যা খেয়ে হজম করা যায় না তাকে উগরে দেওয়ায় ভাল।
আপনার প্রত্যেক কথার উত্তর নীচে দেওয়া হল।
1) আপনার মাকে বলতে শুনেছি এতটাকা কোনো মেয়ের বিয়েয় দেয়নি । দ্বিতীয়তঃ টাকাটা আমি পন হিসাবে নেয়নি, ধার হিসাবে নিয়েছি। অতএব ধার শোধ করা বাঞ্ছনীয়। আপনি বলছেন চাকরির টাকা বলে টাকা দিচ্ছি? আপনিও আমাকে চাকরির টাকায় দিয়েছিলেন।
তাছাড়া যে বছর চাকরি হয় সেই বছর ভাবি (অহনার মা )বলেছিল চাকরি আপনার হবে না। তখন ভাড়া থাকতেন সেখ পাড়ায়। এতে যদি প্রমাণিত না হয় সানাকে জিজ্ঞাসা করবেন।
আর আড়াই হাজার টাকা নিয়ে আপনার আব্বা ঠিক যা বলেছিল তা হল ----"আলি বলে তোমার আড়িই হাজার টাকা দিয়েছে।"
**আর সম্পর্ক বাঁধা থাকে কতগুলো সুতোয়,সেগুলো যত ছেঁড়ে সম্পর্ক তত দূর্বল হয়।
**আপনি আমার পিছনে কিছু সময় ব্যয় করেছেন।যেমন - তিন বার ইন্টারভিউ,একবার কাউন্সিলিং,একবার স্কুল দেখতে যাওয়া।আর আপনাদের কারোরই কিছু করিনি এমন কিন্তু নয়।
তাছাড়া আমি লোককে যেমন উপকার করেছি লোকে আমাকে তেমন উপকার ফিরিয়ে ছিয়েছে। সব ঋন টাকা দিয়ে শৌধ হয় না তবুও যতটা হয় তার চেষ্টা।আপনার টাকা আমি কোনো অহঙ্কারের বশে ফেরত দিচ্ছি না।
শুকরিয়া মহান আল্লার, আমাকে ঋন শোধ করার সামর্থ দিয়েছে।
----------------------
ভুল বললে। যা খেয়ে হজম করা যায় না, তা খেতে নেই। মনুষ্যসমাজে এটাই প্রচলিত এবং প্রমাণিত সত্য। আর যারা যা খেয়ে হজম করতে পারে না অথচ খায়, তারা এক বিশেষ প্রজাতির চারপেয়ে জন্তু। লোভের বসে খায়। তারপর যখন দেখে হজম করা যাচ্ছে না, তখন ঘাস পাতা খেয়ে তা উঠিয়ে দেয়। এ স্বভাব মানুষের নয়।
আমি তো জানি তুমি মানুষ। তাই এমন যুক্তি তোমার মুখে মানায় না।
তাই, মানুষ কারও কাছ থেকে যেটা নিয়ে খায়, তা উগরে দেয় না। তার প্রতিদান দেয়। তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকে। তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। উগরে দেয়ার কথা বলে তাকে ছোট করে না। আমার বিদ্যা বুদ্ধি এবং চেতনা অন্ততঃ তাই বলে।
১) মা কখন তোমাকে কি বলেছে তা আমি জানিনা। জানার কথাও নয়। তবে কখনো কখনো কোনো কোনো কথা বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে কানে এসেছে।
কিন্তু একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে? মা হঠাৎ কেন একথা বলতে গেলেন তোমাকে (যদি তিনি বলেই থাকেন)? যুক্তিবিজ্ঞান বলে, কোন কারণ ছাড়াই কোন কাজ হয়না। তাই তিনি যখন এ কথা বলেছেন, তখন তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। কোন ঘটনার মূল্যায়ন করতে গেলে ব্যাকগ্রাউন্ডকে বাদ দিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার মূল্যায়ন করা যায় না। তুমি এখানে তাই করলে। মা যেটা বলেছেন সেটা বললে। কিন্তু কেন বলেছিলেন, সেটা চেপে গেলে। সাধারণ মানুষ এভাবে যুক্তি দেয় বটে, কিন্তু শিক্ষিত মানুষের কাছে এভাবে যুক্তি দেয়াটা নিজেকে ছোট করে ফেলার শামিল হয়।
২) দ্বিতীয় পয়েন্টে তুমি যে কথা বলেছ, তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। ওটা একান্তই তোমার নিজস্ব মতামত। তুমি যেভাবে ভাববে, ঠিক সেভাবেই বিবেচিত হবে। আর এ কথা তো আমি অস্বীকার করতে পারিনা, টাকার কথাটা তুমি পণ হিসেবে নাওনি, ধার হিসেবে নিয়েছিলে। আমি ওটা তোমাকে পণ হিসেবে দিইনি। আমি নিজে কখনো কারো সঙ্গে সে কথা শেয়ার করিনি। আজ পর্যন্ত নয়। ওটা দেয়ার পেছনে আমার যে মানসিকতা কাজ করেছিল তাহলো কর্তব্যবোধ এবং দায়বদ্ধতা।
3)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন