হিংসার আগুন, শুধু অন্যের নয়, নিজেকেও পোড়ায় The fire of jealousy burns not only others, but also oneself. দুটো কথা সমাজমাধ্যমে খুব জোরের সঙ্গেই প্রচার চলছে। একটি হল সন্ত্রাসবাদের লোকাল সাপোর্ট, এবং অন্যটি হল অধিকাংশ কাশ্মীরিই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদের সহায়ক। এর সমর্থনে সামনে আনা হচ্ছে বহু পুরনো কিছু ভিডিও ক্লিপ, যার স্থান কালের কোন উল্লেখ নেই। এখন লোকাল সাপোর্ট ছাড়া পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের মত কোন কাজ যে করা যায় না —একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এটা বোঝার ও বোঝানোর জন্য বহু পুরনো কোন ভিডিও ক্লিপ সামনে আনার প্রয়োজন হয় কী? হয় না। এটা এমনিতেই বোঝা যায়। তাহলে প্রশ্ন হল, এই পুরনো ক্লিপগুলো প্রচারে আনা হচ্ছে কেন? আর গোটাকয়েক বাদে কাশ্মীরের প্রায় সবাই সন্ত্রাসবাদী, একথাও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিচুতলার কর্মীদের প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, এই অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এমনকি গোয়েন্দা বিভাগও দাবি করেছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। সরকারও সে দাবি করেনি। তাহলে আমরা এগুলো ছড়াবো কেন? ছড়ালে কার লাভ, কীভাবেই বা সেই লাভ হওয়া সম্ভব? আমি বা...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...