সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতা : সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর

সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর এটা যেমন সত্যি। এর উল্টো দিকটাও সত্যি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা তা-ই বলছে।  আমি যখন মুসলিম হয়ে মুসলিম সমাজের সমালোচনা করছি তখন হিন্দু বন্ধুদের কাছ থেকে প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদের অনেকেই মৌন ব্রত পালন করেছেন। দু-একজন অসন্তোষ প্রকাশও করেন। আবার, আর এস এস বিজেপির সমালোচনা করলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের অধিকাংশ মৌন ব্রত পালন করছেন। এইদিকটা আপনার আলোচনায় ধরা পড়েনি। সুতরাং আপনার ভাবনায় সীমাবদ্ধতা আছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। আসামের ঘটনা নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছি। সম্ভবত গতকাল। একটু ঘুরে আসুন ওয়ালে। বুঝতে পারবেন। আর পিছনের দিকে গিয়ে দেখুন ঠিক উল্টো ছবি। আসলে সমাজে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রবণতা আছে। বললে সবার কথা বলাটা খুবই প্রয়োজন। না হলে মানুষ আপনাকে ভুল বুঝবেন। কোন সমালোচনা করার সময় এ বিষয়ে সতর্ক থাকাটা প্রত্যেক প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের জন্য জরুরি। ---------------- 🔳 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ৩

Musiar Rahaman প্রকৃত শিক্ষাই একমাত্র মানুষকে সঠিক পথ দেখতে পারে। কারণ, জগৎ ও জীবনের জটিল ও কঠিন পথের সূলুকসন্ধান একমাত্র শিক্ষার আলোতেই পাওয়া যায়। আর শিক্ষার এই আলোর মাধ্যমেই আসে আত্মপলব্ধি। তখনই মানুষ জেনে ফেলে জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্য। এই সত্য যারা উপলব্ধি করে তারা সৎ হওয়ার চেষ্টা না করে পারে না।

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ২

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। ---------------- মহ অনির্বাণ ইসলাম : যুক্তির বাঁধনটা বড়ই শক্ত। মোড়কও। মানুষ চিরন্তন বলে সব তত্ত্বকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয় নি। নিতে চায়ও না। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সব তত্ত্বকে মানুষ তার চিন্তা-চেতনায় ও প্রকৃতির গর্ভে থাকা শিক্ষার আলোয় বিজারিত করে নিত্য-নতুন তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম যে যুক্তির আগলে বাঁধা, সেই আগল থেকে খসিয়ে নেওয়া সুতো দিয়েই বুনে নিয়েছে প্রকৃতিকে বেঁধে ফেলার নতুন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক কৌশল। এমনই এক কৌশলের নাম শিক্ষা। আমার ধারণা ছিল, এই শিক্ষাই মানুষকে একদিন যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা অকল্যাণকর সত্যকে, যা আমাদের কাছে তত্বের রূপ ধারণ করে রয়েছে, তাকে অতিক্রম করে নতুন তত্বের জন্ম দিতে সক্ষম করে তুলবে। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া একটি তত্ত্ব দিয়েই অন্য  অকল্যাণকর তত্ত্বকে কল্যাণকর মোড়কে রূপান্তরিত করে নেবে। পাল্টে যাবে আমার ধারণা। সংখ্যালঘুরাই হয়ে উঠবে সংখ্যাগুরু। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ ব...

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ১

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। Ayesha Khatun আসলে এই সত্য পাল্টানোর চাবিকাঠি তো কারও একার হাতে থাকে না। সমষ্টির হাতের ও মনের ছোঁয়ায় এর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তাই আমার একার হাতেও তা নেই। তাই তুমি ঠিক। কিন্তু আশা করতাম, মানুষ যত শিক্ষার আলোয় আসবে, ততই সৎ ও সত্যের আবর্তে ঢুকে পড়বে। ফলে এক সময় আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। ছোটবেলার অদূরদৃষ্টির পরিণাম হিসাবে এই ধারণা বাতিল এর খাতায় জমা হবে। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ বিশ্বাস এখনও আমি হারাই নি যে, সংখ্যায় সংখ্যালঘু হলেও এরাই জগতের সত্যিকারের সত্য উপলব্ধিতে শক্তিশালী ও অগ্রণী বাহিনী।. .......... এবিষয়ে অন্যান্য মতামত এখানে মূল পোস্ট দেখুন ফেসবুক  এ। এবং দেখুন YourQuote এ।

দেশভাগের যন্ত্রনা ও বুদ্ধিজীবী

এপার বাংলার কোন সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবী এই প্রথম (আমার জানা মতে) প্রকাশ্যে আনলেন এবং  বিষয়টি স্বীকার করলেন। এই সত্য কথনের সাহসই সৌমিত্র দস্তিদারকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

দেশভাগের যন্ত্রনা

দেশভাগ। যন্ত্রণা শুধু ওপার বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এপার বাংলার মুসলমানদেরও সমানভাবে কাতর করেছিল। এই সহজ সত্যটা উপলব্ধি করার জন্য বিশেষ তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ যুক্তি বুদ্ধিতেই তা উপলব্ধ হয়। রাজনীতির জটিল ও কুটিল চক্রান্তে এই সত্য দীর্ঘ সাত দশক ধরে চাপা পড়ে আছে। দুটি সম্প্রদায়ের মানুষ তাই পাশাপাশি বাস করেও পরস্পর পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখে। একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে এটা যে কত বড় লজ্জার এবং কষ্টের তা বুঝিয়ে বলা মুশকিল। কেন এই পরিস্থিতি? কারণ, ইতিহাস তো বটেই, সাহিত্য, সিনেমা, নাটক সহ এপার বাংলার কোনও সাংস্কৃতিক মঞ্চে এর একরত্তি ছোঁয়া পড়েনি। সেখানে মঞ্চস্থ হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তর ও পূর্বের সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মোড়া একই মুদ্রার বাছাই করা পিঠের ছবি নিয়ে তৈরি পান্ডুলিপির বাছাই করা পর্ব। অন্য পিঠে থাকা চিত্রগুলি পান্ডুলিপি হওয়ার মর্যাদা লাভ করেনি আজও। ফলে অন্য পর্বগুলি তরুণ প্রজন্মের কাছে এসে পৌঁছায়নি। এই একপেশে চালচিত্র দেখে দেখে বড় হওয়া প্রজন্মের একজন জ্বলছে ঘৃণার আগুনে, অন্যজন সীমাহীন গ্লানির অতলে ডুকছে অসহায় ভাবে। এই কারণেই এপার বাংলার ...

কাব্য সাহিত্যে শব্দ চয়ন সময়কে অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সময়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে পারে না।

কাব্য সাহিত্যে শব্দ চয়ন সময়কে অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সময়ের চেয়ে  পিছিয়ে পড়তে পারে না। Jakir Hossain আমার মনে হয়, ঝঞ্ঝাটের উচ্চমাত্রা ভাববাচ্যে কথা বলার মধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে। তার জন্য কথোপকথনের প্রাচীন রীতির প্রাচীন শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো । দ্বিতীয়ত, পুরো ছড়াটার মধ্যে যে কথোপকথন, যে সব শব্দ ব্যবহার করে করা হয়েছে, তাতে ঝঞ্ঝাটের মাত্রা খুব উচ্চ বলে মনে হচ্ছে না আমার কাছে। মনে হচ্ছে উচ্চমাত্রার মান-অভিমান চলছে। তৃতীয়ত, ঝঞ্ঝাট যে মাত্রারই হোক,  তা যখন এই সময়ের, তখন উচ্চমাত্রা বোঝানোর জন্য এই সময়ের শব্দই ব্যবহার করাই বাঞ্চনীয়। কারণ,  কাব্য সাহিত্যে শব্দ চয়ন সময়কে অতিক্রম করতে পারে কিন্তু সময়ের চেয়ে  পিছিয়ে পড়তে পারে না। যদিও অনেক সময় উপযুক্ত সমসায়িক শব্দ না পাওয়ার কারণে পুরনো শব্দ ব্যবহার করতে হয়। কারণ, তাছাড়া উপায় থাকে না। তবে, বিষয়টি যদি অতীতের কোন সময়কে ধারণ করে এগোয়, তবে অবশ্যই সেখানে পুরানো সময়ের শব্দ ব্যবহার বাঞ্চনীয় । যাই হোক, কবির ভাবনার স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতেই হবে। আমি শুধু আমার ভাবনা আপনার সঙ্গে সংক্ষেপে শেয়ার করলাম। ভেবে দেখতে পারেন। ভালো থাকুন। সুস...

দেশ বেচে দিলপুঁজিপতিদের হাতে

মুসলমান আর কাগুজে বাঘ পাকিস্তানের ভয় দেখিয়েই পুরো দেশটা বেঁচে দিল পুঁজিপতিদের কাছে। আমরা এমন শিক্ষিত যে বুঝতেই পারলাম না। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

কেউ কাউকে ভোলে না

কেউ কাউকে ভোলে না জগতে কেউ কাউকে ভোলে না, শুধু প্রয়োজন ফুরালে এড়িয়ে চলে। এবং এড়িয়ে চলতে চলতে একসময় আড়ালে চলে যায়।

মুসলিম আইডেন্টিটি কি কেবল টুপি?

টুপি ছাড়া কি মুসলিম সম্প্রদায়ের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হয়? এটাকে বাদ রেখেও এই প্রচ্ছদ আঁকা যেত না? মুসলিম সম্প্রদায়ের কতজন টুপি পড়েন? টুপি যাঁরা ধর্মপ্রাণ, তাঁরা নামাজ পড়ার সময় কেবল টুপি পড়েন। শতকরা একজনেরও কম যাঁরা দিনের অধিকাংশ সময় এটা পরে থাকেন। টুপি দিয়ে বাঙালি মুসলিমকে সামগ্রিকভাবে ধরা যায় না। 🔴 বিশ্বজিৎ পন্ডার লেখা প্রবন্ধ সংকলনের ( স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা ছোটোগল্পে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম-মানস ) প্রচ্ছদ সম্পর্কে মন্তব্য।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে