সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বাধীনতা কী?

স্বাধীনতা কী? চার অক্ষরের স্বাধীনতা-র মধ্যে কোনও স্বাধীনতা নেই। ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে আত্মনির্ভরতার মধ্যে, যা নিশ্চিত করা যায় একমাত্র নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে।

অভিবাসন কী?

অভিবাসন কী? অভিবাসন এক স্বাস্থ্যকর, উন্নত ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া আমরা সকলেই আসলে অভিবাসী। তাই অবৈধ অভিবাসনের নাম করে মানুষকে লাঞ্ছিত করা অযৌক্তিক এবং অমানবিক। মানবজাতির উৎপত্তির ইতিহাস মানলে আমাদের আদি বাসভূমি পৃথিবীর কোন এক ও অদ্বিতীয় এবং কোনো অজানা কিন্তু নির্দিষ্ট স্থান। এখনও পর্যন্ত যে আর্কিওলজিক্যাল প্রমাণ মিলেছে, তাতে আফ্রিকাই সেই পবিত্র ভূমি। অভিবাসন একটি স্বাস্থ্যকর এবং উন্নত প্রক্রিয়া। এবং আমরা প্রত্যেকেই আসলে এক একজন অভিবাসী। তাই অবৈধ অভিবাসনের নাম করে মানুষকে লাঞ্ছিত করা অযৌক্তিক এবং অমানবিক। এই অভিবাসন প্রক্রিয়া মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। কারণ, অভিবাসনের ফলেই মানবজাতির ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক ও জলবায়ুগত অবস্থানে আগমন ঘটেছে এবং অভিযোজনের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। এই অধিবাসী হওয়ার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আবার ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মানুষের মধ্যে মিশ্রণ (সংকরায়ন) ঘটেছে। আর এই সংকরায়নের মাধ্যমেই মানব প্রজাতি ক্রমান্বয়ে উন্নত থেকে উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই অভিবাসন একটি স্বাস্থ্যকর এবং উন্নত প্রক্রিয়া। জাতিরাষ্ট্রের নাম করে এই প্রক্রিয়াকে জোর করে আটকালে মান...

শিক্ষিত মানুষের ধর্ম

শিক্ষিত মানুষের ধর্ম : আমরা স্কুল কলেজের লেখাপড়া শেষ করে নিজেদের পন্ডিত মনে করি, আর চাকরি পাওয়ার পর মহাপন্ডিত । বস্তুত, জগৎ ও জীবনের প্রকৃত রহস্য (সত্য) এত ব্যাপক ও জটিল যে, এই সময়কালের মধ্যে তা অনুধাবন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ।  সুতরাং স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে চাকরি-জীবনে প্রবেশ করার পর আমরা নিজেদেরকে যে জায়গায় তুলে ধরি, তা প্রকৃতপক্ষে এক অসম্পূর্ণ অবস্থা। তাকে সম্পূর্ণতার কোনো গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিয়ে যেতে হলে ‘ লেখাপড়া ’ শেষে ‘পড়াশোনা’ র কাজ নতুন উদ্যোগে শুরু করতে হয়। এই কাজটা প্রকৃতপক্ষে এই সময় থেকেই শুরু হয়। নিরন্তর পড়াশোনা এবং গবেষণার মধ্য দিয়েই কেবল তা সম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, এই প্রক্রিয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়রেখা বা সীমারেখা নেই। আজীবন তা ক্রিয়াশীল রাখতে হয়। এক জীবন কেন, হাজার জীবনেও তা কোনভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষিত মানুষের ধর্ম হল লেখাপড়া শেষ করে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া। এবং জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্যের (রহস্য) সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। আর এক আছে তার প্রধান অস্ত্র হল বিশ্বাস নয়, যুক্...

বিজ্ঞানের সঙ্গে পুঁজিবাদের সম্পর্ক

বিজ্ঞানের সঙ্গে পুঁজিবাদের সম্পর্ক বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা যে সমস্ত বৈপ্লবিক আবিষ্কার করেন, তার মধ্যে সেটুকুই কর্পোরেটপুঁজি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে, যা তার পুঁজির বৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে। বাকিগুলো নির্দ্বিধায় আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়। আর রাষ্ট্র যখন তার সহায়ক হয়, তখন তা বিধ্বংসী রূপ নেয়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিপদজনক পরিণতি সংক্রান্ত আবিষ্কারকে পৃথিবীর সব কর্পোরেট মালিক উপেক্ষা করে চলেছেন। এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। সেইসঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এনার্জি এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন, যাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে কোন বাধা না থাকে। এরফলে ১.৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অন্ধকারের অতল গহ্ব ঘরে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।  আসলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর প্রত্যক্ষ শিকার কর্পোরেট মালিকরা হন না। এর শিকার হন দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত সম্প্রদায়। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যখন কোন বিপর্যয় নেমে আসে, তার সরাসরি শিকার হয় এই সমস্ত সাধারণ মানুষ...

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে