সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নীতি ও নেতা।

এখনও পর্যন্ত বামপন্থাই শ্রেষ্ঠ পন্থা, তাই যে দল এই পন্থা মেনে নীতি-নির্ধারণ করে সেই দলই শ্রেষ্ঠ দল। তাই ভোট দিন নীতি দেখে নেতা দেখে নয়।

সন্ত্রাস ও তার উৎসন্ধান

আমরা কেউ বুঝি, কেউ বুঝিনা, কিন্তু সত্য হল এটাই যে, সন্ত্রাসের জন্মদাতা ও মদতদাতা হচ্ছে রাজনীতিকরা। এরা যেদিন রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করা বন্ধ করবে, এবং আমরা এই সত্য বুঝে এই অসৎ রাজনীতিকদের ছুড়ে ফেলতে পারবো, সেদিনই সন্ত্রাসবাদমুক্ত পৃথিবী পাবে মানুষ। উৎস : YourQuate , Facebook মতামত : Rita Basu: জানিনা  কবে সেদিন  আসবে  বা আদৌ   আসবে  কিনা।হিংসায় উন্মত্ত  এই  পৃথিবীর বুকে  শান্তি  কিআর ফিরে  আসবে? ** Rita Basu আশা, প্রত্যাশা, আর নিরন্তর চেষ্টার মাধ্যমেই আসে সাফল্য। আমরা তাই আশাবাদী। আজকের যে পৃথিবী আমরা দেখছি অতীতের পৃথিবী ছিল আরও ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর। ইতিহাস বলছে একথা। তাই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। এখন মনে রাখতে হবে, মানুষই এই পরিবর্তনের গতিমুখ ঠিক করে দেয়। তাই মানুষই পারে একাজ করতে। আর এই মানুষ যদি একবার মুখোশধারী রাজনীতিকদের চিনে ফেলে তবে তা আসবেই। শুধু সময়ের অপেক্ষা। Tapas Das ঠিক। ** কিন্তু আমি আপনি কিভাবে ভাবছি তার ওপর তো নির্ভর করে না, করে বাস্তবতার ওপর। আমি আপনি যাই ভাবি না কেন, যারা আজকের যুগে রাজনৈতিক স্বার্থে ...

সহজ কথা কঠিন করে বলা

সহজ কথা কঠিন করে বলা সহজ কথা কঠিন করে বলা যত কঠিন, কঠিন কথা সহজ করে বলা তার চেয়েও বেশি কঠিন। উৎস : YourQuote , ফেসবুক Rita Basu : কবিগুরু ই বলেছেন, "বিদ্যা হল সহজ আর  শিক্ষা হল কঠিন। " Rita Basu ঠিক। আমরা কিন্তু এই দুটো বিষয়কে এক করে ফেলি। আদতে যে এই দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা। বিদ্যা আসলে বাহন। তাকে ব্যবহার করে মানুষ সহজে শিক্ষার অঙ্গনে পৌঁছায়। অর্থাৎ বিদ্যা কঠিন কাজকে (শিকার আঙিনায় পৌঁছনোর কাজ) সহজ করে দেয়। প্রসঙ্গত বলি : আমরা অধিকাংশ মানুষ শিক্ষাকেন্দ্র থেকে বিদ্যাটাই কেবল গ্রহণ কবি, (এখন তো ক্রয় / বিক্রয় করি) এবং তারপর হাতগুটিয়ে বিদ্যার দোকান খুলে বসি অথবা তাকে দেখিয়ে পাকাপাকি আয়ের ব্যবস্থা করে বসে থাকি। ফলে তাকে বাহন করে শিক্ষা অর্জন করা আমাদের আর হয়ে ওঠে না। বলা ভালো চেষ্টাও করিনা। রবীন্দ্রনাথ এটাকে বেশ সুন্দর উপমা দিয়ে বলেছিলেন, 'আমরা বিদ্যাকে বহন করিয়াই চলিলাম, তাকে বাহন করিতে পারিলাম না।' তবে আমি এখানে একটু ভিন্ন বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছি। কোনো বিষয় অন্যের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কে কতটা পারদর্শী এবং কোনটা কতটা সহজ তা বলার চেষ্টা...

নেতাজি ও বিজেপি

নেতাজিকে তাড়াতে যাঁরা উঠে পড়ে লেগেছিলেন, ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাঁরাই এখন বিজেপি নেতা অথবা তাঁরাই এখন বিজেপির আদর্শ পুরুষ। আর এঁরাই কংগ্রেসের মধ্যে থেকে সুভাষকে তাড়ানোর ...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে