প্রকৃত সত্য উপলব্ধি ও কিছু সমস্যা Real truth perception and some problems জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করা অপেক্ষাকৃত কঠিন কাজ। ফলে অধিকাংশ মানুষ এই সত্যের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন না। পারেন না তার কারণ, এই উপলব্ধির বিষয়টি অনেক সময় ও সাধনার বিনিময়ে অর্জন করতে হয়। এই সময় ও সাধনার বিনিময়ে অর্জিত উপলব্ধির কোন তাৎক্ষণিক এবং বৈষয়িক লাভ নেই। তাই সাধারণ মানুষ সেদিকে যান না। সমাজে এই মানুষেরাই সংখ্যায় গরিষ্ঠ হন। আপনি যদি সময় ও সাধনার বিনিময়ে সেই উপলব্ধি অর্জন করতে থাকেন, তাহলে সমানুপাতিক হারে আপনি সামাজিকভাবে সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে থাকবেন। অর্থাৎ আপনি যা বলবেন, তা অধিকাংশের কাছেই বোধগম্য কিম্বা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে না। সামাজিক সম্পর্কের বিধি-বিধানের কিছু নেতিবাচক প্রভাবের কবলে পড়ে আপনি আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হতে থাকবেন। আপনি যতই ভালো বা সৎ মানুষ হন না কেন, একটা ক্ষুদ্র অংশের মানুষ, যারা আপনার এই অর্জনকে ঈর্ষা করেন, তারা সুকৌশলে আপনার সামাজিক সম্মানের জায়গাকে সংকুচিত করে দেয়ার চেষ্টা করবে।
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...