সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অমর্ত্য সেনের মতামত ও আলী হোসেন

ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে অমর্ত্য সেনের মতামত ও আলী হোসেন: শ্রদ্ধেয় অমর্ত্য সেনের কথার সঙ্গে আমার মতামতের বোধহয় কোনো পার্থক্য নেই। আমি যে শিক্ষিত মানুষদের কথা সেদিন বলেছিলাম , তা এই মতের অনুসারীদের কথাই, যা গতকাল অমর্ত্য সেন বললেন। অমর্ত্য সেন সেই শিক্ষিত মানুষদেরই প্রতিনিধি ও পথপ্রদর্শক। বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তুলনায় বাম এবং অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির দায়বদ্ধতা কোনও অংশেই কম হওয়া উচিত নয়। — অমর্ত্য সেন আসুন দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই নিজেদের শুধরে নেই। সাম্প্রদায়িক দল ও মতকে উপেক্ষা করি। মনে রাখি, জাতি কিংবা ধর্মবিদ্বেষ কখনই কোনো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ইতিহাসের পাতায় পাতায় তার প্রমাণ রয়েছে। আসুন সত্য ও নিরপেক্ষ ইতিহাসের পাতায় নজর রাখি আর জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটা সুন্দর মানব সমাজ গড়ে তোলার জন্য হাতে হাত মেলাই। প্রসঙ্গ দেখুন এখানে  এবং এখানে

আধুনিক শিক্ষা ও ধর্মের সম্পর্ক

দেশে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি। এরজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাই সবচেয়ে বেশী দায়ী। আর এগুলোকে চালায় সরকার তথা রাজনৈতিক দলগুলো। তারা চায় বলেই স্কুলগুলোতে এসব চলে। এরা চায় শুধুমাত্র তাদের প্রশাসন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী তৈরি হোক, এই সমস্ত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো থেকে। প্রকৃত শিক্ষিত মানুষকে এরা ভয় পায়। তাই তারা চায় না এখন থেকে ধর্মীয় সংস্কারমুক্ত নাগরিক সমাজ জন্ম নিক। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার সঙ্গে ধর্মকে সুক্ষভাবে যুক্ত রেখেছেন। ইংরেজরা যেমন শুধুমাত্র কেরানি তৈরির জন্য ইংরেজি শিক্ষা (পাশ্চাত্য শিক্ষা) চালু করেছিল, এটা তেমনি স্বদেশি শাসকদের একটা স্বদেশি সংস্করনমাত্র। আমরা যাঁরা আজকের শিক্ষক, তাঁরাও তো এই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই শিক্ষা পেয়েছি, যেখানে ধর্মচর্চাকেও শিক্ষার একটি অন্যতম অঙ্গ হিসাবে দেখানো ও শেখানও হয়েছে। তাই আমরাও বিশ্বাস করি, ভগবান বা আল্লা না চাইলে আপনার আমার কোনো উন্নতিই সম্ভব নয়। তাই আমাদের অনেকেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সাথে সাথে ধর্মশিক্ষার মোড়ক থেকে বেরোতে পারিনা। তাই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট কিছু নোট মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাশ করেই আমরা আমাদের পড়াশোনার কাজ ...

অগ্নিপরীক্ষা - ২০২১

অগ্নিপরীক্ষা - ২০২১ “বিজেপি জিতলে বাম-কং-তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কারণ, শিক্ষিত মানুষ সংবিধান বাঁচানোকেই প্রধান দায়িত্ব বলে মনে করেন। পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকে  

আইনের শাসনের প্রধান ভিত্তি হল সংবিধান

Bhabani Sankar Chatterjee আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। কারণ, আইনের শাসনের প্রধান হাতিয়ারই হল সংবিধান। তাকে রক্ষা করতে না পারলে আইনের শাসন 'সোনার পাথর বাটি' হয়ে উঠবে। কেননা, আইনের শাসনকে শক্তি যোগায় সংবিধান। সংবিধানই আইনের শাসনের প্রধান ভিত্তি। তাই সংবিধান ভেঙে পড়লেই আইনের শাসন ভেঙে পড়ে। বর্তমান কেন্দ্র সরকার সংবিধান রক্ষায় নজিরবিহীন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আইনের শাসনও ভেঙে পড়েছে সারা দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই। এটা শুধু পশ্চিমবাংলার সমস্যা নয়।

সংসারে ভাঙন ও তার লক্ষণ

একটা সংসার তখন ভাঙে যখন পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ ডানা বাঁধে। আর অবিশ্বাস ও সন্দেহের বিষয়টি পরিষ্কার হয় যখন পরস্পর পরষ্পরকে গোপন করে।

হিন্দি বেশিরভাগ মানুষের কথ্যভাষা - একথা অসত্য

Bubai Gupta হিন্দি থাকলে অসুবিধা নেই। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষার মাথায় চেপে বসার চেষ্টা করলে প্রতিবাদ হবে। হিন্দি বেশিরভাগ মানুষের কথ্য ভাষা একথা কিভাবে জানলেন? আমার মনে হয় কথ্য ভাষা সম্পর্কে আপনার ধারণায় অসম্পূর্ণতা রয়েছে। হিন্দি গুটিকতক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষা। বর্তমান সরকার এটাকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করছে। দক্ষিণ ভারতের কোন রাজ্যের কথ্য ভাষা হিন্দি? বাংলার কথা বলছি না। সেটা আপনি জানেন। পূর্বভারতের কোন রাজ্যের? আচ্ছা পাঞ্জাব, গুজরাট, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, কোন রাজ্যের কথ্য ভাষা হিন্দি? বাকি থাকলো কটা? সেখানেও দেখবেন তাদের কথ্য ভাষার মধ্যে ভিন্নতা আছে। যেমন পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় অনেকগুলি কথ্যরূপ আছে। নাম বলে দিলে মুখস্ত করতে আপনার-আমার অনেক দিন সময় লাগবে। তেমনই ওই বাকি রাজ্যগুলিরও একই অবস্থা। আমরা যে বাংলায় লেখাপড়া করি তা কলকাতা নামক একটা ক্ষুদ্র জেলার কথ্য বাংলা। আপনি কি জানেন এটাই পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশের মান্য অফিসিয়াল ভাষা? সুতরাং গুটি কতক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষাকে যা আসলে একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অঞ্চলের (দিল্লির) কথ্যভাষা, তাকে বেশিরভাগ মানুষে...

অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী

Atanu Das ধর্মীয় আবেগ মানুষকে অন্ধ করে ফেলেছে। আগে ভাবতাম মুসলিমদের মধ্যেই ধর্মান্ধতা বেশি। এখন দেখছি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও কম যান না। এখন তাদের পাল্লাই ভারী হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। বাংলার নবজাগরণ ও তার প্রভাব এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল? তবে আমি আশাবাদী অন্ধকার নেমে আসা মানেই মানুষের জীবনে দিনের শেষ নয়, মানুষই পারে রাতকেও দিনের চেহারা দিতে। তাই অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী।

আমি কি সত্যিই সাম্প্রদায়িক?

"আপনারা এই কিছু মুসলিম বুদ্ধিজীবী এত সাম্প্রদায়িক আর নির্দয় কেন !  যে মানুষগুলো জান, মান ধর্ম রাখতে পালিয়ে এসে ছিন্নভিন্ন উদ্বাস্তু জীবন পালন করলেন তাঁদের প্রতি কোনও মায়া নেই ?  সব কিছু ছেড়ে মানুষ কখন উদ্বাস্ত হয় সেটা উপলব্ধি করেন না ! এই নিম্ন, নির্দয় উপলব্ধি নিয়ে আপনি কি সাহিত্য করবেন যদি মানুষের কষ্ট না বুঝলেন।  জন্মসূত্রে মুসলমান বলে আপনাদের তো কেউ দেশ ভাগের জন্য দায়ি করেন নি, তা যিনি করবেন তিনিও সাম্প্রদায়িক। যে মুসলিম লিগ নেতারা আলাদা জাতি এ বিধায় পাকিস্তান সৃষ্ট করেছিনেন এবং হিন্দু বলেই মেরে, ভয় দেখিয়ে, দখলদারি করে তাড়িয়েছিলেন তাঁদের দায়ি করা হচ্ছে। ও বিসর্জনে আপনারা কাঁধ দিতে হাজির হচ্ছেন কেন ? আর ওই একই কারণে অভিন্ন বাংলা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। খ্যাদানি খেয়ে এসে এখানে সর্বস্ব দখল করা কিছু বাঙাল কমিউনিস্ট আর সেকুলার অভিনেতা গোঁড়া মুসলমান ছাড়া অমন অন্যায় কথা কেউ বলেন না।" ---- গৌতম রায়। গৌতম বাবুর মন্তব্য এই👇লিঙ্কে :  https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3462640180524283&id=100003350041426 এখানে ক্লিক করুন সাথি গৌতম বাবু, আপনার মন্তব্য পড়ে রাগবো ...

দেশভাগ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা

দেশভাগ তথা বাংলাভাগ কারা করেছিলেন? এ দেশের যেখানে যাকে এই প্রশ্ন করবেন, সে-ই সবিস্ময়ে আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করবেন - কেন, জানেন না? আপনার অজ্ঞতার জন্য লজ্জা পাওয়ার একমুহূর্ত অবকাশ না দিয়ে নিজেই সগর্বে উত্তর দিয়ে দেবেন। বলবেন, শুনুন, মুসলিমরা অর্থাৎ মুসলিম লীগ দেশভাগ তথা বাংলাভাগ চেয়েছিল এবং তাদের কারণেই দেশভাগ হয়েছিল! আর তিনি যদি ভক্ত হন, তাহলে তো কথাই নেই, তিনি সেই সঙ্গে মুসলিমদের এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত কীভাবে করতে হবে তারও বিধান দিয়ে দেবেন। একদম বিনামূল্যে। কিন্তু সত্যিই কি মুসলিমরা দেশভাগ তথা বাংলা ভাগ চেয়েছিলেন? কী বলছে ইতিহাস? আসুন শুনে নেওয়া যাক দক্ষিন চাতরা হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী নকুল চন্দ্র মল্লিকের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

কৃষক ও কৃষিশ্রমিক একনয়

Satya Gopal Mukherjee এঁরা কৃষিশ্রমিক (প্রথম ছবি)। কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের পার্থক্যটা জানা দরকার। না হলে এঁরা কারা বোঝা মুশকিল হবে আপনার পক্ষে। যদিও আপনি দাবি করেছেন আপনি একজন কৃষক। তাই অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে আপনি এই পার্থক্যটা জানেন না কেন! কৃষক হলে আপনি এই পার্থক্যটা জানতেন। যাইহোক প্রথম ছবি (কৃষিশ্রমিক) ও দ্বিতীয় ছবির (কৃষক) পার্থক্যটা আশাকরি এবার বুঝতে পারছেন। বুঝতে সমস্যা হলে বলবেন অবশ্যই আরও ব্যাখ্যা করে বলবো। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে