গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু বন্ধ করা। মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা। সেটা যদি বারবার ফিরে আসে হয়, তবে তো মানতেই হবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অযোগ্য। আর নিজ দলের কর্মীর দ্বারা নিজ দলের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তো সেই দলের নেতৃত্বের সাংগঠনিক অযোগ্যতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সংগঠনের মধ্যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি সম্পর্কে অজ্ঞতা রয়েছে ভয়ংকরভাবে, এটাও স্পষ্ট। এটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে অনীহা কিম্বা অযোগ্যতা তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকার দাবিকে মান্যতা দেয় না। তাই বগটুই-এর দায় তারা এড়াতে পারে না।
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...