছ...

এর চেয়ে বড় মিথ্যে নেই

এর চেয়ে বড় মিথ্যে নেই মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই, এর ভেতরে সত্য নাই , হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই ! এটাও ভাবার যুক্তি নাই। ধর্ম বেচে খাচ্ছে যারা, এসব কথা শেখায় তারা এর ভেতরের গহীন মানে সে সব শুধু তারাই জানে এবং বোঝে এবং মানে, যাদের মাথায় গোবর নাই, হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই ! এর চেয়ে বড় মিথ্যে নাই।  রাজায় রাজায় দোস্তি করে, উলু খাগড়ায় কুস্তি লড়ে  রাজায় এটা ভালই জানে, ওরা নিজের সাথে নিজেই লড়ে মুচকি হেসে মুখটা তুলে চায়ের কাপের ধোঁয়ায় ভুলে বোঝায় কাদের শত্রু বলে ধর্ম রক্ষার নানান ছলে  গুলিয়ে দিয়ে শত্রু কারা, ভায়ের বুকে ত্রিশূল ছোড়ে নিজের জীবন বাজি রেখে,রোজ সাজে সে রাজার বোড়ে ---------xx---------

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হল অসৎ রাজনীতিকরা

নিপীড়িত মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হল অসৎ রাজনীতিকরা। এরা সাধারণ মানুষকে নানান প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় আসে। তারপর বিশ্বাসঘাতকতা করে পুঁজিপতিদের দালাল হয়ে যায়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে