সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চাঁদের আনন্দ যেন খিদের কষ্টকে ভুলিয়ে না দেয়।।

চাঁদের আনন্দ যেন খিদের কষ্টকে ভুলিয়ে না দেয়। The joy of the moon should not forget the pain of hunger. আমাদের বিজ্ঞান-গবেষণা চাঁদে পৌঁছেছে। এনিয়ে তো গর্ব করবই। কোনো প্রশ্ন চলবে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, চাঁদের আনন্দকে সামনে রেখে, কেউ যেন আমাদের খিদের কষ্টকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করে। কারণ, চাঁদ জয় আমাদের মনের তৃপ্তি দেবে। বিজ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে। বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। কিন্তু ক্ষুধা যদি আমাদের গলার মালা হয়ে ঝোলে, তবে তা বিশ্ববাসীর কাছে হাস্যস্পদ হয়ে উঠবে, অর্জিত সম্মান ধুলায় লুটাবে। তাই আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা, কবির সেই অমোঘ বাণী, ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। সুতরাং বিজ্ঞানের অগ্রগতির পরিকল্পনার (মহাকাশ বিজ্ঞানের) সাথে সাথে আমাদের ক্ষুধাকেও জয় করতে হবে। আর সরকারকেই সে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা জানতে চাই মহাকাশ বিজ্ঞানের উন্নয়নের সাথে সাথে ক্ষুধা জয় করার জন্য সরকার কোন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। তা না যদি সরকার না পারে, তার প্রতিবাদ হবে। চন্দ্র বিজয়ের নাম করে ক্ষুধার কষ্ট ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা হলে, তা মানা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এত হইচই কেন?

 যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এত হইচই কেন? Pareen Mehendi তুই তো আমাদের গর্ব। আমাদের অহংকার। যে যাই বলুক, তুই তোর জায়গায় থাকবি। দুঃখ করিস না। এদের ইগনোর কর। অযোগ্যরাই সংখ্যায় বেশি হয়, তাই তারাই বেশি স্পেস পেয়ে যায়। কিন্তু স্পেস দিয়ে যোগ্যতার মূল্যায়ন হয় না, অন্যায়ও, ন্যায় হয়ে যায় না। যাদবপুর গরীব ছেলেমেয়েদের ভরসার জায়গা। এত কম খরচে লেখা পড়ার সুযোগ গোটা ভারতে প্রায় নেই বললেই চলে। সেটাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে না তো? যা দেখছি, ভাবটা যেন এমন, অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে এমন হয় না। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বলার হিড়িক লেগেছে। এ যেন রোগীর রোগ নির্নয় ও সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট না করে রোগীকেই মেরে ফেলার নিদান দেওয়ার মতো মনে হচ্ছে।

মানুষের দুরবস্থার কারণ কী?

মানুষের দুরবস্থার কারণ কী ? What is the cause of human misery? মানুষ যখন যে পরিবেশে জন্মায়, সেই সময় ও পরিবেশকেই সে চিরকালীন ও চির-সত্য বলে ভাবতে শেখে। কারণ, জীবনের বর্তমান অভিজ্ঞতা থেকে অতীত অবস্থাকে কোন ভাবেই জানা বা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ, যা ইতিহাস নামে পরিচিত, তা পড়া। লেখাপড়া ও পড়াশোনার মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতার অতীত ইতিহাস না জানতে পারলে, একজন মানুষ, বুঝতেই পারবেন না, বর্তমান অবস্থার সূচনা কখন, কীভাবে হয়েছিল। কারাই-বা তার জন্য দায়ী। জানতে পারবেন না, তাদের উত্তরসুরীরা কোন্ কোন্ পলিসির মাধ্যমে এই অবস্থাকে এখনও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা এই সত্য জানতে পারেন না, তারা তার বর্তমান অবস্থার জন্য ঐশ্বরিক শক্তিকে দায়ী করে এবং তাঁর কৃপা প্রার্থনা করেতে করতেই জীবন কাটিয়ে দেয়। ফলে তার এই দূরবস্থার জন্য মূল অভিযুক্ত যারা, তারা যুগ যুগ ধরেই দায়মুক্ত থেকে যায়।

স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নভঙ্গ করলো কারা?

স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নভঙ্গ করলো কারা? মেধা যখন অহংকার, উন্নাসিকতা আর ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়, তখন তা অমানবিক ও সৈরাচারী রূপ ধারণ করে। যাদবপুরে মেধা বিপথগামী হচ্ছে। মেধার ওপর যুক্তিবোধ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানবিকতার পালিশ না পড়লে মেধায় জং পড়ে। ফলে সমাজের ওপর মেধার বিষক্রিয়া শুরু হয়। সাধারণ মানুষ সেই বিষক্রিয়ার শিকারও হয়। স্বপ্নদীপ সেই জংপড়া মেধার বিষক্রিয়ার শিকার। ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ধন-বৈষম্য ও তার দোসর বর্ণ-বৈষম্য মানুষকে অসামাজিক করে তোলে। অসম্ভব ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতার জন্ম হয় এই বৈষম্যের কারণে; যা নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে আপন করে ভাবার বা বিশ্বাস করার মানবিক মূল্যবোধগুলোর বিকাশের পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। ফলে মানবিক মূল্যবোধ নামের এই মূল্যবান মানবীয় গুণের বিকাশ ঘটে না মানুষের মধ্যে। মানুষ ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী অমানুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মেধার অহংকার এই অমানুষকে ভয়ংকর হিংস্র পশুতে পরিণত করে। ফলে স্বপ্নদ্বীপদের মত পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের স্বপ্ন নির্দয়ভাবে ধর্ষিত হয়। একা বিচার ব্যবস্থার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ধন-বৈষম্য না কাটলে এ রোগ নির্মূল হওয়ার নয়। মানু

শিক্ষা নিয়ে কর্পোরেট পুঁজির দুর্নীতি ও তার বৈধতা

কর্পোরেট পুঁজির (সংস্থার) দুর্নীতি ও তার বৈধতা কীভাবে? Corruption of corporate capital and its legitimacy ভর্তির যোগ্যতা অর্জন ছাড়াই টাকার বিনিময়ে যদি ‘শিক্ষা’ কেনা যায়, তবে টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনলে দোষ হয় কীভাবে? কর্পোরেট সংস্থা টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এদের কারণেই অযোগ্য অথচ পয়সাওয়ালা ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পাচ্ছে। তারপর ভালো মার্কস নিয়ে পাস সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছে। বলা ভালো এই মার্কশিট দেখিয়েই সে চাকরি নিয়ে নিতে পাচ্ছে। এটা কি অর্থ দিয়ে চাকরি কেনা নয়? এর বিরুদ্ধে কথা ওঠে না কেন? এটা যদি দোষের না হয়, টাকার বিনিময়ে চাকরি নিলে কোন মুখে গেলো গেলো করে উঠি। তার মানে কি এই নয় যে, কর্পোরেট সংস্থা তাদের প্রতিষ্ঠানে অর্থ নিয়ে অযোগ্য লোককে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে তা বৈধ হয় যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ সরকারি স্কুল কলেজ থেকে মধ্যম মানের রেজাল্ট করে মেধা তালিকায় না এঁটে উঠতে পেরে কিছু টাকা দিয়ে চাকরি নিলে সেটা দোষের হয়ে যাচ্ছে! কিন্তু কোন যুক্তিতে? দুটোই তো সমান অনৈতিক কাজ। কর্পোরেট মিডিয়া করলে বৈধ আর সাধারণ মানুষ করলে সেটা দুর্নীতি হয়ে গেল! কর্পোরেট ম

ভারত কি সত্যিই গনতান্ত্রিক দেশ?

ভারত কি সত্যিই গনতান্ত্রিক দেশ? Is India a true democratic country? গণতন্ত্র নামক রাজনৈতিক দর্শনের জন্ম হয়েছে মানুষের মৃত্যুকে এড়িয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের উপায় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে বলে আমরা দাবি করি, সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ বলে গর্ব করি। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে দেখছি মানুষের মৃত্যু ছাড়া (কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কখনও অধিকার আদায়ের নামে খুনোখুনি) গণতন্ত্র কায়েম হয় না। তাহলে আমরা শিক্ষিত দাবি করি কোন যুক্তিতে? গণতান্ত্রিক দেশ বলেই বা গর্ব করি কোন মুখে? সবচেয়ে লজ্জাজনক (এবং বিপদ্জনক বটে) বিষয় হচ্ছে সরকার ও প্রশাসন দাঁড়িয়ে থেকে এটা হতে দিচ্ছে ( মনিপুর, হরিয়ানা সাম্প্রতিকতম উদাহরণ) এবং নাগরিক সমাজের বৃহত্তম অংশ যাঁরা নিজেদের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ বলে দাবি করেন, তাঁরা বিষয়টিকে চুপচাপ দেখে যাচ্ছেন; যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। নিজের ঘরে আগুন না লাগা অবধি কি আমাদের হুশ হবে না? প্রতিবেশীরা জ্বলছে, পুড়ছে দেখেও এমন নিরিকার আছি কীভাবে?

গর্ব ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য

গর্ব ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য কী? Difference between pride and arrogance সাফল্য ও সামর্থ্য মানুষকে গর্বিত করে, অহংকারীও করে। গর্বিত করলে আপনি শিক্ষিত আর অহংকারী করলে আপনি শিক্ষাল্পতায় ভোগা, লেখাপড়া জানা একজন তোতা পাখি মাত্র। ‘গর্ব’ আর ‘অহংকারে’র মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমরা অধিকাংশ সময় এটা গুলিয়ে ফেলি। কখনও জেনে বুঝে, কখনও বা না জেনেই। জেনে বুঝে করার সংখ্যা কম। কারণ, জানলে সাধারণত কেউ ভূল করে না। অর্থাৎ না জেনে ভুল করার সংখ্যা বেশি। এদেরকে শিক্ষাল্পতায় ভোগা মানুষ বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা পার্থক্যটা আছে এটা জেনে বুঝেও ভুল করে, তাদের অশিক্ষিত বলে। এখন আমি কী তা আমাকেই নির্ধারণ করতে হবে। ‘গর্ব’ কিম্বা ‘অহংকার’ আমরা বিভিন্ন কারণে করে থাকি। তা কখনও অর্থের অধিকারী হওয়ার কারণে, কখনও উচ্চশিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করার কারণে কিম্বা কখনও কোনো বিশেষ বিষয়ে সামর্থ্য বা সাফল্য অর্জন করার কারণে। যে-কারণেই আমার মধ্যে এই বোধ জন্মাক না কেন, বিষয় বুঝে তার প্রয়োগ যদি ঠিকঠাক ভাবে করতে না পারি, তবে নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করতে পারি না। মনে রাখতে হবে, সাফল্য ও সামর্থ্য মানুষকে গর্বিত করে, অহংকারীও করে

অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থার সংকট

অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থার সংকট আপনি যদি দাবি করেন, আপনি একজন আধুনিক মানুষ, তবে তা শুধু মুখে বললেই হবে না। আপনাকে আধুনিকতার কিছু ধারণাকে নিজ চিন্তায় ধারণ করতে হবে এবং তাকে মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। আধুনিকতার এই ধারণার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, যুক্তিবাদী হওয়া, বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া, মানবতাবাদী ও সাম্যবাদী হওয়া। এবং এই ধারণাগুলোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র, সমাজ কিংবা ধর্ম দর্শন ও অর্থ ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা। সেই সঙ্গে এই ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের দায়বদ্ধতাকে স্বীকার করা। শুধু স্বীকার নয়, এই দর্শনকে মানব সমাজের কল্যাণে প্রয়োগ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া। কারণ, এগুলোর সমর্থক হওয়া ও তাকে সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকারের মধ্যেই নিহিত রয়েছে ব্যক্তি মানুষের স্বাধীনতা তথা মানব মুক্তির মূল মন্ত্র। তাই মানব মুক্তির আর এক নাম হল আধুনিকতা।  প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, আধুনিকতার সঙ্গে নগ্নতা কিম্বা স্বেচ্ছাচারিতার কোন সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক আছে কেবলমাত্র মানব কল্যাণের। তাই, যা মানুষের কল্যাণ করে, তা-ই আধুনিকতা। এখন প্রশ্ন হল এই মানব মুক্তির সামনে সবচেয

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে