সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভারতের ভোটদান

প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভারতের ভোটদান

গুতো খেয়ে, সরকার বোধ হয় বুঝেছে, আমেরিকা আর ইসরাইল কী জিনিস! তাই প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

— আলী হোসেন। ফেসবুক।

একটু ভুল হচ্ছে,, পুরোটা শোনেন নি হয়তো ,, 
বলেছে ,, হামাস কে বাদ দিয়ে প্যালেস্তাইন কে সমর্থন জানিয়েছে ,, আর আপনি আর আমি দুজনেই জানি ,, ইসলাম দেশ আর জঙ্গি সংগঠন,, কোন দিন আলাদা হতেই পারবে না ,,

Bittu Dutta তাই! তা এই কথাটা বলতে দশ বছর লাগলো কেন? তার কী ব্যাখ্যা আছে? প্যালেস্টাইন সম্পর্কে অটল বিহারী বাজপেয়ীর বক্তব্য শুনেছেন? তারই বা কী ব্যাখ্যা দেবেন?

Ali Hossain ব্যাখ্যা পরিস্কার,, ইরান ও আরব দেশ গুলোর সাথে আমাদের ব্যাবসার সম্পর্ক ভালো ,, আর ইসরাইল আমাদের পরম বন্ধু,, শুধু ধর্ম দিয়ে বিচার নয় ,, প্রতিটা ভারত বাসীর ইসরাইল কে সমর্থন করা উচিত,, সেই কারগীল যুদ্ধ থেকে তারা আমাদের পূর্ন সমর্থন জানিয়ে আসছে ,, প্রয়োজনে সমস্ত টেকনোলজি দিয়েছে,, অস্ত্র দিয়েছে ,, কিন্তু বেঁচে থাকতে গেলে লোকসমাজে অনেক কিছু বলতে হয় ,,

Bittu Dutta ব্যবসার সম্পর্কও তো নতুন না। তাহলে? আর রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বলে কিছু তো হয় না। ট্রাম্পের সঙ্গে এত গালাগালি পরও এই ধাক্কা কি ইসরাইল সম্পর্কে মোহভাঙ্গার জন্য যথেষ্ট নয়? আমেরিকা ও ইসরাইল দুটোই ঘোর সাম্রাজ্যবাদী। সাম্রাজ্যবাদীরা কখনো কারও মিত্র হয় না।

‘শুধু ধর্ম দিয়ে বিচার হয় না’ বললেন। অথচ প্রথম মন্তব্যেই ধর্মকে টেনে আনলেন। এবং ইসলাম সম্পর্কে বিষোদগার করলেন। অথচ আমার পোস্ট ধর্ম সংক্রান্ত ছিল না। তাহলে? এবিষয়ে আপনার এই মন্তব্যের উত্তর পরের পোস্টে দেবো। তবে আপনি চাইলে আমার এই লেখাটি পড়তে পারেন। লেখাটি এই মুহূর্ত পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয় নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে তখন আর একবার দেখে নিতে পারেন

Ali Hossain ভারতের ইতিহাস বলছে ,, রাশিয়া ও ইসরাইল ভারতের সবথেকে পরম বন্ধু,, গোটা ভারত বাসী ইসরাইলের সমর্থনে আছে।

Bittu Dutta ১৯১৭ রুশ বিপ্লবের পর থেকে রাশিয়া ভারতের বন্ধু ছিল। এখনো আছে। ইসরাইল কোনো দিন ভারতের বন্ধু ছিল না। ইদানিং হয়েছে। এবং সবাই ইসরাইলকে ভারতের বন্ধু ভাবে না। কারণ, ভারতের বহুত্ববাদী রাষ্ট্রদর্শনের সঙ্গে ইজরাইল একমত হয়নি কখনও। এবং প্যালেস্টাইনকে তারা স্বীকারই করে না।

এছাড়া পরের প্রযুক্তি দিয়ে কখনো নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। তাই এই ধরনের বন্ধুত্ব যেকোনো সময় গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। তাই সাবধানতা জরুরি। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা এভাবেই দেখেন। ইসরাইল বর্তমানে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বড় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র আমেরিকা ছাড়া আর কেউ পাশে নেই। নিজস্ব প্রযুক্তির জোরে সে দাদাগিরি করছে। এমন দেশের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি খাপ খায় না। আমেরিকা পাল্টি খেয়েছে যেমন, ইসরাইলের পাল্টি খেতেও সময় লাগবে না। এখন তার ভারতকে দরকার আছে, তাই ভারতকে প্রযুক্তি দিচ্ছে। যেদিন থাকবে না, এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতিই দেবেনা সে। ওদের দুর্দিন কেটে গেলই আমেরিকার মতো ওরাও পাল্টি খাবে। মিলিয়ে নেবেন।

পাঠকের আরও প্রতিক্রিয়া দেখুন ফেসবুকে

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে