চাঁদের আনন্দ যেন খিদের কষ্টকে ভুলিয়ে না দেয়। The joy of the moon should not forget the pain of hunger. আমাদের বিজ্ঞান-গবেষণা চাঁদে পৌঁছেছে। এনিয়ে তো গর্ব করবই। কোনো প্রশ্ন চলবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, চাঁদের আনন্দকে সামনে রেখে, কেউ যেন আমাদের খিদের কষ্টকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে। কারণ, চাঁদ জয় আমাদের মনের তৃপ্তি দেবে। বিজ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে। বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। কিন্তু ক্ষুধা যদি আমাদের গলার মালা হয়ে ঝোলে, তবে তা বিশ্ববাসীর কাছে হাস্যস্পদ হয়ে উঠবে, অর্জিত সম্মান ধুলায় লুটাবে। তাই আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা, কবির সেই অমোঘ বাণী, ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। সুতরাং বিজ্ঞানের অগ্রগতির পরিকল্পনার (মহাকাশ বিজ্ঞানের) সাথে সাথে আমাদের ক্ষুধাকেও জয় করতে হবে। আর সরকারকেই সে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা জানতে চাই মহাকাশ বিজ্ঞানের উন্নয়নের সাথে সাথে ক্ষুধা জয় করার জন্য সরকার কোন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। তা না যদি সরকার না পারে, তার প্রতিবাদ হবে। চন্দ্র বিজয়ের নাম করে ক্ষুধার কষ্ট ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা হলে, তা মানা...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...