পুঁজির প্রকৃত মালিক কে? পুঁজির জন্ম হয় কীভাবে এবং কোথা থেকে? পুঁজির প্রকৃত মালিক কে? — আলী হোসেন পুঁজির জন্ম হয় শ্রম থেকে। কারণ, শ্রমিকের শ্রম যুক্ত না হলে প্রকৃতির কোন সম্পদই প্রকৃত অর্থে সম্পদ হয়ে ওঠে না। প্রকৃতির সেই সব বিষয় বা বস্তু সম্পদ বলে বিবেচিত হয়, মানুষের কাছে যার ব্যবহারিক মূল্য আছে। প্রকৃতির যে সমস্ত বিষয় বা বস্তু মানব সভ্যতার উন্নয়নে কোনদিন, কোনভাবে, কোন কাজেই লাগে না, তাকে কেউ সম্পদ বলে বিবেচনা করে না। বন বা জঙ্গলের আগাছাগুলো একারণেই কোনদিন সম্পদ হয়ে ওঠেনি। আর এই বিষয় বা বস্তুকে সম্পদে পরিণত করার একমাত্র হাতিয়ার হল শ্রমজীবী মানুষের কায়িক শ্রম ও তাদের বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ প্রকৃতির নানান উপাদান যখন শ্রমজীবী মানুষের কায়িক শ্রম ও বুদ্ধিমত্তা সহযোগে মানুষের ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে, তখনই জন্ম হয় সম্পদের। আর যুগ যুগ ধরে এই সম্পদই পুঁজির প্রধান উৎস। এদিক থেকে বিচার করলে শ্রমজীবী মানুষই হচ্ছে একমাত্র সম্পদ, যাকে বাদ দিয়ে কোন সম্পদ নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। আর এ কারণেই মানুষকে সব সম্পদের সেরা সম্পদ বলা হয়। প্রাচীন যুগে এ কারণেই শ্রমজীবী মানুষকে সম্পদ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...