সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্মান্ধতা কী?

ধর্মান্ধতা কী? - আলী হোসেন  ধর্মান্ধতা, এক ধরণের মানসিক রোগ বা বিকার । এর জন্ম হয় কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষুদ্রস্বার্থকে খুব সহজেই চরিতার্থ করার আগ্রাসী ও অনৈতিক মানসিকতা থেকে। এবং প্রকট হয় দীর্ঘ চেষ্টার পরও যখন তা সফল হয় না। সূত্র : ১) Your Quote-এ দেখতে এখানে ক্লিক করুন । ২) ফেসবুক-এ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না।

প্রসঙ্গ সুরা তওবা, অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না - আলী হোসেন।  Sumanta Bose Majumder সাথি, আপনি হয় তো কোরআন পড়েছেন অথবা অংশটি কোথাও থেকে সংগ্রহ করেছেন। তবে আমার ধারণা, অংশটি সংগ্ৰহ করা। আপনি পড়েন নি। এই সুরাটির (অধ্যায়টির) নাম তওবা। এখানে ১২৯ টি বাক্য লেখা আছে। তার মধ্যে আপনি ৫ নং আয়াতটি (বাক্যটি) উল্লেখ করেছেন। আপনি এককাজ করুন। পরের মুখে ঝাল না খেয়ে (যদি খেয়ে থাকেন) গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদ করা কোরানটি একবার পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ভাবনাটার কোথায় অসঙ্গতি আছে। ১২৯ বাক্যের একটি প্রবন্ধ থেকে একটি বাক্য তুলে ধরলে কি ওই প্রবন্ধের মূল কথা বোঝা যায় ভাই! ওই বাক্যটি কোন স্বাধীন ও সম্পূর্ণ বাক্য নয়। সুরা তওবার এই বাক্যের আগে পরে অনেক যদি, তবে, কিন্ত, পরন্তু আছে। সেগুলোকে বাদ দিয়ে ওই বাক্যটি অর্থহীন হয়ে পড়ে। যেমন ধরুন, আমি বললাম ' ‛আমাকে কেউ মারতে এসো না। যদি আসো, আমি তোমাকে মারব‘। এখন আপনি যদি আমার আগের বাক্যটির উল্লেখ না করে পরের বাক্যটি তুলে ধরেন তবে, সবাই আমাকে অপরাধী হিসাবে ভেবে নেবে। আপনি সেটাই করেছেন। অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝানোর চাতুরী করেছেন,যা আসলে অসত্য ও অসঙ্গত। ...

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী Avishek Sarkar ভাই/দাদা, আপনার প্রফাইল লক করা কেন? আপনার পরিচয় জানতে দেন না কেন? এমন কিছু কি গোপন করার চেষ্টা করছেন যা প্রকাশ হলে অসুবিধায় পড়বেন? আচ্ছা বাদ দিন। আপনি কীভাবে বুঝলেন যে, রূ প সা  মুসলমান, কিংবা তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি? আপনিও কি পোশাক দেখেই মানুষ চিনতে পারার মত ক্ষমতা রাখেন নাকি? যদি রাখেন, তবে আপনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ। সেক্ষেত্রে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই। যদি তা না রাখেন, তবে কটা কথা বলি। ১) উনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করেছেন। ওনার মতো করেই করেছেন। এক হাতে তালি বাজেনা, জানেন তো? তাই তালির শব্দে যখন কানের পর্দা ফাটার উপক্রম হয়, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ দুই হাতের কারসাজির কথাটা সহজেই ধরতে পারেন। উনিও পেরেছেন। তাই প্রতিবাদটা সেভাবেই করেছেন। ২) বাংলাদেশে যেমন মৌলবাদী মুসলমান আছে, তেমনি এদেশেও মৌলবাদী হিন্দু আছে। জানেন তো? অথবা মানেন তো? আপনি কি জানেন এই তালি দেওয়ার ক্ষেত্রে এরা একে অপরের পরিপূরক? বোধ হয় জানেন না। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আমার তেমনই মনে হল। ক্ষমা করব...

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ইসলাম ও মৌলবাদ

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ইসলাম ও মৌলবাদ, কুমিল্লার দাঙ্গা ২০২১ - আলী হোসেন।  বাংলাদেশ ও ভারত দুটো প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু ধর্ম-দর্শনে। একদল নিজেদেরকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করে এবং অন্যটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে। দুটো দলই মূলত তাদের ধর্ম নিয়ে যথাক্রমে ব্যবসা ও রাজনীতি করছে। আর এর কারণে মরতে হয়, ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়, উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের। এরা ধর্মের কথা বলে মানুষকে উত্তেজিত করে। কিন্তু নিজের ধর্মের মানুষ, যারা অন্য দেশে সংখ্যালঘু, তাদের কথা মোটেই ভাবে না। উভয় সম্প্রদায়ই বিপরীত সম্প্রদায়ের ধর্ম বিষয়ে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং উত্তেজনা ছড়ায়। নিজ ধর্মের প্রতি প্রেম সধর্মীয়দের জন্য দরদ দেখাতে গিয়ে যে পরোক্ষভাবে নিজের ধর্মকে অসম্মান ও  সধর্মীয়দের বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তা এই সব ধর্মান্ধ মানুষরা বোঝে না। আর বোঝে না বলেই এদের এই নির্বুদ্ধিতার সুযোগ নেয় মৌলবাদী সমাজ। অথচ উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থে এ ধরনের বিদ্বেষ-বিভেদমূলক কোন কিছু আছে বলে আমি এখনো কিছু খুঁজে পাইনি। উল্টে সহাবস্থান ও সহমর্মিতার কথাই লক্...

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।

Somen Sengupta পারতাম যদি তো দিয়েই দিতাম। তাই না? সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ হতে গেলে তো কমিউনিস্ট হতে হবে। তা কি হজম হতো আমাদের? অথবা, তাহলে তো নেতাজির নেতৃত্ব মেনে নিতে হতো। পেরেছিলাম কি তা? আসলে আপনার প্রশ্নটা ঠিক পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন হয়ে উঠতে পারেনি। কারণ প্রশ্ন হল সেটাই, যার সুনির্দিষ্ট একটি উত্তর আছে। কিন্তু আপনার প্রশ্নের সে ধরণের কোন উত্তর হয় না। উল্টে আরও কিছু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যার কিছু আমিই করে বসেছি আপনাকে।😀😀 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

প্রেম নয়, মোহ

প্রেম নয়, মোহ যে প্রেম আপনকে পর করতে শেখায়,সে-প্রেম প্রেম নয়,মোহ। তাই প্রেম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিৎ নয়। দেখুন ফেসবুকে দেখুন YourQuote এ

ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতা : সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর

সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর এটা যেমন সত্যি। এর উল্টো দিকটাও সত্যি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা তা-ই বলছে।  আমি যখন মুসলিম হয়ে মুসলিম সমাজের সমালোচনা করছি তখন হিন্দু বন্ধুদের কাছ থেকে প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদের অনেকেই মৌন ব্রত পালন করেছেন। দু-একজন অসন্তোষ প্রকাশও করেন। আবার, আর এস এস বিজেপির সমালোচনা করলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের অধিকাংশ মৌন ব্রত পালন করছেন। এইদিকটা আপনার আলোচনায় ধরা পড়েনি। সুতরাং আপনার ভাবনায় সীমাবদ্ধতা আছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। আসামের ঘটনা নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছি। সম্ভবত গতকাল। একটু ঘুরে আসুন ওয়ালে। বুঝতে পারবেন। আর পিছনের দিকে গিয়ে দেখুন ঠিক উল্টো ছবি। আসলে সমাজে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রবণতা আছে। বললে সবার কথা বলাটা খুবই প্রয়োজন। না হলে মানুষ আপনাকে ভুল বুঝবেন। কোন সমালোচনা করার সময় এ বিষয়ে সতর্ক থাকাটা প্রত্যেক প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের জন্য জরুরি। ---------------- 🔳 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ৩

Musiar Rahaman প্রকৃত শিক্ষাই একমাত্র মানুষকে সঠিক পথ দেখতে পারে। কারণ, জগৎ ও জীবনের জটিল ও কঠিন পথের সূলুকসন্ধান একমাত্র শিক্ষার আলোতেই পাওয়া যায়। আর শিক্ষার এই আলোর মাধ্যমেই আসে আত্মপলব্ধি। তখনই মানুষ জেনে ফেলে জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্য। এই সত্য যারা উপলব্ধি করে তারা সৎ হওয়ার চেষ্টা না করে পারে না।

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ২

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। ---------------- মহ অনির্বাণ ইসলাম : যুক্তির বাঁধনটা বড়ই শক্ত। মোড়কও। মানুষ চিরন্তন বলে সব তত্ত্বকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয় নি। নিতে চায়ও না। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সব তত্ত্বকে মানুষ তার চিন্তা-চেতনায় ও প্রকৃতির গর্ভে থাকা শিক্ষার আলোয় বিজারিত করে নিত্য-নতুন তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম যে যুক্তির আগলে বাঁধা, সেই আগল থেকে খসিয়ে নেওয়া সুতো দিয়েই বুনে নিয়েছে প্রকৃতিকে বেঁধে ফেলার নতুন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক কৌশল। এমনই এক কৌশলের নাম শিক্ষা। আমার ধারণা ছিল, এই শিক্ষাই মানুষকে একদিন যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা অকল্যাণকর সত্যকে, যা আমাদের কাছে তত্বের রূপ ধারণ করে রয়েছে, তাকে অতিক্রম করে নতুন তত্বের জন্ম দিতে সক্ষম করে তুলবে। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া একটি তত্ত্ব দিয়েই অন্য  অকল্যাণকর তত্ত্বকে কল্যাণকর মোড়কে রূপান্তরিত করে নেবে। পাল্টে যাবে আমার ধারণা। সংখ্যালঘুরাই হয়ে উঠবে সংখ্যাগুরু। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ ব...

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ১

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। Ayesha Khatun আসলে এই সত্য পাল্টানোর চাবিকাঠি তো কারও একার হাতে থাকে না। সমষ্টির হাতের ও মনের ছোঁয়ায় এর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তাই আমার একার হাতেও তা নেই। তাই তুমি ঠিক। কিন্তু আশা করতাম, মানুষ যত শিক্ষার আলোয় আসবে, ততই সৎ ও সত্যের আবর্তে ঢুকে পড়বে। ফলে এক সময় আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। ছোটবেলার অদূরদৃষ্টির পরিণাম হিসাবে এই ধারণা বাতিল এর খাতায় জমা হবে। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ বিশ্বাস এখনও আমি হারাই নি যে, সংখ্যায় সংখ্যালঘু হলেও এরাই জগতের সত্যিকারের সত্য উপলব্ধিতে শক্তিশালী ও অগ্রণী বাহিনী।. .......... এবিষয়ে অন্যান্য মতামত এখানে মূল পোস্ট দেখুন ফেসবুক  এ। এবং দেখুন YourQuote এ।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে