সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়, আলাদা বিষয়।

ধর্ম আর রাজনীতি, আলাদা বিষয়। ধর্মের ভিত্তি ধর্মগ্রন্থ আর রাজনীতির সংবিধান। আবার এই ধর্মগ্রন্থের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। অন্যদিকে সংবিধানের ভিত্তি তথ্য, যুক্তি ও কার্যকারণ সম্পর্ক। তাই দুটোর অবস্থান দুই মেরুতে।আজকের পৃথিবীতে তাদের সহাবস্থান অসম্ভব। এটা আগে বুঝতে হবে আব্বাসকে সিদ্দিকীকে। গুলিয়ে ফেললেই সমস্যা। মনে রাখতে হবে, এদুটো আসলে একসঙ্গে চালানো যায় না। আধুনিককালে তো নয়ই।

এ'দুটোকে মেলানোর চেষ্টা করছেন বলেই শিক্ষিত মানুষেরা বিজেপিকে সমর্থন করেন না। একই কারণে ISF ও আব্বাস সিদ্দিকীকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। রাজনৈতিক আন্দোলনের আগে মুসলিম সমাজে আধুনিক ও যুক্তিবাদ ভিত্তিক শিক্ষা আন্দোলন জরুরি। উপযুক্ত শিক্ষা ছাড়া কোনো জনগোষ্ঠীর সত্যিকারের উন্নতি সম্ভব নয়।

আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাহুবল নয়, শিক্ষাবলই প্রকৃত বল। তার সঞ্চয় যদি না বাড়ানো যায়, তবে রাজনীতিতে কিছু আসন হয়তো তাৎক্ষনিক ভাবে পাওয়া যাবে, কিন্তু তা দিয়ে সত্যিকারের উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়।

জগৎ চলে কার্যকারণ সম্পর্কের ভিত্তিতে, যা যুক্তি নির্ভর একটি প্রক্রিয়া। বিশ্বাস সেখানে অকার্যকর। মানুষের মন ছাড়া এই বিশ্বাস জগতব্যাপি কোনো প্রভাব রাখে না। সুতরাং তাকে দিয়ে জগতের কোনো কিছুকেই (শিক্ষা বিমুখ মানুষের মন ছাড়া) নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

এখন আমার অনুগামী কিংবা সহযোগীরা যদি বিশ্বাসের ওপর ভর করে কিছু করতে যায়, তবে তা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবে অথবা যথাযথ ভাবে তা কার্যকর হবে না। কারণ, বিশ্বাসের কোন সার্বজনীন রূপ নেই। ভিন্ন ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস নিয়ে না জন্মালেও, বেড়ে ওঠে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস নিয়েই। সে কারণেই বিশ্বাস সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারে না। বরং অনেক সময় তা ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদেশে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা ও আফগানিস্তানে বৌদ্ধ মূর্তি ও উপাসনালয় ভেঙে ফেলা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।

তাই, তাদের দ্বারা পরিচালিত কাজকর্মের মধ্যে সাফল্যের পরিমান কমতে বাধ্য। বিজেপির অসাফল্যেরও এটা একটা অন্যতম কারণ।

সুতরাং, আব্বাস সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তা একটা ঐতিহাসিক আন্দলনের হাতিয়ার হতে পারে, যদি তিনি তা পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসার কাজে ব্যবহার করেন। সত্যিকারের সমাজ সংস্কারক হয়ে উঠতে পারেন। যদি তিনি এই জনপ্রিয়তাকে শুধুমাত্র নিজের ক্ষমতায়নের কিংবা তাঁর কথায়, 'কিংমেকারের ভূমিকায়' থাকার বাসনা দ্বারা চালিত হয় তবে তা ব্যর্থ হবে। হবেই।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন