সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আধুনিক শিক্ষা ও ধর্মের সম্পর্ক

দেশে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেশি। এরজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাই সবচেয়ে বেশী দায়ী। আর এগুলোকে চালায় সরকার তথা রাজনৈতিক দলগুলো। তারা চায় বলেই স্কুলগুলোতে এসব চলে। এরা চায় শুধুমাত্র তাদের প্রশাসন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী তৈরি হোক, এই সমস্ত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো থেকে। প্রকৃত শিক্ষিত মানুষকে এরা ভয় পায়। তাই তারা চায় না এখন থেকে ধর্মীয় সংস্কারমুক্ত নাগরিক সমাজ জন্ম নিক। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার সঙ্গে ধর্মকে সুক্ষভাবে যুক্ত রেখেছেন। ইংরেজরা যেমন শুধুমাত্র কেরানি তৈরির জন্য ইংরেজি শিক্ষা (পাশ্চাত্য শিক্ষা) চালু করেছিল, এটা তেমনি স্বদেশি শাসকদের একটা স্বদেশি সংস্করনমাত্র। আমরা যাঁরা আজকের শিক্ষক, তাঁরাও তো এই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই শিক্ষা পেয়েছি, যেখানে ধর্মচর্চাকেও শিক্ষার একটি অন্যতম অঙ্গ হিসাবে দেখানো ও শেখানও হয়েছে। তাই আমরাও বিশ্বাস করি, ভগবান বা আল্লা না চাইলে আপনার আমার কোনো উন্নতিই সম্ভব নয়। তাই আমাদের অনেকেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সাথে সাথে ধর্মশিক্ষার মোড়ক থেকে বেরোতে পারিনা। তাই নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট কিছু নোট মুখস্ত করে পরীক্ষায় পাশ করেই আমরা আমাদের পড়াশোনার কাজ

আইনের শাসনের প্রধান ভিত্তি হল সংবিধান

Bhabani Sankar Chatterjee আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে। কারণ, আইনের শাসনের প্রধান হাতিয়ারই হল সংবিধান। তাকে রক্ষা করতে না পারলে আইনের শাসন 'সোনার পাথর বাটি' হয়ে উঠবে। কেননা, আইনের শাসনকে শক্তি যোগায় সংবিধান। সংবিধানই আইনের শাসনের প্রধান ভিত্তি। তাই সংবিধান ভেঙে পড়লেই আইনের শাসন ভেঙে পড়ে। বর্তমান কেন্দ্র সরকার সংবিধান রক্ষায় নজিরবিহীন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আইনের শাসনও ভেঙে পড়েছে সারা দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই। এটা শুধু পশ্চিমবাংলার সমস্যা নয়।

সংসারে ভাঙন ও তার লক্ষণ

একটা সংসার তখন ভাঙে যখন পরস্পরের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দেহ ডানা বাঁধে। আর অবিশ্বাস ও সন্দেহের বিষয়টি পরিষ্কার হয় যখন পরস্পর পরষ্পরকে গোপন করে।

হিন্দি বেশিরভাগ মানুষের কথ্যভাষা - একথা অসত্য

Bubai Gupta হিন্দি থাকলে অসুবিধা নেই। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষার মাথায় চেপে বসার চেষ্টা করলে প্রতিবাদ হবে। হিন্দি বেশিরভাগ মানুষের কথ্য ভাষা একথা কিভাবে জানলেন? আমার মনে হয় কথ্য ভাষা সম্পর্কে আপনার ধারণায় অসম্পূর্ণতা রয়েছে। হিন্দি গুটিকতক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষা। বর্তমান সরকার এটাকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করছে। দক্ষিণ ভারতের কোন রাজ্যের কথ্য ভাষা হিন্দি? বাংলার কথা বলছি না। সেটা আপনি জানেন। পূর্বভারতের কোন রাজ্যের? আচ্ছা পাঞ্জাব, গুজরাট, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, কোন রাজ্যের কথ্য ভাষা হিন্দি? বাকি থাকলো কটা? সেখানেও দেখবেন তাদের কথ্য ভাষার মধ্যে ভিন্নতা আছে। যেমন পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশের বাংলা ভাষায় অনেকগুলি কথ্যরূপ আছে। নাম বলে দিলে মুখস্ত করতে আপনার-আমার অনেক দিন সময় লাগবে। তেমনই ওই বাকি রাজ্যগুলিরও একই অবস্থা। আমরা যে বাংলায় লেখাপড়া করি তা কলকাতা নামক একটা ক্ষুদ্র জেলার কথ্য বাংলা। আপনি কি জানেন এটাই পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশের মান্য অফিসিয়াল ভাষা? সুতরাং গুটি কতক রাজ্যের অফিসিয়াল ভাষাকে যা আসলে একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অঞ্চলের (দিল্লির) কথ্যভাষা, তাকে বেশিরভাগ মানুষে

অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী

Atanu Das ধর্মীয় আবেগ মানুষকে অন্ধ করে ফেলেছে। আগে ভাবতাম মুসলিমদের মধ্যেই ধর্মান্ধতা বেশি। এখন দেখছি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও কম যান না। এখন তাদের পাল্লাই ভারী হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। বাংলার নবজাগরণ ও তার প্রভাব এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল? তবে আমি আশাবাদী অন্ধকার নেমে আসা মানেই মানুষের জীবনে দিনের শেষ নয়, মানুষই পারে রাতকেও দিনের চেহারা দিতে। তাই অন্ধকার ক্ষণস্থায়ী।

আমি কি সত্যিই সাম্প্রদায়িক?

"আপনারা এই কিছু মুসলিম বুদ্ধিজীবী এত সাম্প্রদায়িক আর নির্দয় কেন !  যে মানুষগুলো জান, মান ধর্ম রাখতে পালিয়ে এসে ছিন্নভিন্ন উদ্বাস্তু জীবন পালন করলেন তাঁদের প্রতি কোনও মায়া নেই ?  সব কিছু ছেড়ে মানুষ কখন উদ্বাস্ত হয় সেটা উপলব্ধি করেন না ! এই নিম্ন, নির্দয় উপলব্ধি নিয়ে আপনি কি সাহিত্য করবেন যদি মানুষের কষ্ট না বুঝলেন।  জন্মসূত্রে মুসলমান বলে আপনাদের তো কেউ দেশ ভাগের জন্য দায়ি করেন নি, তা যিনি করবেন তিনিও সাম্প্রদায়িক। যে মুসলিম লিগ নেতারা আলাদা জাতি এ বিধায় পাকিস্তান সৃষ্ট করেছিনেন এবং হিন্দু বলেই মেরে, ভয় দেখিয়ে, দখলদারি করে তাড়িয়েছিলেন তাঁদের দায়ি করা হচ্ছে। ও বিসর্জনে আপনারা কাঁধ দিতে হাজির হচ্ছেন কেন ? আর ওই একই কারণে অভিন্ন বাংলা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। খ্যাদানি খেয়ে এসে এখানে সর্বস্ব দখল করা কিছু বাঙাল কমিউনিস্ট আর সেকুলার অভিনেতা গোঁড়া মুসলমান ছাড়া অমন অন্যায় কথা কেউ বলেন না।" ---- গৌতম রায়। গৌতম বাবুর মন্তব্য এই👇লিঙ্কে :  https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3462640180524283&id=100003350041426 এখানে ক্লিক করুন সাথি গৌতম বাবু, আপনার মন্তব্য পড়ে রাগবো না হাসবো

দেশভাগ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা

দেশভাগ তথা বাংলাভাগ কারা করেছিলেন? এ দেশের যেখানে যাকে এই প্রশ্ন করবেন, সে-ই সবিস্ময়ে আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করবেন - কেন, জানেন না? আপনার অজ্ঞতার জন্য লজ্জা পাওয়ার একমুহূর্ত অবকাশ না দিয়ে নিজেই সগর্বে উত্তর দিয়ে দেবেন। বলবেন, শুনুন, মুসলিমরা অর্থাৎ মুসলিম লীগ দেশভাগ তথা বাংলাভাগ চেয়েছিল এবং তাদের কারণেই দেশভাগ হয়েছিল! আর তিনি যদি ভক্ত হন, তাহলে তো কথাই নেই, তিনি সেই সঙ্গে মুসলিমদের এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত কীভাবে করতে হবে তারও বিধান দিয়ে দেবেন। একদম বিনামূল্যে। কিন্তু সত্যিই কি মুসলিমরা দেশভাগ তথা বাংলা ভাগ চেয়েছিলেন? কী বলছে ইতিহাস? আসুন শুনে নেওয়া যাক দক্ষিন চাতরা হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী নকুল চন্দ্র মল্লিকের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

কৃষক ও কৃষিশ্রমিক একনয়

Satya Gopal Mukherjee এঁরা কৃষিশ্রমিক (প্রথম ছবি)। কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের পার্থক্যটা জানা দরকার। না হলে এঁরা কারা বোঝা মুশকিল হবে আপনার পক্ষে। যদিও আপনি দাবি করেছেন আপনি একজন কৃষক। তাই অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে আপনি এই পার্থক্যটা জানেন না কেন! কৃষক হলে আপনি এই পার্থক্যটা জানতেন। যাইহোক প্রথম ছবি (কৃষিশ্রমিক) ও দ্বিতীয় ছবির (কৃষক) পার্থক্যটা আশাকরি এবার বুঝতে পারছেন। বুঝতে সমস্যা হলে বলবেন অবশ্যই আরও ব্যাখ্যা করে বলবো। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

কৃষক ও কৃষিশ্রমিক এক নয়

Bhabani Sankar Chatterjee ছবিতে যে মানুষগুলোকে দেখছেন 'এতটা অবস্থাপন্ন' বলে যা বোঝাতে চাইছেন তা তো আমার মনে হচ্ছে না। আমার মনে হয় আপনি কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা গুলিয়ে ফেলেছেন। এখানকার কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে পাঞ্জাবের কৃষকদের এক ফ্রেমে রেখে দেখতে চাইছেন। তাই মিলছে না। তবে বাংলাসহ দেশের অন্যান্য কৃষকদের থেকে ওঁরা একটু সম্পন্ন। সেটা ওখানকার কৃষিব্যবস্থ্যার বিশেষ পরিকাঠামো ও সরকারের কিছু নীতির কারণে। সেটাই তুলে দিতে চাইছে সরকার। এটাই সমস্যার মূল। আর সারাদেশে সবুজ বিপ্লব করা যায় নি সেটা পরবর্তী সরকারের ব্যর্থতা। সেজন্যই তো তাদের সরিয়ে বর্তমান সরকারকে জনগন ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তাই তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরে আজকের বিলের ক্ষতিকারক দিকগুলোকে কি আড়াল করার চেষ্টা করা উচিত? মনে হয় না। উৎস দেখতে  এখানে ক্লিক করুন

প্রসঙ্গ : কৃষিবিল ও তার প্রভাব

Bhabani Sankar Chatterjee কিন্তু এই বিল সম্পন্ন, ক্ষুদ্র, এবং ভাগ চাষি - সবাইকে দারুণ দুরাবস্থার মধ্যে ফেলে দেবে। কর্পোরেট পুঁজির নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে সমস্ত কৃষি ব্যবস্থাই। সবচেয়ে বিপদজনক হল চুক্তিচাষের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি। বৃটিশ আমলে নীল বিদ্রোহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল এই চুক্তি চাষ। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অর্থাৎ কর্পোরেট পুঁজির সুবিধা দিতেই এই প্রথা চালু করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এবং আপনার নিশ্চয় মনে আছে, নীল বিদ্রোহের কারণে ব্রিটিশ সরকার চুক্তিচাষ বেআইনি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল। বর্তমান কৃষি বিলে সেই ব্যবস্থাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে সরকার। দেশীয় কর্পোরেট পুঁজির সুবিধা করে দিতে। এটাই সমস্যার। আর এই সমস্যা আমারকে বা আপনাকেও দারুণ ভাবে ক্ষতির মুখে ফেলবে। শুধু তাই নয়, আগেই বলেছি পাঞ্জাব হরিয়ানার সম্পন্ন কৃষকসহ সারা দেশের সমস্ত কৃষককে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলবে এই বিল বা আইন। সুতরাং ........... উৎস দেখতে এখানে ক্লিক করুন

শুধু লেটে না, কমও বোঝে😀😀

Nripen Mondal শুধু লেটে না, কমও বোঝে। আর শুধু পাঞ্জাবি নয়, বাঙালিও। দেখুন না, স্বাধীনতা আন্দোলনে জেল খাটলো, ফাঁসি কাঠে ঝুললো কারা? পাঞ্জাবি এবং বাঙালিরাই। আর আজ মধু খাচ্ছে কারা? আজ দেশ চালাচ্ছে যারা,তারা। যাদের একজনও জেল খাটেনি, কিংবা ফাঁসিতে ঝোলেনি। উল্টে ঠিক সময় বুঝে মুচলেকা দিয়ে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। লেটে না বুঝলে কি এমন ঘটতো? ঘটতো না। উল্টোটা ঘটতো। তাই না? কায়দা করে এই দুটো জাতিকে দুভাগে ভাগ করে এমন দুর্বল করে দিলো যে, ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁরা থেকেও নেই। এঁরা কিছুই করতে পারলো না। কি বলেন?😀😀

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে