সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া বা না হওয়া স্কুল না মাদ্রাসায় পড়ছি শুধুমাত্র তার ওপর নির্ভর করে না

বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া না হওয়া স্কুল না মাদ্রাসায় পড়া তার ওপর নির্ভর করে না  আনন্দবাজার ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে ঃ "টাকা কি আটকাতে পারবে স্বপ্নকে?" "দশের মধ্যে স্থান, আজিজা-রৌনক-সানিয়াদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে বাধা হতে পারে টাকা" - খবরটি আনন্দবাজার পত্রিকা ফেসবুক পেজে শেয়ার করলে Anindita Dey মন্তব্য করেছেন, “মাদ্রাসা থেকে পাশ ডাক্তার হলে সেটা যেন লেখা থাকে ডিগ্ৰীতে” 😌 আমি লিখলাম, “বোন Anindita Dey তোমার প্রোফাইলের নিচে যে বিখ্যাত কবিতার লাইনটি লিখে রেখেছো, তুমি কি জানো, ওই লাইনের স্রষ্টাও একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন?" Anindita তার উত্তরে যা লিখল তার মূল কথা  হলো : মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করলে কেউ বিজ্ঞানমনস্ক হয়না, হয় সন্ত্রাসী। ✒️ এ প্রসঙ্গেই নিচের লেখাটা লেখা হয়েছে।✍️ ✍️ অনিন্দিতা কে খোলা চিঠি: আজ আনন্দবাজার অনলাইন খবর করেছে “দশ এর মধ্যে স্থান পাওয়া আজিজিয়া রৌণক ও সানিয়াদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বাধা হতে পারে টাকা।” ফেসবুক পেজে এই খবর শেয়ার করায় Anindita Dey মন্তব্য করেছেন : “মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ডাক্তার হলে সেটা যেন লেখা থাকে ডিগ্রিতে”। অনি

যা খেয়ে হজম করা যায় না

যা খেয়ে হজম করা যায় না তাকে উগরে দেওয়ায় ভাল। আপনার প্রত্যেক কথার উত্তর নীচে দেওয়া হল। 1) আপনার মাকে বলতে শুনেছি এতটাকা কোনো মেয়ের বিয়েয় দেয়নি । দ্বিতীয়তঃ  টাকাটা আমি পন হিসাবে নেয়নি, ধার হিসাবে নিয়েছি। অতএব ধার শোধ করা বাঞ্ছনীয়। আপনি বলছেন চাকরির টাকা বলে টাকা দিচ্ছি? আপনিও আমাকে চাকরির টাকায় দিয়েছিলেন। তাছাড়া যে বছর চাকরি হয় সেই বছর ভাবি ( অহনার মা )বলেছিল চাকরি আপনার হবে না। তখন ভাড়া থাকতেন সেখ পাড়ায়। এতে যদি প্রমাণিত না হয় সানা কে জিজ্ঞাসা করবেন। আর আড়াই হাজার টাকা নিয়ে আপনার আব্বা ঠিক যা বলেছিল তা হল ----"আলি বলে তোমার আড়িই হাজার টাকা দিয়েছে।" **আর সম্পর্ক বাঁধা থাকে কতগুলো সুতোয়,সেগুলো যত ছেঁড়ে সম্পর্ক তত দূর্বল হয়।    **আপনি আমার পিছনে কিছু সময় ব্যয় করেছেন।যেমন - তিন বার ইন্টারভিউ,একবার কাউন্সিলিং,একবার স্কুল দেখতে যাওয়া।আর আপনাদের কারোরই কিছু করিনি এমন কিন্তু নয়। তাছাড়া আমি লোককে যেমন উপকার করেছি লোকে আমাকে তেমন উপকার ফিরিয়ে ছিয়েছে। সব ঋন টাকা দিয়ে শৌধ হয় না তবুও যতটা হয় তার চেষ্টা।আপনার টাকা আমি কোনো অহঙ্কারের বশে ফেরত দিচ্ছি না। শুকর

শিক্ষক দিবস : এক অনন্য অনুভুতি

আজ শিক্ষক দিবস আজ শিক্ষক দিবস। ম্যাসেঞ্জার-এ উপচে পড়া শুভেচ্ছা বার্তা আর  শ্রদ্ধার বন্যা দেখে আমি আপ্লুত না হয়ে পারছি না। ছেলেমেয়েদের এই ভালোবাসাই মনে করিয়ে দিল কিছু স্মৃতি, যা  অবশ্যই স্কুল জীবনের। আজ ভারতজুড়ে যে অবিশ্বাসের ঝোড়ো হাওয়া মানুষকে অস্থির করে তুলছে প্রায়শঃই, তা আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে। ছোট থেকে যে পরিমন্ডলে বড় হয়ে উঠেছি সেখানে এসবের প্রায় কিছুই ছিলোনা। যা ছিল তা একেবারেই অন্য রকম। আর আমার এই অন্য রকম অভিজ্ঞতা হওয়ার মূলে যে মানুষটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তিনি একজন শিক্ষক। তবে তিনি কোনও স্কুলে পড়াতেন না। বুঝতেই পারছেন তিনি আসলে একজন গৃহ-শিক্ষক। আজ এই শিক্ষক দিবসে ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার জোয়ারে ভাসতে ভাসতে তাই কখন যেন পৌঁছে গেলাম গাইঘাটার যমুনা নদীর পাড়ে, যেখানকার একটি অনামি গ্রামের মানুষ আমার জীবনে দ্বিতীয় পিতা হয়ে এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ আমি অসংখ্য ছেলেমেয়েদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি।  কী নাম তাঁর? নিশ্চয় অনুমান করছেন রহিম, করিম, বা এই রকম কেউ হবেন তিনি? ভুল বুঝেছেন। এমন হলে এলেখার সূচনা অন্য রকম হত। কে সেই মানুষ, যাকে আমি দ্বিতী

ধর্ম কী

ধর্ম আসলে একটা পোশাক, যা আমাদের বহিরঙ্গের পরিচয় দেয়। শিক্ষা হচ্ছে আমার আত্মা যা অন্তরাত্মার পরিচয় দেয়। সত্যিকার মানুষের পরিচয় দেয় এই শিক্ষা। আকাডেমিক শিক্ষা আসলে একটি মাধ্যম যা প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে সাহায্য করে।

লেনিনের মূর্তি ভাঙা

লেনিনের মূর্তি ভাঙা  যারা গতকাল গড়বেতায় লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন তারা হতভাগ্য। কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে যেমন প্রত্যুষে বসে গভীর রাতের অন্ধকারের গভীরতা উপলব্ধি করা যায় না, তেমনই রুশ বিপ্লব পূর্ববর্তী পৃথিবীতে খেটে খাওয়া মানুষের যে করুন অবস্থা ছিল তাও এই সময় বসে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। যারা লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন, তারা সে কারণেই উপলব্ধি করতে পারলেন না যে, তারা কত বড় হতভাগ্য মানুষ। মানব সভ্যতার ইতিহাসের বিবর্তন যারা পড়েছেন, তারা জানেন, আজ যেটুকু অধিকার এই হতভাগ্য মানুষগুলো ভোগ করছেন তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল এই মানুষটির (লেনিন) হাত ধরেই। ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা আজ যেটুকু অধিকার মেহনতী মানুষকে দিয়েছে, তা বাধ্য হয়েই দিয়েছে। বাধ্য হওয়ার পিছনে যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি, তিনি আর কেউ নন, এই মানুষটিই। ভি আই লেনিন। এদের দুর্ভাগ্য, তারা এই ইতিহাস জানে না, যাদের নির্দেশে তারা লেনিনের মূর্তি ভাঙলেন, তারা কিন্তু এই ইতিহাস জানে। জানে বলেই তারা ভয় পায়। ভয় পায় এই ব্যক্তির ভূমিকা জেনে এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি এই বঞ্চিত মানুষগুলো আবার রুখে দাঁড়ায় পুঁজিবাদের ধারক ও বাহকদে

করপোরেট মিডিয়া আসলে তোতাপাখি : ইসরাইল, ভারতের সহ গোটা পৃথিবীতেই তারা এক সুরে গান গায়

ইসরাইলের তোতা পাখি পশ্চিমী মিডিয়া আর ভারতে বিজেপির তোতাপাখি ভারতীয় করপোরেট মিডিয়া যা নিন্দুকেরা 'গোদী মিডিয়া' নামে অভিহিত করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনা সম্পর্কে ইসরাইল যা বলে ইউরোপ ও আমেরিকার মিডিয়া তোতা পাখির মতো তা-ই প্রচার করে। সাংবাদিকতার প্রধান প্রধান শর্তগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরাইলের দেওয়া তথ্যই তারা প্রচার করে অন্ধ ও নির্ল্জভাবে। ভারতের ক্ষেত্রেও করপোরেট মিডিয়া সেটাই করে। আসলে মিডিয়ার মালিক হচ্ছেন করপোরেট পুঁজির মালিক বা পুঁজিপতিরা। এরা কি কখনও নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় - এমন খবর, তথ্য বা তত্ত্ব প্রচার করবে? করবে না, করেও না। আর এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষই জানি না এই সত্য। এও জানি না যে, সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে কর্পোরেটদের স্বার্থ পরস্পর বিপরীত মেরুর। এরা একে ওপরের পরিপূরক নয়। যদিও পরিপূরক হিসেবেই ওরা দেখাতে চায়। প্রচারও সেভাবেই করে। কিন্তু সত্য হল,  কর্পোরেটরা চায় সমাজে আর্থিক বৈষম্য থাক। কারণ, বৈষম্য জন্ম দেয় অভাব। অভাব থাকলেই অভাবীকে কম মজুরিতে খাটানো যায় এবং তার ফলেই পুঁজির পাহাড় জমানো সম্ভব হয়। সুতরাং যেকোন মূল্যে বৈষম্য ট

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য টিভি চ্যানেল করা কি সম্ভব?

বাঙালির সমস্ত ভুবন মিলে একটি সাধারণ সংবাদ ,সংস্কৃতির চ্যানেল করা সম্ভব?বাংলাদেশ ,পশ্চিম বাংলা,অসম,ত্রিপুরা বা ঝাড়খণ্ড সব জায়গা থেকেই সেটি পরিচালিত ও অ্যাকসেস করা সম্ভব। প্রস্তাবটি ভালো এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কিন্তু টাকা দেবে কে? পুঁজিই তো আসল চালিকা শক্তি। আর পুঁজির মালিকরা শুধু পুঁজি বাড়াতেই পুঁজি বিনিয়োগ করতে ব্যস্ত থাকে। বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষায় পুঁজি বিনিয়োগ করার মত বাঙালি পুঁজির মালিক কি আছে? থাকলে কোথায়? ক্লাউড ফান্ডিংই এক্ষেত্রে একমাত্র বিকল্প। কিন্তু সেখানেও সমস্যা আছে। এই ধরণের ফান্ডিংয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মানুষের আবেগ ও সহানুভূতি। বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি সম্পর্কে আম জনতার সেই আবেগ ও সহানুভূতি কি আছে অবশিষ্ট ? আমার মনে হয়, নেই বললেই চলে। না থাকার কারণও আছে। সেখানেও চলছে পুঁজির খেলা। উত্তর ও পশ্চিম ভারতীয় করপোরেট পুঁজির মালিকরা বেশ পরিকল্পনা করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে মুছে দিতে চেষ্টা করছে। এবং আম বাঙালি অতি উৎসাহের সঙ্গে সেই পরিকল্পনার সঙ্গে নিজের শরীর ও মনকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। প্রতিদিন বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো (যার সবকটাই উত্তর পশ্চিম ভারতীয় পুঁজিপতিদের দ্বার

সাধারণত্বের মধ্যেই থাকে অসাধারণত্ব

অসাধারণ কথাগুলো সাধারণভাবে বলার মধ্যেও থাকে এক ধরনের অসাধারণত্ব। এভাবে বলার ক্ষমতা যাদের থাকে তারাই প্রকৃতপক্ষে অসাধারণ।

রাজ ভিক্ষা

ভক্ত বানাও ফ্রীতে যত অন্ধত্ব তত রাজত্ব, খুশির খবর শোনো পেলে শিক্ষা রাজ ভিক্ষা, চাইবে না কেউ কোনো চাইবে যা তা দুর্মূল্য, না চাও যদি দিতে শিক্ষা দীক্ষা লাটে তুলে, ভক্ত বানাও ফ্রীতে। 24/05/2022, 11:22 AM

ইতিহাসের কাজ বীর পূজা করা নয়

ইতিহাসের কাজ বীর পূজা করা নয়, তার কাজ নির্মোহ এবং নৈর্ব্যক্তিকভাবে সত্যকে তুলে ধরা। একাজে দরকার যুক্তি, বুদ্ধি, ও তথ্যের সাহায্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে সত্যে উপনীত হওয়ার মত মনস্তাত্ত্বিক শক্তি। এই শক্তির নাম বিজ্ঞান মানসিকতা বা বিজ্ঞানমনস্কতা। বীরপূজা রাজনীতিকের কাজ, বিশেষ করে দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদরা এটাকে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। বামপন্থী রাজনৈতিকরা যদি এই পথের পথিক হয়, তাহলে বুঝতে হবে এই বামপন্থা ক্রমশ দক্ষিণ পন্থার দিকে ঢলে পড়ছে। ঐতিহাসিকদের বা ইতিহাসবীদর কাজ হচ্ছে রাজনীতিকদের কবল থেকে ইতিহাসকে মুক্ত রাখা। ইতিহাসকে নৈর্ব্যক্তিক চেহারায় টিকিয়ে রাখা।

ধর্মীয় নয়, মানবতাবাদী ভাবাবেগই একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

যে দেশে মানবতাবাদি ভাবাবেগের চেয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগ বেশি গুরুত্ব পায় সে দেশ বা জাতি পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। আমরা তাই পিছিয়ে পড়ছি। প্রসঙ্গ : 

কোরআন পাঠের তাৎপর্য

এখন কোরআন পড়ছি। যত পড়ছি, গভীরে ঢুকছি, তত মনে হচ্ছে চারপাশে মুসলমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন বলুন তো এমন মনে হচ্ছে? কারণ, কো রা নি (কোরআন অনুসরণকারী) মুসলমানের চেয়ে দেশে হাদিসি (হাদিস অনুসরণকারী) মুসলমানের সংখ্যা ভয়ঙ্কর রকম বেশি।  তাতে সমস্যা কোথায়? বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, কারণ অসাম্যই হিংসার জন্ম দেয়।

হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যায় মাত্র। মানুষের সমান অধিকার কায়েম করার মধ্য দিয়েই আসে হিংসার সমাপ্তি। কারণ, অসাম্যই জন্ম দেয় হিংসার এবং অসাম্যই হিংসার একমাত্র কারণ। গতকাল নতুন করে কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। এ দায় রাষ্ট্রশক্তিকেই (সরকারকে) নিতে হবে। কারণ, তারই একমাত্র দায় থাকে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে সমাজ থেকে অসাম্য দূর করে একটি সুস্থ্য ও শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলার। আর সেটা সেটা না করে, আলোচনা ও সমানাধিকারের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে, হিংসা দিয়ে হিংসার মোকাবেলার রাস্তায় যারা হেঁটেছেন তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। যারা বিভাজনের অস্ত্র ব্যবহার করে, অসাম্য জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়, তারাই একমাত্র দায়বদ্ধ এর জন্য। বন্ধ হোক সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে বিভাজনকারী রাজনীতিকদের রাজনৈতিক চালাকি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

সমালোচনা আর খিল্লি এক নয়

বামপন্থা খিল্লি শেখায় না, শেখায় গঠনমূলক সমালোচনা। সমালোচনা সৃষ্টিশীল আর খিল্লি ধ্বংসাত্মক বিকারগ্রস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে। জন্ম দেয় অপসংস্কৃতির, যা বামপন্থার পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। যে প্রক্রিয়ায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে একাদেমির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তা হয় তো সমালোচনার উর্ধে নয়। হয় তো বলছি এই কারণে যে, তাঁর লেখা আমি পড়িনি। কারও সমালোচনা করতে হলে তাঁর সম্পর্কে গভীরভাবে জানা প্রয়োজন, তাঁর লেখার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় থাকা দরকার, যা আমার নেই। রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আদর্শগত পার্থক্য আছে যাদের, তারা রাজনৈতিক ইস্যুতে সমালোচনা করবেন - সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু লেখক হিসাবে তাঁর সমালোচনা করার সময়, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় উপেক্ষণীয় না হলেও তা কখনই প্রধান বা একমাত্র বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয় না - একথা মনে রাখা প্রয়োজন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মূল্য

বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মূল্য বিশ্বাসের চেয়ে অবিশ্বাসের মূল্য বেশি। কারণ অবিশ্বাস সত্য অনুসন্ধানের সাহায্য করে এবং বিশ্বাস অন্ধত্বকে ডেকে আনে; বলা ভালো প্রশ্রয় দেয়। আমি যখন কোনো কিছুকে বিশ্বাস করি, তখন তা প্রশ্নহীন সিদ্ধান্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যে কথাটা আমি বিশ্বাস করছি, সেই কথার বক্তার দ্বারা আমি সম্মোহিত হয়ে যাই। তাই প্রশ্ন করার অবকাশ এখানে থাকে না। যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে যাচাই করার যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি এক্ষেত্রে কার্যকর থাকে না। তাহলে কি বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই? আছে। বিশ্বাস মানুষের মনকে শান্ত করে। আবার অশান্তও করে। কিন্তু যখন দুশ্চিন্তায় শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে অথচ দুশ্চিন্তার সত্যিই কোন কারণ নেই তখন বিশ্বাসই মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। এসময় ঝাড় ফুঁক বা জল পড়া-পানি পড়াতেও কাজ হয়। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস এবং সেই বিশ্বাসে ভর করে প্রার্থনায় বসেও মানুষের মনের মুক্তি আসে। উল্টো দিকে, যদি স্বাস্থ্যহানির কারণ হয় শারিরীক, তবে এই বিশ্বাস সাময়িক কাজে আসলেও দীর্ঘমেয়াদী ফললাভ হয় না।

সম্মোহন কী? সম্মোহন করার ক্ষমতা কার বেশি?

সম্মোহন কী? সম্মোহন করার ক্ষমতা কার বেশি? পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই কারও না কারও দ্বারা সম্মোহিত। জন্মের পর থেকেই এই সম্মোহন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম শুরু করেন তার মা। মা হচ্ছেন সদ্যজাত মানুষের প্রথম এবং শক্তিশালী সম্মোহনকারী।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে