প্রতিটি শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ জানেন সব সম্পদের সেরা সম্পদ হল মানব সম্পদ। কারণ এই সম্পদকে বাদ দিয়ে প্রকৃতির কোন সম্পদই সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে না। আবার এই মানব সম্পদ সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে অপরিহার্য হল প্রতিভা। এটা নিয়েই মানুষ পৃথিবীতে আসে। কিন্তু তার বিকাশ হয় এই পৃথিবীতেই। এক্ষেত্রে সরকারকে নিতে হয় গুরুদায়িত্ব। না হলে তা সম্পদ হয়ে ওঠে না। মানব সম্পদের বিকাশে প্রত্যেকটি দেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। আমাদের দেশ বিগত কয়েক দশক ধরে এক্ষেত্রে পিছচ্ছে। ভয়ংকরভাবে এই ক্ষয়রোগ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়ে চলেছে রাষ্ট্রের তথা সরকারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে। আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষার বদলে প্রাচীন ও বাতিল হয়ে যাওয়া শিক্ষা-চিন্তা জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠক্রমে। হাস্যকর ও অযৌক্তিক দর্শনতত্ত্বের জন্ম দিয়ে মানুষকে অন্ধ ও অজ্ঞ করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে সুকৌশলে সুকুমারমতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠক্রম ও রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে। চারিদিকে চোখ-কান খোলা রেখে দেখলে দেখা যাবে উদাহরণের ছড়াছড়ি। সুতরাং এদেশ যে প্রতিভার বিকাশে পিছবে তা কি
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ