বিজেপি কেন সাম্প্রদায়িক?
মুখ খোলায় বহিষ্কৃত পদ্মনেতা
কংগ্রেস সবার সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে- রাজস্থানের প্রকাশ্য জনসভায় এই মন্তব্য করতে গিয়ে মুসলিমদের 'অনুপ্রবেশকারী', 'যাদের বেশি সন্তান হয়' ইত্যাদি তকমা দিতে শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর ওই মন্তব্যকে 'অনভিপ্রেত' বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজস্থানেরই বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণি। তারই 'শাস্তি' হিসেবে বুধবার তাঁকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল বিজেপি। - এই সময়
এর পরও বিজেপি নেতারা বলবেন, মুসলিমরা অহেতুক ভয় পায়; অন্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অহেতুক ভয় দেখায়, এবং বিজেপিতে গণতন্ত্র আছে!
একজন প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ সম্প্রদায় সম্পর্কে এভাবে বলতে পারেন? ভারতীয় সংবিধান এর মান্যতা দেয়? নির্বাচন কমিশন কীভাবে চুপ থাকতে পারেন? আমরা চাই আর না চাই - এ প্রশ্ন উঠবেই।
শুধু কি এবারই বলেছেন তিনি একথা? মোটেই নয়।
গুজরাতের হিংসার পরে মুসলমানদের ত্রাণ শিবিরকে তিনি ‘সন্তান উৎপাদনের কারখানা’ বলে তকমা দিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী মুসলিমদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ২০১৫-তে বিহারের বিধানসভা ভোটের প্রচারে তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা দলিত-জনজাতিদের সংরক্ষণের সুবিধা মুসলিমদের দিয়ে দিতে চাইছে। ২০১৭-র উত্তরপ্রদেশের ভোটের প্রচারে বলেছিলেন, গ্রামে ‘কবরিস্থান’ তৈরি হলে শ্মশানও তৈরি করতে হবে। রমজানের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ অক্ষুণ্ণ থাকলে দীপাবলির সময়ও বিদ্যুৎ জোগাতে হবে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদী সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন। তোলেন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এর স্লোগান।
কিন্তু তার পরেই নয়া নাগরিকত্ব আইন সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় মোদী ফিরে যান নিজের মহিমায়, যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের পোশাক দেখেই চেনা যাচ্ছে পরিচয় - এই বাক্যাংশ ব্যবহারের মাধ্যমে। মদি থাকবেন, আর বিদ্বেষ ভাষণ থাকবে না তা কি হয়?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন