সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রতিভার বিকাশ ও ভারত

প্রতিটি শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ জানেন সব সম্পদের সেরা সম্পদ হল মানব সম্পদ। কারণ এই সম্পদকে বাদ দিয়ে প্রকৃতির কোন সম্পদই সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে না। আবার এই মানব সম্পদ সত্যিকারের সম্পদ হয়ে উঠতে অপরিহার্য হল প্রতিভা। এটা নিয়েই মানুষ পৃথিবীতে আসে। কিন্তু তার বিকাশ হয় এই পৃথিবীতেই। এক্ষেত্রে সরকারকে নিতে হয় গুরুদায়িত্ব। না হলে তা সম্পদ হয়ে ওঠে না। মানব সম্পদের বিকাশে প্রত্যেকটি দেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। আমাদের দেশ বিগত কয়েক দশক ধরে এক্ষেত্রে পিছচ্ছে। ভয়ংকরভাবে এই ক্ষয়রোগ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেড়ে চলেছে রাষ্ট্রের তথা সরকারের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদতে। আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষার বদলে প্রাচীন ও বাতিল হয়ে যাওয়া শিক্ষা-চিন্তা জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠক্রমে। হাস্যকর ও অযৌক্তিক দর্শনতত্ত্বের জন্ম দিয়ে  মানুষকে অন্ধ ও অজ্ঞ করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে সুকৌশলে সুকুমারমতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাঠক্রম ও রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে। চারিদিকে চোখ-কান খোলা রেখে দেখলে দেখা যাবে উদাহরণের ছড়াছড়ি। সুতরাং এদেশ যে প্রতিভার বিকাশে পিছবে তা কি

মুসলিমদের কি সত্যিই কাছে পেতে চায় বিজেপি?

বিজেপি কী ভাবছে! বাংলার সংখ্যালঘুরা গরু বা ছাগল, যে সে বোঝেনা তাকে কাছে ডাকা হচ্ছে বা আদর-যত্ন করার তোড়জোড় করা হচ্ছে পুজো করার জন্য না, বলি দেওয়ার জন্য! সংখ্যালঘুরা কি শুধু বাংলায় বাস করে? তারা কি ভারতবর্ষকে নিজের দেশ ভাবেনা, যার কারণে সারা দেশের খবর তাদের রাখার দরকার হয় না? এইসব নিচু ও সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়ে সংখ্যালঘুদের মন পাওয়া যায়না। বিজেপির আগে তার সাম্প্রদায়িক নীতি ত্যাগ করতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি ত্যাগ করতে হবে। শিক্ষিত মন আর মননের চর্চা শুরু করতে হবে।

আমার চাওয়া।

আমি মোটেও চাইনা, আমাকে কেউ তেল মারুক। সমানভাবে, এটাও চাই না, কেউ আমায় দূর্বল ভাবুক।

প্রাক ইসলাম ইতিবৃত্ত

http://itibritto.com/ancient-arabia/ প্রাক ইসলাম ইতিবৃত্ত

লাভ জিহাদ

পশ্চিমবঙ্গের মাটি আলাদা। এখানে আজেবাজে ফসল ফলে না। জোর করে ফলাতে গেলে অনর্থ হবে। আমার ধারণা। তবে শিক্ষিত চাষির অভাব হলে মাটির অসহায়তা বেড়ে যাবে। ভাবনার বিষয় সেটাই। প্রসঙ্গ : বিশ্বহিন্দু পরিষদের লিফলেট ।

ধর্মের পরিণতি

রাষ্ট ও রাজনীতিকদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ হয়ে গেলে আনুষ্ঠানিক ধর্ম প্রাসঙ্গিকতা হারাতে বেশি সময় লাগবে বলে মনে হয় না।

মানবধর্ম

আপনার মতামতকে সম্মান জানাই। সেই সঙ্গে কটা কথা যুক্ত করি। ১) ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলাই একমাত্র 'ধর্ম পালন' নয়। ২) ধর্ম মানুষকে ভাগ করার জন্য জন্ম নেয়নি। বিভক্ত মানুষকে একসূত্রে বাঁধার জন্য জন্ম নিয়েছিল। ৩) কিন্তু যুগযুগ ধরে কিছু মানুষ এর উল্টো কাজ করে আসছেন। আমার কথা তদের ধর্ম ও মতের বিরুদ্ধে। আপনার বোঝার ভুল হচ্ছে না তো? আপনি যদি ইসলাম ধর্মের কথাই বলেন, তবে বলুন তো ইসলাম কি মানুষকে ভাগ করার কথা বলেছে? আপনি বলছেন 'আপন ধর্ম' এর কথা। আচ্ছা বলুন তো ধর্মের আপন পর হয় কিভাবে? পৃথিবীর প্রত্যেকটা জীবের/পদার্থের নিজস্ব কিছু ধর্ম আছে। সেই শ্রেণির সকলের মধ্যেই তা সমভাবে বিরাজ করে। তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ নেই। একমাত্র ব্যতিক্রম মানুষ। কেন? এরা হাজার ধর্মীয় বিশ্বাসে বিভক্ত। মানুষ তো একমাত্র জীব যার বিশেষ চেতনা আছে। এই মানুষের ধর্ম আলাদা আলাদা হয় কী করে? 'আপন ধর্ম' বললেই তো মানুষে মানুষে ভাগ করা হয়ে গেলো। এভাগ কি ইসলাম চেয়েছে। চাই নি। অন্য হাজারও ধর্মের মতো তথাকথিত মুসলিমরাও মানুষকে ভাগ করছেন আর বিরোধ বাধিয়ে রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক ফায়দা তুলছেন। আমার জানা মতে পৃথিব

আমার ধর্ম

যে ধর্ম মানুষকে ভাগ করে, সে ধর্ম আমার না।

ডারউইনবাদ ও ভ্রান্ত ব্যাখ্যা।

hআমার জানা মতে (আমার জানার সীমাবদ্ধতার সম্ভাবনা কে মনে রেখেই বলছি), প্ৰকৃত নাস্তিকদের অভিধানে 'বিশ্বাস' শব্দটা বোধ হয় নেই। এর কাছাকাছি যে শব্দটা আছে তা হল 'অনুমান'। সুতরাং নাস্তিক হতে হলে 'ডারউইনবাদে বিশ্বাসী' হতেই হবে এমন দাবি যদি কেউ করে তা অযৌক্তিক বলে আমার মনে হয়। এবার একটা ভ্রান্ত ধারণার কথা বলি। এর থেকে তুমি তোমার প্রশ্নের উত্তর পেলেও পেতে পারো। সাধারণ ভাবে একটা ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে, ডারউইন বলেছেন, বনমানুষ, বানর, গোরিলা বা শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষের জন্ম হয়েছে। কিন্তু ডারউইন এভাবে কোনো অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত টানেননি। এটা অযৌক্তিক বলার কারন হল এভাবেই যদি মানুষের জন্ম হত তাহলে বানর বা শিম্পাঞ্জি সহ অন্যান্যরাও মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যেত। তাহলে প্রশ্ন হল ডারউইন ঠিক কী বলেছেন? খুব সহজ করে বললে দাঁড়ায় এই রকম একটি পরিষ্কার উক্তি, 'বর্তমান যুগের যেসব প্রাণী-প্রজাতির মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তারা সুদূর অতীতে সম্ভবত একই সাধারণ কোন পূর্বপুরুষের থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।' এখানে 'সম্ভবত' কথাটা আর 'সাধারণ' কথাটা বাদ দিলেই ডারউইনবাদের ভুল ব্যাখ্যা

আস্তিক ও নাস্তিক

আস্তিক ও নাস্তিক আস্তিক ও নাস্তিক আস্তিক হওয়ার জন্য শিক্ষিত না হলেও চলে কিন্তু প্রকৃত নাস্তিক হতে গেলে শিক্ষার গভীরে পৌঁছাতেই হয়। তাই আস্তিক হওয়ার চেয়ে নাস্তিক হওয়া অনেক কঠিন। এর জন্য শক্ত বুকের পাটা লাগে, যা একমাত্র প্রকৃত শিক্ষাই তৈরি করতে পারে। উৎস : ফেসবুক সাধারণ মানুষ এভাবেই ভাবে। কিন্তু এটা মোটেই তা নয়। ধর্ম না মানলে তাদের অধার্মিক বলে। নাস্তিক বলে না। সাক্ষাতে বিস্তারিত বলা সম্ভব। এখানে বিষয়টি পরিষ্কার করা খুবই কঠিন। ছোট্ট করে বলি। দেখ বোঝার মত হয় কিনা। আস্তিকতা ও নাস্তিকতা দুটো পরস্পর বিপরীত দার্শনিক তত্ত্ব। দুটোই চেষ্টা করে জগৎ ও জীবনের প্ৰকৃত রহস্য খুঁজে বের করতে। যাঁরা এই রহস্য খুঁজতে গিয়ে উপলব্ধি করেন যে এর মূলে আছেন কোন অলৌকিক শক্তি এবং তারা বিশ্বাস করেন এই অলৌকিক শক্তির উপাসনা (নামাজ বা পূঁজা ইত্যাদি) করতে পারলেই তাঁকে সন্তুষ্ট করা যাবে। আর তাতেই মানুষের জগৎ ও জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যারা এভাবে ভাবেন তাদের আস্তিক বলে সবাই চেনে। এঁদের হাতেই ধৰ্ম দর্শনের জন্ম হয়েছে। এঁদের এই ভাবনার মূলে থাকে মানুষের কল্যাণ সাধন। অন্যদিকে একদল মানুষ ভাবেন এই রহস্যের মূল

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন