সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী?

 পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী? What is the key to family peace পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি হল, পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ও বিশ্বস্ত থাকা। এই বিশ্বাস কারো অন্তরে তখনই জন্মায়, যখন অন্যজন তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। এই পারস্পরিক বিশ্বাসই জন্ম দেয় শর্তহীন ভালোবাসার, যা পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি।

ঈশ্বরের কি মৃত্যু আছে?

ঈশ্বরের কি মৃত্যু আছে? Does God have death? মানুষ যেদিন যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠবে, সেদিন ঈশ্বর নামক অলৌকিক স্বত্বার মৃত্যু ঘটবে। কেননা, ১) ঈশ্বরের অস্তিত্ব নির্ভর করে মানুষের বিশ্বাসের ওপর। আর ২) যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় না। 

সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব

প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব। Rights and Responsibilities of Adult Children. সন্তানের যদি অধিকার থাকে, সে বাবা-মায়ের পরামর্শ শুনবে না; কারণ, সে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষিত হয়েছে (১৮ ক্রস করেছে), তবে তার দায়িত্ব হল এমন গ্যারান্টি তৈরি করা, যে সে জেনে বুঝে এমন কোন ভুল করবে না, যার দ্বারা তার ও তার পরিবারের কোন প্রকার ক্ষতির সম্মখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের যদি অধিকার থাকে, সে বাবা-মায়ের পরামর্শ শুনবে না, কারণ, সে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষিত হয়েছে (১৮ ক্রস করেছে), তবে তার দায়িত্ব হল এমন গ্যারান্টি তৈরি করা, যে সে জেনে শুনে এমন কোন ভুল করবে না, যার দ্বারা তার ও তার পরিবার কোন প্রকার ক্ষতির সম্মখীন হতে পারে। কেননা সে দাবি করছে, সে বড় (প্রাপ্তবয়স্ক) হয়েছে এবং শিক্ষিত হয়ে উঠেছে। এবং বড় হয়ে যাওয়া ও শিক্ষিত মানুষ মাত্রই জানে, অধিকার ও দায়িত্ব পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। একটাকে অস্বীকার করলে অন্যটা পাওয়া যায় না। একই কথা বাবা মায়ের জন্যও সমান ভাবে প্রযোজ্য। কারণ, তিনিও একজন পিতা-মাতার সন্তান। সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব। ------xx-----

মানুষের ধর্ম কী?

মানুষের ধর্ম কী? What is the religion of man? আপনি যদি যেচে কারও উপকার করেন, আপনাকে সবাই ধান্ধাবাজ ভাববে। অথচ যেচে উপকার করাই মানুষের ধর্ম। মানুষের জন্য যেচে উপকার করার মানসিকতা না থাকলে মানুষের সঙ্গে অন্য প্রাণীর কোন পার্থক্য থাকে না। বিপদে পড়লে সব প্রাণীই শুধুমাত্র নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্যের পাশে এসে দাঁড়ানোর কোন তাগিদ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। একজন মানুষ যদি সেই নীতিই গ্রহণ করে, তবে তাকে অন্য প্রাণীর সঙ্গে আলাদা করব কীভাবে? চিন্তা করার ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতার ক্ষেত্রে মানুষ এগিয়ে আছে - এটা নিশ্চয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। এই চিন্তার ফসল হচ্ছে সমাজবব্ধ হওয়ার ইচ্ছা।  সমাজবব্ধ হওয়ার কারণেই মানুষ তার জীবনের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে পেরেছে। এখান থেকেই মানুষ একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর প্রেরণা পেয়েছে। এই ধরনের ভাবনার উৎস ভূমি হচ্ছে ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থা। এবং এই ব্যবস্থার বাহক হচ্ছে ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। ধনতান্ত্রিক অর্থ ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থা মানুষকে এক একজন পাষন্ডে পরিণত করে দিচ্ছে। এই অর্থ ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থা যত গেঁড়ে বসবে, মানুষের এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট

সত্য উপলব্ধির উপায়

 জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সত্য উপলব্ধির উপায় Ways to Realize Truth জগৎ এবং জীবনের প্রকৃত সত্য (রহস্য) জানার একমাত্র হাতিয়ার হল প্রখর যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবতাবাদী চিন্তা চেতনার অধিকারী হওয়া। কেবলমাত্র অলৌকিক শক্তির ওপর বিশ্বাসে ভর করে তা অর্জন সম্ভব নয়।

রাজনৈতিক অরাজগতার কারণ

রাজনৈতিক (মৃত্যুর) অরাজগতার কারণ  যে শিক্ষা রাজনৈতিক চেতনা আনে, সেই শিক্ষার প্রসার না ঘটলে এই রাজনৈতিক অরাজগতা কাটবে না। শিক্ষা ও উপার্জনের অভাব  - মূলত এই দুই অভাব একসঙ্গে সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতির বোড়ে হতে বাধ্য করে। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, জনগণের রাজনৈতিক চেতনতা-বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কী এবং কীভাবে তাকে প্রয়োগ করতে হবে রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য, সে সম্পর্কে অবহিত করা (রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা) রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে ধ্যান দেয় না। দেবেই বা কীভাবে? রাজনীতি করতে গেলে রাজনৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়। এই শিক্ষা আসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামক একটি বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করার মধ্য দিয়ে। এর সঙ্গে প্রয়োজন বিশ্ব-ইতিহাস ও অর্থনীতি বিষয়ে সচতনতা। অর্থাৎ কেউ রাজনৈতিক নেতা হতে চাইলে তার ন্যূনতম শিক্ষা হওয়া উচিত এই সাবজেক্টগুলোসহ গ্রাজুয়েশন পাস করা। মনে রাখতে হবে, প্রাইভেট টিউটরের ত

গণতন্ত্রের নাম করেই গণতন্ত্রের গণধোলাই চলছে দেশে

গণতন্ত্রের গণধোলাই এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পরও আমরা গর্ব করে বলবো, বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ আমরা? মানুষই যদি মরবে, তবে নির্লজ্জের মত গণতন্ত্রের বড়াই করি কেন? আর এর সমস্ত দায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর। কারণ, এরা চায় বলেই এই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আসলে গণতন্ত্রের নাম করেই গণতন্ত্রের গণধোলাই চলছে দেশে।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সৈয়দ কাউসার জামাল ও আমার মতামত

শ্রদ্ধেয় সুভাষ দাস আমার ইনবক্সে শ্রদ্ধেয় সৈয়দ কওসর জামাল ভাইয়ের একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, যে উনি আমার মতামত জানতে চান। আমি তাঁকে আমার মত জানিয়েছি। ( জামালদার লেখার লিঙ্ক হল https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1449002371828364&id=100001558441443 লেখাটি আমার পোষ্টের নিচেই দেখা যাচ্ছে। ওটা পড়ে আমার লেখাটা পড়বেন আশা করি।) লেখাটা পড়ে আমি যে মতামত দিয়েছি তা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলাম, আমার ভাবনার ত্রুটিবিচ্যুতি কিম্বা যতার্থতা খুঁজে পাওয়ার জন্য।.... সুভাস দা, জামালদার পোষ্টটা আমি আগেই পড়েছি। উনি যথার্থই বলেছেন,'ওখানকার মুসলমানরা একটা অজুহাত খুঁজছিলেন'। কিন্তু যেটা উনি বলতে সাহস করলেন না, হয়তো বা ওনার গোচরে আসেনি তাহল... ১) ঠিক একই ভাবে ওই এলাকাজুড়ে লাগাতাড় একটি ক্ষুদ্র মৌলোবাদী হিন্দুগোষ্ঠি মুসলিম মৌলোবাদীদের উউত্তেজিত করে চলেছেন, এমন ঘটনা যাতে তারা (এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ) ঘটায়। (এমন কিছু হোয়াটস অ্যাপ পোষ্ট আমার কাছে আছে এখনও)। আর কিছু অশিক্ষিত গোঁয়ার মুসলিম ধর্মগুরু ঝোপবুঝে কোপ মেরেছেন। সাধারণ ও অসচেতন শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে থাকা মুসলমা

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে