রাজনৈতিক দল তৈরি করে সংখ্যালঘু স্বার্থরক্ষার স্বার্থক সমাধান আদেও কি সম্ভব? স্বার্থক হয়েছে, এমন কোনো উদাহরণ কি আছে পৃথিবীতে? মনে হয় নেই। আমার ধারণা, এটা একটা ভুল ভাবনা। তাই সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিশেষ করে ধর্মগুরুদের দ্বারা পরিচালিত হলে তো তা একেবারেই সম্ভব নয়। কারণ, তাতে সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাম্প্রদায়িকতা এমন অস্ত্র যা কেবলমাত্র সংখ্যাগুরুর জন্যই কিছুটা হলেও সুযোগ তৈরি করে। যদিও তা যে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কখনোই হিতকর হতে পারেনা। বর্তমানে আমাদের দেশের দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অতীতে জার্মানির ইতিহাস উদাহরণ হিসেবে সামনে রয়েছে। তাই শিক্ষিত ও সচেতন সংখ্যাগুরু মানুষজন কখনই একে সমর্থন করবেন না। কারণ, আধুনিক রাজনৈতিক দর্শনে সাম্প্রদায়িকতা কিংবা রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম ও জাতিগত সেন্টিমেন্ট-এর মেলবন্ধন সম্পুর্ন অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত। যেখানে বিজেপির মত সরাসরি সাম্প্রদায়িক তাস খেলায় মত্ত একটি রাজনৈতিক দল ও কিছু সংগঠন অতি সক্রিয় রয়েছে (ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে), সেখানে সংখ্যালঘুর পৃথক রাজনৈতিক সত্তা অর্থহীন। উল্টে এতে সংখ্যালঘুরা আরও সমস্যার সম্মুখ...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...