সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আলী হোসেন : ডিজিটাল ডাইরি - আমার কথা

নীতিহীন রাজনীতি ও নীতি রাজনীতি

 নীতিহীন রাজনীতি ও নীতি রাজনীতি : Unprincipled politics and ethical politics বর্তমান ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নীতিহীন রাজনীতির বাড়ন্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় রাজনৈতিক দের মধ্যে কিছুটা হলেও নীতি রাজনীতির চর্চা ছিল। কিন্তু ৯০ এর দশকের পর, এর চূড়ান্ত অবনমন শুরু হয়। আজ তা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশ্বের কাছে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যে গর্ববোধ আমাদের উষ্ণতা প্রদান করত তা শেষের মুখে।  এই অবনবনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভারতীয় জনগণের মধ্যে আধুনিক রাজনীতি সম্পর্কে অপ্রতুল উপলব্ধি। তারা বুঝতেই পারেন না, নীতিহীন রাজনীতি শুধুমাত্র কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থ গোষ্ঠীর মঙ্গল সাধন করে। কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নীতি ও আদর্শ যুক্ত নীতি রাজনীতি আপামর জনসাধারণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। এই অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে চলেছে আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো। ‘নীতিহীন রাজনীতি’ শুধুমাত্র কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থ-গোষ্ঠীর মঙ্গল করে। কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ও নীতি আদর্শ যুক্ত ‘নীতি রাজনীতি’ আপামর জনসাধারণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের অধিকাংশ অধিকাংশ জ...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

মৌলবাদের সমর্থকদের উভয় সংকট

মৌলবাদের সমর্থকদের উভয় সংকট : Dual crisis of fundamentalist supporters সময় বড়ই নির্মম ও নির্মোহ। আফগানিস্তানের তালিবান আর ভারতের বিজেপি যে এক সারিতে অবস্থান করে তা সময়ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আধুনিক শিক্ষা, রাজনীতি ও চিন্তা চেতনার সঙ্গে তুলনা করলে তারা যে এখনও প্রাচীন যুগের ধ্যান-ধারণাকে বহন করেন, তা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।  ভারতীয় তথাকথিত ধার্মিক মুসলমান ও তথাকথিত ধার্মিক হিন্দু সম্প্রদায় এই মুহূর্তে এক গভীর সংকটে পড়েছেন। কারণ— ১) কিছু মুসলিম আছেন, যারা প্রকাশ্যে সমর্থন না করলেও আফগান সরকারের নীতিকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতেন না। এবং সেটা করতেন না এই ভেবে যে তারা ইসলাম ধর্মের সমার্থক ও রক্ষক। এই সমস্ত মুসলিম নিজের ধর্মকে প্রিয় ও পবিত্র ইসলাম মনে করেন। ইসলামের কিছু নীতি আদর্শ তাদের কাছে ইতিবাচক মানবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। দিকে সামনে রেখে। ২) অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে এবং জোরেশোরে তালিবানদের বিরুদ্ধে গলা ফাটাতেন। এমন করতেন, যেন ভারতের সমস্ত মুসলমান তালেবান নীতিকে সমর্থন করে এবং এখানে তালিবানীর শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। স্বয়ং আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক সময় বল...

রাগ ও তার প্রভাব

রাগ ও তার প্রভাব : Anger and its effects রাগ এমন এক আবেগ, যা ক্ষতি ছাড়া অন্য কোন কাজে লাগে না। —আলী হোসেন

পিতা-মাতা সম্পর্কে সন্তানের ধারণা

পিতা-মাতা সম্পর্কে সন্তানের (সাধারণ) ধারণা : Child's perception of parents পিতা-মাতা সম্পর্কে সন্তানের ধারণার তিনটি স্তর লক্ষ্য করা যায়। শৈশবে সে বাবা-মাকে অনুসরণীয় এবং সর্বজ্ঞ ব্যক্তি হিসাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। কৈশোর ও যৌবনে সে বিদ্রোহ করে ও বিচার করে। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে মূল্যায়ন করে। খানিকটা শৈশবের ধারণায় ফিরে যায়। এককথায় — একজন মানুষ তার পিতা-মাতাকে শৈশবে শ্রদ্ধা, কৈশোর ও যৌবনে বিদ্রোহ ও বিচার এবং প্রৌঢ়ত্বে গিয়ে মূল্যায়ন করে।  কেন এমন হয়?

পুঁজিবাদের প্রধান শত্রু

পুঁজিবাদের প্রধান শত্রু : পৃথিবীজুড়ে পুঁজিবাদীদের প্রধান শত্রু হলো সাম্যবাদ। তাই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর প্রধান শত্রু হলো সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলো। পৃথিবীতে সাম্যবাদী রাষ্ট্রগুলিকে মোটা দাগে দুই চেহারায় দেখা যায়। একটি বামপন্থী রাজনৈতিক শক্তি রূপে, অন্যটি ইসলামের সাম্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক শক্তি রূপে। এই দুটো শক্তিই কম বেশি সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমার্থক ও পৃষ্ঠপোষক। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমানাধিকারের কথা বলে। যেকোনো ধরনের বিভাজন ও শোষনের এরা বিরোধীতা করে। পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশে আমরা বামপন্থী রাজনৈতিক দল দেখতে পাই। কমিউনিস্ট, সোসালিষ্ট ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে তৈরি ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে আমরা এই বামপন্থী দলগুলোকে দেখতে পাই। আমাদের দেশে এরাই সিপিআই, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি ইত্যাদি নামে পরিচিত। কিন্তু উদারপন্থী এবং সাম্যবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী ইসলামিক শক্তিগুলোকে আমরা সেভাবে দেখতে পাই না। কারণ, এগুলোর কথা আমেরিকান লবি দ্বারা সমর্থিত, পরিচাল...

পুঁজিবাদের প্রধান হাতিয়ার বা অস্ত্র

পুঁজিবাদের প্রধান হাতিয়ার বা অস্ত্র : The main tool of capitalism Prantik Ghosh পুঁজিবাদের প্রধান দুটি অস্ত্র হল, সাম্রাজ্যবাদ ও মৌলবাদ। কারণ, শ্রমের শোষণ ছাড়া পুঁজি জমে না। আর শোষণের প্রধান হাতিয়ার হল এই দুটি অস্ত্র। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা ইত্যাদি আধুনিক ও উন্নত ধ্যান ধারণার আড়ালে পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখলে, এরা খোলা বাজার (উদার) অর্থনীতির নাম করে শোষণের রাস্তাকে একতরফা করে নিতে চায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সহ ইউরোপীয় দেশগুলোর পুঁজিবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর সবাই সাম্রাজ্যবাদী। কেউ ঘোর সাম্রাজ্যবাদী, কেউ একটু নরমপন্থী।  পুঁজিবাদ এ-দুটোকে ছাড়া বাঁচে না। তাই তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে যখন যেটা প্রয়োজন হয়, সেটাই প্রয়োগ করে। আর মৌলবাদীরা সেকুলারিজমকে পছন্দ করে না, ঘেন্না করে। যারা সেকুলারিজমকে ঘেন্না করে এবং পুঁজিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের সঙ্গে এদের সম্পর্ক খুবই মধুর। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বর্তমান সরকারের দহরম মহরম সম্পর্ক একারনেই তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদিকে সংযুক্ত ...

ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য

ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য: Alvito D Chuna না। মুসলিম কোন ধর্ম নয়। ধর্ম হল ইসলাম। এখানে এই পোস্টে ভোটের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা। রাজনীতিতে হিন্দু মুসলমান হয় না। রাজনীতিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস —এসব হয়। যদিও কিছু দল আমাদের বোকা ভেবে রাজনীতি আর ধর্ম এক করে দেখানোর চেষ্টা করছে।  প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষ এটা জানে। রাজনীতি হচ্ছে পলিটিক্স। সে সম্পর্কিত বিষয়ের নাম হচ্ছে পলিটিক্যাল সাইন্স বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান। যারা এটা পড়েছেন, তারা জানেন, রাজনীতি আর ধর্ম এক বইয়ের বিষয় থাকে না। এর জন্য আলাদা গ্রন্থ লাগে। দা প্রিন্স, অর্থশাস্ত্র —এগুলো রাজনীতির বই। বেদ, গীতা, বাইবেল, কোরআন —এগুলো ধর্মগ্রন্থ। ধর্মের বই। ধর্মের বইতে লেখা থাকে কীভাবে ধর্ম পালন করতে হয়। ঈশ্বরের অর্থাৎ আল্লাহ বা ভগবানকে পাওয়ার জন্য কী ধরনের আচার-আচরণ করতে হয়, কোন কোন নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর বিষয়ক বিষয়। অন্যদিকে, রাজনীতি হল রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, পরিচালনার আধুনিক নিয়ম-কানুন কী, সেসব কথা সেখানে ব...

প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভারতের ভোটদান

প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভারতের ভোটদান গুতো খেয়ে, সরকার বোধ হয় বুঝেছে, আমেরিকা আর ইসরাইল কী জিনিস! তাই প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে। — আলী হোসেন। ফেসবুক। একটু ভুল হচ্ছে,, পুরোটা শোনেন নি হয়তো ,,  বলেছে ,, হামাস কে বাদ দিয়ে প্যালেস্তাইন কে সমর্থন জানিয়েছে ,, আর আপনি আর আমি দুজনেই জানি ,, ইসলাম দেশ আর জঙ্গি সংগঠন,, কোন দিন আলাদা হতেই পারবে না ,, Bittu Dutta তাই! তা এই কথাটা বলতে দশ বছর লাগলো কেন? তার কী ব্যাখ্যা আছে? প্যালেস্টাইন সম্পর্কে অটল বিহারী বাজপেয়ীর বক্তব্য শুনেছেন? তারই বা কী ব্যাখ্যা দেবেন? Ali Hossain ব্যাখ্যা পরিস্কার,, ইরান ও আরব দেশ গুলোর সাথে আমাদের ব্যাবসার সম্পর্ক ভালো ,, আর ইসরাইল আমাদের পরম বন্ধু,, শুধু ধর্ম দিয়ে বিচার নয় ,, প্রতিটা ভারত বাসীর ইসরাইল কে সমর্থন করা উচিত,, সেই কারগীল যুদ্ধ থেকে তারা আমাদের পূর্ন সমর্থন জানিয়ে আসছে ,, প্রয়োজনে সমস্ত টেকনোলজি দিয়েছে,, অস্ত্র দিয়েছে ,, কিন্তু বেঁচে থাকতে গেলে লোকসমাজে অনেক কিছু বলতে হয় ,, Bittu Dutta ব্যবসার সম্পর্কও তো নতুন না। তাহলে? আর রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বলে কিছু তো হয় না। ট্রাম্পের সঙ্গে ...

সত্যকে সহজে দেখা যায় না

সত্য সহজবোদ্ধ নয় : The truth is not easy to understand সত্যকে সহজে দেখা যায় না। কারণ, সত্য নিজেই নিজেকে একটা অদৃশ্য মোড়কে মুড়ে রাখে। এই মোড়ক তাকে সুরক্ষা দেয়, তাকে মূল্যবান করে তোলে। আমরা আমাদের শরীরের মূল্যবান অংশগুলিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। অথচ তারাই আমার দেহের মূল চালিকাশক্তি। সেই চালিকাশক্তিই হল প্রকৃত সত্য। সে নিজেকে রক্ষা করছে, ত্বক, পাঁজর, চুল ইত্যাদি নানান ধরনের বাইরের আবরণ বা মোড়কের সাহায্যে। তেমনি আমরা দেখছি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। কিন্তু আসল সত্য হল— সূর্য নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে।  সুতরাং সত্যকে উপলব্ধি করতে গেলে নিবিড় গবেষণা প্রয়োজন। লেখাপড়া শেষ করে, এর জন্য প্রয়োজন হয় জগৎ ও জীবন সম্পর্কে নিরবিচ্ছিন্ন এবং সার্বিক পড়াশোনা। প্রয়োজন হয় পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ-সহ সর্বাধুনিক গবেষণা করার সর্বাধুনিক রীতিনীতি ও টুলস ব্যবহার করার সক্ষমতা। আমি যদি তা না করতে পারি অর্থাৎ এগুলো ব্যবহারের সক্ষমতা যদি আমার না থাকে, তবে আমার কাছে যা সত্য হিসাবে উপস্থিত হবে, তা সব সময় সত্য নাও হতে পারে। হতে পারে তা সত্যের আবরণ মাত্র। অর্থাৎ আপনি যা সহজেই বুঝে ফেলছেন, তা ...

মৌলবাদ, পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক

মৌলবাদ পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক : Fundamentalism mutually complementary মৌলবাদ, সে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠুক না কেন, তারা পরস্পরের পরিপূরক। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে অক্সিজেন যোগায়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে