সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গণতান্ত্রিক দেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব

গণতান্ত্রিক দেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব “গণতান্ত্রিক দেশে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব জনগণকে রক্ষা করা, কোন সরকারকে রক্ষা করা নয়। সরকার রক্ষার দায়িত্ব জনগণের।”  “In a democratic country the duty of the army chief is to protect the people, not to protect any government. It is the responsibility of the people to protect the government.”

ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য

ধর্ম সম্পর্কে আলী হোসেনের মন্তব্য ধর্মের ভিত্তি হল বিশ্বাস। তাই যে যেভাবে বিশ্বাস করে, ধর্ম তার কাছে সেভাবেই আত্মপ্রকাশ করে। আর সেটাই হায়ে ওঠে তার ধর্ম।  মূলত এ কারণেই বিশ্বজুড়ে নানান ধর্মমতের উদ্ভব হয়েছে। ধর্ম যদি কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠত, তবে বিশ্বজুড়ে একটি ধর্মই বিকাশ লাভ করত। এবং তা হত মানব ধর্ম। প্রকৃতি জগতে আমরা যা কিছু ঘটতে দেখি তা ঘটে নির্দিষ্ট নিয়মের বন্ধনে আবদ্ধ থেকে। এই নিয়ম আসলে কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া লক্ষ লক্ষ প্রাকৃতিক নিয়ম। যে ঘটনা যে নিয়মের শৃঙ্খলে বাঁধা আছে তার উপস্থিতিই সেই ঘটনাকে সম্ভব করে তোলে। তার কোন ব্যত্যয় ঘটতে দেখি না। আমরা কখনও কখনও কিছু বিষয়কে ব্যতিক্রম হিসাবে চিহ্নিত করে থাকি। কারণ, প্রচলিত নিয়মের বন্ধনে বেঁধে তাকে ব্যাখ্যা করা যায় না। আসলে, গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় এই ব্যতিক্রমটিও আসলে একধরণের নিয়মের আগলে বাঁধা আছে। অর্থাৎ ব্যতিক্রমটাও একটি অপ্রচলিত নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং নিয়মের বাইরে গিয়ে জগতে কিছু ঘটে না। আর লক্ষ্য করলে দেখা যায়, যা নিয়মের বা কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত...

শিক্ষিত মানুষের বৈশিষ্ট

শিক্ষিত মানুষ সম্পর্কে আলী হোসেন যার কথায় ও কাজে মানবতা স্থান পায় না, উল্টে  মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়, সে আর যাই হোক, শিক্ষিত মানুষ নয়। — আলী হোসেন শিক্ষা এক ধরণের আলো যা সব রকমের অন্ধকার থেকে মানব আত্মাকে মুক্তি দেয়। এই আলো যদি আপনার মধ্যে পড়ে আপনার ভেতরে থাকা জাত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় ইত্যাদির মধ্যে যে বিষাক্ত অংশ আছে তা মুছে যাবে। ধুয়ে যাবে মনের কোণে জমে থাকা মানুষে মানুষে বিদ্বেষের বিষ। কোন অবস্থাতেই, কোন মানুষের প্রতিই আপনি বিদ্বেষ ভাষণ দিতে পারবেন না। আধুনিক শিক্ষার আলো আপনার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা এই বিদ্বেষভাবকে মুছে দেবে। যদি তা না হয়, তবে আপনি শিক্ষিত মানুষ নন। লেখাপড়া জানা একজন অশিক্ষিত মানুষ। আপনার সঙ্গে অন্য প্রাণীর তেমন কোন পার্থক্য থাকবে না। পার্থক্য সেটা থাকবে, তা হল মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের পরস্পরের মধ্যে যে প্রকৃতি প্রদত্ত আকারগত ও স্বভাবগত যে পার্থক্য থাকে, সেটুকুই।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে