সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার স্বরূপ আমরা সবাই স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করি। একটা সময় পাশ করে বের হই। প্রমাণ হিসেবে সঙ্গে থাকে একগুচ্ছ সার্টিফিকেট। শিক্ষা শেষে যদি নিজেকে প্রশ্ন করি, কী পেলাম? সহজ উত্তর হল, শিক্ষা। এই শিক্ষাটা , আসলে একটা খোসাওয়ালা রসুনের মত। বাইরে থেকে দেখলে পুরোটাই রসুন এবং রসুনের মত গুণমান সম্পন্ন বলে মনে হয়। প্রশ্ন হল, আসলেই কি তা-ই? উত্তর হল, ‘না’। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আসলে একটা খোসাওয়ালা আস্ত রসুনের মতো, যার সাথে কিছু অবাঞ্চিত এবং গুরুত্বহীন অংশ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ এর পুরোটাই রসুন নয়। রসুনের প্রকৃত সত্তায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের তাকে বাড়িতে এনে সযত্নে একটা একটা করে তার খোসাগুলো ছাড়িয়ে ফেলতে হয়। অবাঞ্চিত অংশগুলো সাবধানে বাদ দিতে হয়। তারপর একটা সময় আমরা তার প্রকৃত-সত্তার সাথে পরিচিত হতে পারি। ঠিক তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে প্রকৃত শিক্ষায় পৌঁছাতে গেলে আমাদের রসুনের খোসা ছাড়ানোর মত করে তার সংগে জড়িয়ে থাকা অসার বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলতে হয়। যুক্তি, বুদ্ধি এবং আরও আরও তথ্য সহযোগে বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার সহজ অর্থ হল, প্রাতিষ...

শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ

শিক্ষার দুরবস্থা ও তার কারণ শিক্ষকদের দায়ী করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না দাদা। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, পড়াশোনাটা স্কুল ও পরিবার — এই যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। তাই দুই তরফকেই দায়িত্ব নিতে হবে। একটাকে ছেড়ে অন্যটার ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। মনে রাখতে হবে, অন্য কাজের মত পড়াশোনাকে জোর করে করানো যায় না। ভয় দেখিয়েও হয় না। যে করবে, তার ইচ্ছা থাকাটাও জরুরী। এই ইচ্ছা তৈরিতে তার বাড়ির পরিবার ও পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এই পরিবেশ যদি পরিবার তৈরি করতে না পারে, স্কুলের ক্ষমতা নেই তাকে পড়াশোনায় ধরে রাখবে এবং তাকে ভালো রেজাল্ট করাবে। তাই পরিবারের পরিবেশ অনুকূল থাকাটাও জরুরী। এই পরিবেশ তৈরিতে অর্থের ভূমিকা থাকলেও তা প্রধান নয়। প্রধান হল পিতা-মাতার শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা ও তার দায়বদ্ধতা। সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতার কমতি নেই। ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা খুবই সামান্য পরিমাণ শিক্ষকের মধ্যে থাকে। শ্রেণীবিভক্ত সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এটাকে শূন্যে আনা অবাস্তব ভাবনা। তাই এটা কখনোই মূল সমস্যা নয়। তাই তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলে, ‘অ...

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়?

কারা হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ায়? ব্যর্থতার ভার বইতে না পারার কারণে মানুষ মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নিজের ব্যর্থতার দায় ঝেড়ে ফেলে, সহজেই মনের বাসনা পূরণের আশায় ঘৃণা ও বিদ্বেষের পথ বেছে নেয়। কারণ, হতাশাকে কাটিয়ে সফল হওয়ার নৈতিক ও যৌক্তিক পথ যারা খুঁজে পায় না, তারাই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করে। অবলীলায় এরা মানুষ হয়েও আর একজন মানুষকে হত্যা করে বসে। অশিক্ষিত ও অযোগ্য হতাশা গ্রস্থ নেতাদের কাছে এরাই দাবার বড়ে হয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। সুতরাং যারা ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ায় এবং সমর্থন করে তারা আসলেই হতাশাগ্রস্থ মানুষ। এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পারে তারাই প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ, তিনি লেখাপড়া জানুন আর না জানুন। সাধারণ মানুষ, যাদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, তারা ইতিবাচক ভাবনার চেয়ে নেতিবাচক ভাবনার দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়, আন্দোলিত হয়। এদেরকে সহজেই ঘৃণা ও বিদ্বেষ ভাষণের দ্বারা সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। ঘৃণা এবং বিদ্বেষের চর্চা যারা করে, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যারা এই চর্চাকে কাজে লাগায়, তাদের অনুসারীরাদের অধিকাংশই বেকার ও হতাশাগ্রস্থ যুব সম্প্রদায়ের ...

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে

জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে জগত ও জীবন সম্পর্কে সঠিক (পরম) জ্ঞান মানুষকে সহিষ্ণু করে তোলে। অজ্ঞানতা হিংস্র করে তোলে। তাই প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ কখনও সহিষ্ণুতার বিপক্ষে কথা বলতে পারেন না। Absolute knowledge about the world and life makes people tolerant. Ignorance makes violent. So a truly wise man can never speak against tolerance.

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ?

ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ালে কাদের লাভ? টিভি এবং সোস্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখা যাচ্ছে না। ঘৃণা আর বিদ্বেষ ভাষণে ছেয়ে গেছে এইসব প্ল্যাটফর্ম। সাম্প্রতিক কালে (৫ আগষ্ট ২০২৪) বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। গণ আন্দোলনের জেরে সেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতায় বদল ঘটেছে। তাকে কেন্দ্র করেই এই পরিস্থিতি।  সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা — আমরা, যারা সাধারণ মানুষ, তাদের পক্ষে তা জানা বা বোঝা খুবই কঠিন। সত্য মিথ্যা যাই হোক, তা জানা, বোঝা এবং তা নিবারণের ক্ষমতা আছে একমাত্র রাষ্টের হাতে। সেদেশের সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। তারা ব্যর্থ হলে তার প্রতিবাদ বা চাপ সৃষ্টি করার রীতি ও নীতি দুইই আছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও তা প্রয়োগের নির্দিষ্ট পথও আছে। প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় সরকার সেই পথ অবলম্বন করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভিযুক্ত দেশের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। আমরা সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দাবি করতে পারি সেই চাপ তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে। কিন্ত আমরা যেটা পারিনা, তা হল এই বিষয় নিয়ে এমনভাবে ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র ভারত হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র। ভারত হাসলে এই উপমহাদেশ হাসবে, কাঁদলে কাঁদবে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকলে, তারাও ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য হবে। উপমহাদেশের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস ও অবস্থা সেকথাই প্রমাণ করছে। সমগ্র উপমহাদেশকে এই সত্য স্মরণ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সুযোগে যদি ভারত সহ কোন একটি দেশের সরকার অন্য কোন দেশকে কাঁদাতে চায়, তার প্রভাব অনিবার্যভাবে সেই দেশেও যেমন পড়বে, তেমনই ভারতেও পড়বে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে, এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই হবে নিয়ন্ত্রক এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো যে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতাকে মোটামুটি গুরুত্ব দিত এবং তার পরিচর্যা করত। আজ ভারত সরকার সেই অবস্থায় নেই। তাই চারপাশটায় টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  ----------xx----------

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য

সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য : মিথ্যার সে শক্তি নেই, যে সত্যকে ঢেকে দেবে। কারণ, মিথ্যার ভিত্তি হল অর্ধ-সত্য কিম্বা অপ-তথ্য, যা চালাকির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সত্যের ভিত্তি হল এক সাধারণ ন্যায়, নীতি আর বাস্তবতা, যা যুক্তি, বুদ্ধি ও তথ্য দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়। সুতরাং মিথ্যার সাথে সত্যকে গুলিয়ে দেওয়া, কিম্বা সত্যকে মিথ্যা সাহায্যে স্থায়ী ভাবে ঢেকে ফেলা বা মুছে ফেলা যায় না।

পরিবার ভেঙে যায় কেন?

পরিবার ভেঙে যায় কেন? একটা পরিবার ভেঙে যায় কখন? যখন পরিবারের সদস্যরা পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস হারায়। কারণ, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসই হল সেই বন্ধন, যা সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। বিশ্বাস ভাঙ্গার প্রধান লক্ষণ হল, কোন কিছু গোপন করা। পরিবারের একজন সদস্য যখন আরেকজন সদস্যকে কোন কিছু গোপন করে, তখন জন্ম নেয় সন্দেহ। ‘ সন্দেহ ’ হল সেই ‘ স্টেম সেল ’ বা কোষ যা ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরস্পরের প্রতি বিদ্যমান ‘ বিশ্বাস ’ নামক ‘ স্টেম কোষকে ’ নষ্ট করে দেয়। ফলে বিশ্বাস বাড়ার পরিবর্তে কমতে থাকে এবং সন্দেহ কমার পরিবর্তে বাড়তে থাকে। এটা হল একটা পরিবারকে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিকল্পহীন আদর্শ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি যখন কোনো প্রয়োজন পরিবারে জন্ম নেয়, সে পরিবার ভেঙে যেতে বাধ্য। গোপন করার মুলে রয়েছে লোভ ও কাউকে বঞ্চিত করে, অন্ধকারে রেখে, অধিক লাভবান হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছা। সুতরাং একটা পরিবারকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর একমাত্র উপায় হল লোভ সংবরণ করা এবং অপরকে বঞ্চিত করে নিজেকে আরও লাভবান করে তোলার ইচ্ছাকে দমন করা। একটা করতে পারলেই পরিবারের ভাঙ্গন রোধ করা যায় এবং পরিবার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃ...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে